ভৈরবে ৪ দিনে ৬০ ছিনতাইকারী আটক, তবু কাটছে না আতঙ্ক।। চলছে যৌথবাহিনীর অভিযান।। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৩৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • ১৯ Time View

৪ মার্চ, নিজস্ব  প্রতিনিধি:

 ভৈরবে বেড়ে যাওয়া ছিনতাই প্রতিরোধে চলছে যৌথবাহিনীর অভিযান। গত  ৪ দিনে ভৈরব শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে  ৬০ জন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার  সকালে  ১২ জনকে কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়া হয়।  এছাড়া গত  ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৬ জন, ২৮ ফেব্রুয়ারি ৮ জন ও ১ মার্চ ১৮ জনকে গ্রেফতার করে  কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ৩৫ জন চিহ্নিত ছিনতাইকারী রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভৈরব থানাসহ বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। বাকী ২৫ জন সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি।

এদিকে একাধিক ছিনতাইয়ের অভিযুক্ত আসামিদের আটকের পরও আতঙ্ক যেন কাটছে না ভৈরববাসীর। পবিত্র রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে পড়েছে ছিনতাই চক্র। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিনতাই হওয়ার প্রায় অর্ধশতাধিক স্পট থাকলেও নিয়মিত ছিনতাইয়ের স্পট ১০ থেকে ১২টি। ওইসব স্থানে পুলিশি টহল জোরদার করা  হলে ভৈরবে ছিনতাইয়ের ঘটনা ও আতঙ্ক দুইটাই কমে যাবে। 

এদিকে পুলিশ বলছে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঈদ আসলেই ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে যায়। তবে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে চুরি ছিনতাই অগণিত হারে বেড়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন স্পটেই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। থেমে নেই বিভিন্ন বাসা বাড়িতে চুরির ঘটনা ।  ছিনতাই কবলে পড়লে সর্বহারা হওয়া ছাড়াও ছুরির আঘাতে অনেকে  রক্তাক্ত হতে হয়। বিগত বছরগুলোতে পুলিশ, আইনজীবী, বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীসহ অনেকেই ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে। কারণ মাদক সেবনকারী, সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং সদস্যরা এসব ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানায় তারা।

অপরদিকে ছিনতাই প্রতিরোধে ভৈরবে মশাল মিছিল, বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যরিবোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ। ইতিমধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটামও দিয়েছে প্রশাসনকে।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন,  ভৈরবে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে পুলিশ কাজ করছে।  গত চারদিনে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশতাধিকের বেশি ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে যুবলীগ নেতা কর্তৃক  প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অফিসে কক্ষে মারধোর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

ভৈরবে ৪ দিনে ৬০ ছিনতাইকারী আটক, তবু কাটছে না আতঙ্ক।। চলছে যৌথবাহিনীর অভিযান।। 

Update Time : ১০:৩৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

৪ মার্চ, নিজস্ব  প্রতিনিধি:

 ভৈরবে বেড়ে যাওয়া ছিনতাই প্রতিরোধে চলছে যৌথবাহিনীর অভিযান। গত  ৪ দিনে ভৈরব শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে  ৬০ জন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার  সকালে  ১২ জনকে কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়া হয়।  এছাড়া গত  ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৬ জন, ২৮ ফেব্রুয়ারি ৮ জন ও ১ মার্চ ১৮ জনকে গ্রেফতার করে  কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ৩৫ জন চিহ্নিত ছিনতাইকারী রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভৈরব থানাসহ বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। বাকী ২৫ জন সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি।

এদিকে একাধিক ছিনতাইয়ের অভিযুক্ত আসামিদের আটকের পরও আতঙ্ক যেন কাটছে না ভৈরববাসীর। পবিত্র রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে পড়েছে ছিনতাই চক্র। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিনতাই হওয়ার প্রায় অর্ধশতাধিক স্পট থাকলেও নিয়মিত ছিনতাইয়ের স্পট ১০ থেকে ১২টি। ওইসব স্থানে পুলিশি টহল জোরদার করা  হলে ভৈরবে ছিনতাইয়ের ঘটনা ও আতঙ্ক দুইটাই কমে যাবে। 

এদিকে পুলিশ বলছে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঈদ আসলেই ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে যায়। তবে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে চুরি ছিনতাই অগণিত হারে বেড়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন স্পটেই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। থেমে নেই বিভিন্ন বাসা বাড়িতে চুরির ঘটনা ।  ছিনতাই কবলে পড়লে সর্বহারা হওয়া ছাড়াও ছুরির আঘাতে অনেকে  রক্তাক্ত হতে হয়। বিগত বছরগুলোতে পুলিশ, আইনজীবী, বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীসহ অনেকেই ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে। কারণ মাদক সেবনকারী, সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং সদস্যরা এসব ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানায় তারা।

অপরদিকে ছিনতাই প্রতিরোধে ভৈরবে মশাল মিছিল, বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যরিবোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ। ইতিমধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটামও দিয়েছে প্রশাসনকে।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন,  ভৈরবে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে পুলিশ কাজ করছে।  গত চারদিনে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশতাধিকের বেশি ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।