২৮ ফেব্রুয়ারি, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার অভিযোগে ইমন মিয়া (২০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাকে শ্রীনগর এলাকা থেকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত যুবক ইমন উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের রাজন মিয়ার ছেলে। আজ তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় শ্রীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার রাতে ভৈরব থানায় ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর মা।
জানা যায়, দীর্ঘ ৪ মাস যাবত একই এলাকার রাজন মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করে। নানান ভাবে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। বখাটে যুবক ইমন প্রতিদিনই মেয়েটির স্কুলে যাওয়া আসার সময় ইভটিজিং করে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত ৯ টায় প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হয়ে পাশে বাথরুমে যায় মেয়েটি। এসময় বখাটে যুবক ইমন মেয়েটিকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে মেয়েটির ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরাসহ পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। বখাটে যুবক ইমন এলাকায় চিহ্নিত একজন মাদকসেবী ও চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে । এঘটনায় শিক্ষার্থীর পরিবার প্রথমে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দেন। পরবর্তীতে ইউএনওর মাধ্যমে ভৈরব থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে প্রেক্ষিতে গতকাল রাতে বখাটে ইমনকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তের খালু লিটন মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীর সাথে আমার ভাইগ্নার সম্পর্ক রয়েছে। এজন্য তারা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অভিযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, ৭ম শ্রেণীর এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত ইমন মিয়াকে আটক করে থানা আনা হয়েছে৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে শ্লীলতাহানির চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে।