২৫ ফেব্রুয়ারি, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরব থানার এক পুলিশ ছিনতাইকারীকে ধরতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। এই পুলিশ কনস্টেবলের নাম মোঃ মোস্তফা। এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ছিনতাইকারী রাব্বি (১৯) কে সোমবার রাত ১০ টায় গ্রেফতার করা হয়। শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে রাব্বি। তবে তার সাথে ঘটনায় জড়িত আরেক ছিনতাইকারী লিটনকে খোঁজছে পুলিশ। রোববার রাত তিনটার সময় শহর এলাকায় ওই কনস্টেবল ডিউটিরত অবস্থায় ছিনতাইকারীকে ধরতে গেলে লিটন তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এসময় রাব্বি তার সাথে থাকলেও তৎক্ষনাত তাকে পুলিশ ধরতে পারেনি। সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ভৈরবে ছিনতাইয়ের ঘটনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এতে ব্যবসায়ী, পথচারী ও দূর-দূরান্ত থেকে আগত মানুষজন সবসময় আতঙ্কে রয়েছে। ছিনতাইয়ের কবল থেকে বাদ পড়ছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। শহরজুড়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় সুশীল সমাজ, স্থানীয় বাসিন্দা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্বিগ্ন।
ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে টহল জোড়দার করা হলেও সুযোগ বুঝে ছিনতাই করছে চক্রগুলো। ছিনতাইকারীকে ধরতে গিয়ে আহত হচ্ছে থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে আহত কনস্টেবল মোস্তফা মিয়া জানান, প্রতিদিনই বঙ্গবন্ধু সরণি এলাকার নদী বাংলা সেন্টার পয়েন্টের সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। রোববার রাত তিনটায় এএসআই সাখাওয়াতের নেতৃত্বে ডিউটি পালন করছিলাম আমরা। এসময় রিকশা দিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন ছিনতাইকারী রাব্বি ও লিটন। পুলিশ তাদের দেখে থামতে বললে তারা আমাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি বলেন, ৫ আগস্ট ভৈরব থানা পুড়িয়ে দেওয়ার পর ভৈরবে অপরাধ বেড়ে গেছে। এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ভয় পায়।
কনস্টেবল আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, ভৈরব একটি জনবহুল ও বন্দর নগরী এলাকা। প্রায়দিন ভৈরবের কোথাও না কোথাও ছিনতাইয়ের ঘটনার খবর পায়, তবে ভূক্তভূগিরা অভিযোগ দিতে থানায় আসেনা। বর্তমানে ছিনতাই কিছুটা কমেছে। কনস্টেবল মোস্তফাকে লিটন নামের এক ছিনতাইকারী আহত করেছে। তাকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে রাব্বিকে।