৩ জানুয়ারী, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবের মেঘনায় বালুবাহী বলগেটে পাওয়া গেল ১০০ বস্তা ভারতীয় কাপড়ের গাইড । আজ শুক্রবার বিকেল ৪ টার দিকে ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ ফেরিঘাটের নিকটে মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে বালুবাহী বলগেটটি আটক করে। এসময় পুলিশের সন্দেহ হলে বলগেটের একটি ঢাকনাযুক্ত বক্স খোলার পর এসব কাপড়ের বস্তা পাওয়া যায়। পরে পুলিশ বলগেটটি ফেরিঘাটের নিকটে এনে বস্তার গাইডগুলি উদ্ধার করে নৌ-থানায় নিয়ে আসে। এসময় বলগেটের সুকানিসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ এবং মালামাল জব্দ করা হয়। আটককৃতরা হলো বলগেটের সুকানি বরগুনা এলাকার রশিদ মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩৭), বলগেটের স্টাফ একই এলাকার সোহরাব মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান, কাপড়ের মালিকের প্রতিনিধি সুনামগন্জের মইনপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে জিহান (১৯), একই জেলা এলাকার বালিকান্দি গ্রামের মৃত মোবারকের ছেলে কামাল মিয়া (২৫)। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলগেটের সুকানিসহ আটককৃতরা জানায় গত দুইদিন আগে বুধবার সুনামগন্জ থেকে কাপড়ের বস্তার গাইডগুলি বলগেটে ভর্তি করে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার উদ্যেশ্যে যাওয়ার সময় পথিমধ্য ভৈরব মেঘনাঘাটে ধরা পড়ে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাপড়ের বস্তার গাইডগুলি খুলেনি। পুলিশ জানায়, আগামীকাল শনিবার সকালে গাইড খুলার পর বুঝা যাবে এগুলির ভিতরে কি ধরনের কাপড় এবং মালামালের মুল্য কত।

বলগেটের সুকানি রুবেল মিয়া বলেন, সুনামগন্জের আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি কাপড়ের গাইডগুলি দিয়েছিল ঢাকায় পৌঁছাতে। আমি তাকে চিনিনা। তবে মালিকের দুইজন প্রতিনিধি বলগেটে দেয়া হয়। তারা বলতে পারবে মালিকের পরিচয় ঠিকানা। আমি ভাড়ার বিনিময়ে মালগুলি পরিবহন করছিলাম। তবে বলগেটের ভিতরে বালু থাকলেও সামনের বক্সের ভিতর কাপড়ের গাইডগুলি রাখা হয়েছিল বলে সে জানায়।
ভৈরব নৌ-থানার ইনচার্জ মোঃ রাশেদুজ্জামান জানান, শুক্রবার বিকেলে মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে একটি বালুবাহী বলগেটে ১০০ বস্তা ভারতীয় কাপড় পাওয়া যায়। এসময় বলগেটের সুকানিসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করে এসব মাল ভারতীয় কাপড়। তারা বলছে সুনামগন্জের আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলগেট ভাড়া করে মালগুলি দিয়েছে। মালিকের দুইজন প্রতিনিধি বলগেটে দেয়া হলেও তারা মালিকের পরিচয় ঠিকানা এখনও বলেনি। জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা বিস্তারিত তথ্য জানার পর ও মালের বিবরণ, দাম জেনে কাল শনিবার এবিষয়ে মামলা করা হবে। এখন কাপড়ের গাইডগুলিসহ বলগেট জব্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলা করার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।