ভৈরবে নির্মাণ করা হবে আন্তর্জাতিক মানের নৌ – টারমিনাল

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৬:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • ৬৩ Time View

১১ নভেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভৈরবে নির্মাণ করা হবে আন্তর্জাতিক মানের নৌ – টারমিনাল এবং আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্য কাজ শেষ করার লক্ষ্যে প্রস্ততি চলছে। ভৈরব একটি পুরানো নদী বন্দর, তাই বন্দরের উন্নতির লক্ষ্যে এখানে ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে  ৪ টি টারমিনাল জেটি নির্মাণ করা হবে।

 আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ভৈরব মেঘনা নদীর বন্দর  পরিদর্শনে এসে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অবঃ) ড, এম সাখাওয়াত হোসেন একথাগুলি বলেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, প্রকল্প পরিচালক ( পিডি) আয়ূব আলী, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন, ভৈরব পুলিশের সার্কেল এএসপি নাজমুস সাকিব প্রমূখ। 

নৌ – উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অবঃ) ড, এম সাখায়েত হোসেন বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রজেক্টের মধ্য ভৈরব একটি বড় প্রজেক্ট ছিল যা আন্তর্জাতিকভাবে টেন্ডার হবে কয়েকদিনের মধ্য। এখানে জেটির কাজ করতে গিয়ে নদীর পাড়ের দোকানদারদের মালিকানার সঠিক কাগজপত্র থাকলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে এবং যাদের কাগজ নেই সেসব দোকানদের বিষয় বিবেচনা করা হবে। কাজটি করতে গিয়ে ভৈরববাসীর সাময়িক অসুবিধা হলেও  তিনি সকলের  সহযোগীতা কামনা করেন। তিনি বলেন কাজটি আগামী বছর শেষ হলে এর সুফল ভোগ করবে ভৈরবের জনগন। এতে এখানকার ব্যবসা বানিজ্যের উন্নতিসহ মালামালা উঠানামা, লঞ্চ চলাচলে ঘাটে লঞ্চ ভীড়ানোসহ  যাত্রীদের উঠানামার  অসুবিধা দূর হবে। এছাড়া আশুগন্জ পাড়েও ভারতীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টারমিনাল তৈরি হবে। এই টারমিনালের কাজটি আগের সরকার টেন্ডার দিয়ে গেছে। আশুগন্জ টারমিনাল ঘাটটি নির্মাণের  পর চালু হলে ভারত – বাংলাদেশ যৌথভাবে ঘাটটি  ব্যবহার করবে। ভৈরবের কাজটি সঠিক সময়ে শেষ করার পর নদী বন্দরের চেহারা পাল্টে যাবে। তিনি আরও বলেন আমার সৌভাগ্য গতকাল মন্ত্রণালয়ে ভৈরবের কাজের ফাইলটি স্বাক্ষর করার পর আজ ভৈরবে এসে স্বচক্ষে কাজের জায়গাটি পরিদর্শন করলাম। এর কারন কাজটি দ্রুত যথাসময়ে আমরা শেষ করতে চাই। যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে প্রজেক্টের টাকা বিশ্বব্যাংক ফেরত নিয়ে যাবে। কাজেই কাজের সুযোগ আমরা হারাতে চাইনা। 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে যুবলীগ নেতা কর্তৃক  প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অফিসে কক্ষে মারধোর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

ভৈরবে নির্মাণ করা হবে আন্তর্জাতিক মানের নৌ – টারমিনাল

Update Time : ০৮:১৬:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

১১ নভেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভৈরবে নির্মাণ করা হবে আন্তর্জাতিক মানের নৌ – টারমিনাল এবং আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্য কাজ শেষ করার লক্ষ্যে প্রস্ততি চলছে। ভৈরব একটি পুরানো নদী বন্দর, তাই বন্দরের উন্নতির লক্ষ্যে এখানে ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে  ৪ টি টারমিনাল জেটি নির্মাণ করা হবে।

 আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ভৈরব মেঘনা নদীর বন্দর  পরিদর্শনে এসে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অবঃ) ড, এম সাখাওয়াত হোসেন একথাগুলি বলেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, প্রকল্প পরিচালক ( পিডি) আয়ূব আলী, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন, ভৈরব পুলিশের সার্কেল এএসপি নাজমুস সাকিব প্রমূখ। 

নৌ – উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অবঃ) ড, এম সাখায়েত হোসেন বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রজেক্টের মধ্য ভৈরব একটি বড় প্রজেক্ট ছিল যা আন্তর্জাতিকভাবে টেন্ডার হবে কয়েকদিনের মধ্য। এখানে জেটির কাজ করতে গিয়ে নদীর পাড়ের দোকানদারদের মালিকানার সঠিক কাগজপত্র থাকলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে এবং যাদের কাগজ নেই সেসব দোকানদের বিষয় বিবেচনা করা হবে। কাজটি করতে গিয়ে ভৈরববাসীর সাময়িক অসুবিধা হলেও  তিনি সকলের  সহযোগীতা কামনা করেন। তিনি বলেন কাজটি আগামী বছর শেষ হলে এর সুফল ভোগ করবে ভৈরবের জনগন। এতে এখানকার ব্যবসা বানিজ্যের উন্নতিসহ মালামালা উঠানামা, লঞ্চ চলাচলে ঘাটে লঞ্চ ভীড়ানোসহ  যাত্রীদের উঠানামার  অসুবিধা দূর হবে। এছাড়া আশুগন্জ পাড়েও ভারতীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টারমিনাল তৈরি হবে। এই টারমিনালের কাজটি আগের সরকার টেন্ডার দিয়ে গেছে। আশুগন্জ টারমিনাল ঘাটটি নির্মাণের  পর চালু হলে ভারত – বাংলাদেশ যৌথভাবে ঘাটটি  ব্যবহার করবে। ভৈরবের কাজটি সঠিক সময়ে শেষ করার পর নদী বন্দরের চেহারা পাল্টে যাবে। তিনি আরও বলেন আমার সৌভাগ্য গতকাল মন্ত্রণালয়ে ভৈরবের কাজের ফাইলটি স্বাক্ষর করার পর আজ ভৈরবে এসে স্বচক্ষে কাজের জায়গাটি পরিদর্শন করলাম। এর কারন কাজটি দ্রুত যথাসময়ে আমরা শেষ করতে চাই। যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে প্রজেক্টের টাকা বিশ্বব্যাংক ফেরত নিয়ে যাবে। কাজেই কাজের সুযোগ আমরা হারাতে চাইনা।