২০ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবের মৌটুপি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মোঃ ইকবাল (২৯) হত্যার ঘটনায় ৬ দিন পর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হককে প্রধান আসামী করে ৯৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের স্ত্রী নবিছা আক্তার বাদী হয়ে ভৈরব থানায় এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২ নং আসামী করা হয় তোফাজ্জল হকের ছেলে তানভিরুল হক রাফিকে। এছাড়া সাদেকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক মাস্টারসহ আ,লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীকে মামলায় আসামী করা হয়েছে। নিহত ইকবাল মৌটুপি গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে। মামলার বিষয়টি থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ হাসমত উল্লাহ স্বীকার করেছেন।
গত ১৩ সেম্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামে কর্তা বংশ ও সরকার বংশের লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষ বাধঁলে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে সরকার বংশের ইকবাল ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এবিষয়ে সরকার বংশের নেতা ও সাদেকপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সরকার বংশের সাফায়েত উল্লাহ বলেন দীর্ঘদিনের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কর্তা বাড়ীর লোকজন সেদিন আমাদের বংশের লোকজনের ওপর হামলা চালালে ইকবাল নিহত হয়।
কর্তা বংশের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা তোফাজ্জল হক বলেন, ঘটনার দিন আমি ঘটনাস্থলে ছিলামনা। আমি ভৈরব বাজারে বাসা নিয়ে থাকি। গত ঈদের পরদিন সরকার বাড়ীর বংশের লোকজন আমার বাড়ীর নাদিমকে হত্যা করে। এরই জের ধরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষ শুরু হলে তাদের বাড়ীর ইকবাল মারা যায়। আমাকে মিথ্যা আসামী কেন করা হলো, তার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছি।
মামলার বাদী নবিছা আক্তার বলেন আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার পেতে শুক্রবার রাতে থানায় একটি মামলা করেছি।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ হাসমত উল্লাহ জানান, শুক্রবার রাত ১০ টায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ইকবাল হত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা করে। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব বলে তিনি জানিয়েছেন।