১১ আগস্ট, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরব থানা অস্থায়ী কার্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে পালিয়ে যাওয়া অধিকাংশ পুলিশ এখনও কাজে যোগদান করেনি বলে জানা গেছে। গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় দুর্বত্তরা ভৈরব থানাটি আগুনে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং লুটপাট করে নিয়ে যায় দ্রব্যাদি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র । এদিন তারা গাড়ীসহ থানার গুরুত্বপূর্ন কাগজ পুড়িয়ে দিয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে ভৈরবের আইভি রহমান স্টেডিয়ামে ঘাটাইলের জিওসি মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান থানার অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন এবং বিধ্বস্ত থানা পরিদর্শন করেছেন। এদিন কিশোরগন্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি), বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ শরীফুল আলম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল মনসুর উপস্থিত ছিলেন।
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভৈরবের আইনশৃংখলা ভেঙ্গে পড়েছিল। সরকারী দলের বিভিন্ন নেতাদের বাড়ীঘর ভাংচুর লুটপাট আগুন দেয়া হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ এসব দমন প্রতিরোধ করার পর বর্তমানে কিছুটা আইনশৃংখলার উন্নতি হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ শরীফুল আলম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম নেতাকর্মীদের নিয়ে আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণসহ হিন্দু সম্প্রাদায় ও মন্দির রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, আমার থানায় অফিসারসহ পুলিশ ছিল প্রায় ৭০ জন। থানার অস্থায়ী কার্যালয় গত শুক্রবার উদ্বোধনের পর পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) শাহিদুল ইসলামসহ আজ পর্যন্ত ফিরে এসেছে ১৫/২০ জন পুলিশ । আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি তবে কাগজপত্র, কম্পিউটার, ওয়ারলেস, অস্ত্র কিছুই নেই। সেনাবাহিনীর হাতে ছাত্ররা কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে জমা দিলেও এগুলি আমাদের এখনও বুঝিয়ে দেয়নি। পুরোদমে কাজ শুরু করতে আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। গত ৫ আগস্ট থানায় আগুন লুটপাট করার পর সব ধ্বংস হয়ে গেছে। অস্ত্র ছাড়া পুলিশ নিরাপদ নয়, পুলিশ এখনও নিরাপত্তার অভাববোধ করছে বলে জানান তিনি।।