ভৈরবে মামলার আসামী গ্রেফতারের পর ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা। পুলিশ সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করল   জনতা। ১০ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ।।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৯৩ Time View

২৩ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব  প্রতিনিধি

ভৈরবে মামলার আসামী গ্রেফতার করার পর ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করল উছৃংখল জনতা । এসময় গ্রামের কিছু উছৃংখল জনতা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপর আক্রমন করলে তারা ১০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে আত্মরক্ষা করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার রাত দেড়টার দিকে  শহরের জগনাথপুর এলাকার গাইনহাটি কান্দারহাটি এলাকায়।  গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো লাদেন (৩৫), নাঈদ (৩২) ও সজল (৩০)।

জানা গেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় এক সংঘর্ষ হলে এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে। এই ঘটনায় আহতের আত্মীয় রুমন বাদী হয়ে এদিনই থানায় একটি মামলা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জোহাব একদল পুলিশ নিয়ে সোমবার রাত ১ টায় আসামীদের গ্রেফতার করতে  ওই এলাকায় যায়। উল্লেখিত আসামীদেরকে গ্রেফতার করা মাত্র এলাকার কিছু উছৃংখল জনতা পুলিশের কাছ থেকে আসামীদের ছিনিয়ে নিতে তাদের উপর ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আক্রমন শুরু করে। থানার ওসি ও স্থানীয় সেনাক্যাম্পের সদস্যরা খবর পেয়ে রাত দেড়টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এরপর জনতা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপর বেপোয়ারাভাবে আক্রমন শুরু করে। এসময়  ঘটনাটির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রাণ রক্ষার্থে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করলে জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তারপর রাত আড়াইটায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতারকৃত তিন আসামীকে নিয়ে থানায় চলে আসে।

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের  উপ- পরিদর্শক জোহাব জানান, সোমবার রাত দেড়টার দিকে আমি মামলার বাদীকে নিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করতে গেলে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজন আসামী আটক করার পর গ্রামের কিছু উছৃংখল লোক আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন চালায়। পরে আমি থানার ওসিকে ঘটনা অবহিত করলে তিনি সেনাক্যাম্পের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) খন্দকার ফূয়াদ রুহানী জানান, একটি মারামারির ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে। এই ঘটনায় থানায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর একটি মামলা হয়। ওই মামলার আসামী গ্রেফতার করার পর কিছু উছৃংখল জনতা তিন আসামী পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে  সোমবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশের উপর আক্রমন শুরু করে। খবর পেয়ে আমি একদল পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জনতা আমাদের উপরও  আক্রমন চালায়। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে বলে তিনি জানান।  পরে জনতা পালিয়ে যায়। তিনি বলেন গ্রেফতারকৃত তিন আসামীকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে  কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে অপরাধীদেরকে আসামী করে  পুলিশ এ্যাসাল্ট মামলা হবে বলে তিনি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ নীতিমালা -২৫ পেছানো দাবি ডিলার এসোসিয়েশনের। যৌক্তিক কমিশন নির্ধারণ করার দাবি। 

ভৈরবে মামলার আসামী গ্রেফতারের পর ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা। পুলিশ সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করল   জনতা। ১০ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ।।

Update Time : ১২:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২৩ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব  প্রতিনিধি

ভৈরবে মামলার আসামী গ্রেফতার করার পর ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করল উছৃংখল জনতা । এসময় গ্রামের কিছু উছৃংখল জনতা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপর আক্রমন করলে তারা ১০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে আত্মরক্ষা করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার রাত দেড়টার দিকে  শহরের জগনাথপুর এলাকার গাইনহাটি কান্দারহাটি এলাকায়।  গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো লাদেন (৩৫), নাঈদ (৩২) ও সজল (৩০)।

জানা গেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় এক সংঘর্ষ হলে এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে। এই ঘটনায় আহতের আত্মীয় রুমন বাদী হয়ে এদিনই থানায় একটি মামলা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জোহাব একদল পুলিশ নিয়ে সোমবার রাত ১ টায় আসামীদের গ্রেফতার করতে  ওই এলাকায় যায়। উল্লেখিত আসামীদেরকে গ্রেফতার করা মাত্র এলাকার কিছু উছৃংখল জনতা পুলিশের কাছ থেকে আসামীদের ছিনিয়ে নিতে তাদের উপর ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আক্রমন শুরু করে। থানার ওসি ও স্থানীয় সেনাক্যাম্পের সদস্যরা খবর পেয়ে রাত দেড়টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এরপর জনতা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপর বেপোয়ারাভাবে আক্রমন শুরু করে। এসময়  ঘটনাটির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রাণ রক্ষার্থে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করলে জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তারপর রাত আড়াইটায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতারকৃত তিন আসামীকে নিয়ে থানায় চলে আসে।

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের  উপ- পরিদর্শক জোহাব জানান, সোমবার রাত দেড়টার দিকে আমি মামলার বাদীকে নিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করতে গেলে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজন আসামী আটক করার পর গ্রামের কিছু উছৃংখল লোক আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন চালায়। পরে আমি থানার ওসিকে ঘটনা অবহিত করলে তিনি সেনাক্যাম্পের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) খন্দকার ফূয়াদ রুহানী জানান, একটি মারামারির ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে। এই ঘটনায় থানায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর একটি মামলা হয়। ওই মামলার আসামী গ্রেফতার করার পর কিছু উছৃংখল জনতা তিন আসামী পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে  সোমবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশের উপর আক্রমন শুরু করে। খবর পেয়ে আমি একদল পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জনতা আমাদের উপরও  আক্রমন চালায়। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে বলে তিনি জানান।  পরে জনতা পালিয়ে যায়। তিনি বলেন গ্রেফতারকৃত তিন আসামীকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে  কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে অপরাধীদেরকে আসামী করে  পুলিশ এ্যাসাল্ট মামলা হবে বলে তিনি জানান।