মেঘনায় বালু উত্তোলন নিয়ে সংবাদ সন্মেলন

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪৫৮ Time View

আশুগঞ্জের ইউএনও’র বিরুদ্ধে ইজারাদারের অভিযোগ প্রতিদিন  এক লাখ টাকা দেয়ার দাবি।

৩ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব  প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও)  রাফে মোহাম্মদ ছরা’র বিরুদ্ধে মেঘনায় বালু উত্তোলনে ইজারাদারের কাছ থেকে দিনে এক লাখ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে অভিযোগ করা হয়, অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের ড্রেজার  জব্দের সময় ইজারাদারের প্রতিনিধিদের কাছে থাকা ১১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন ইউএনও।  

আজ বুধবার সকালে  ভৈরব প্রেসক্লাবে এক  সংবাদ সম্মেলন করে ইউএনও’র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন  ইজারাদার মেসার্স নাগিব এন্টারপ্রাইজের মালিক তানভীর আহমেদ নাগিব। এসময়  লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। 

তানভির আহমেদ নাগিব ভৈরব উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই। 

সাংবাদিক সম্মেলন চলার সময় উপজেলা বিএনপি সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  

তবে ইউএনও রাফে মোহাম্মদ ছরা এসব  অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, ভৈরবের নির্ধারিত বালু মহাল ছেড়ে সীমানা লঙ্ঘন করে আশুগঞ্জ প্রান্ত থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। এতে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের টাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। মূলত বিদ্যুত  টাওয়ার রক্ষায় গতকাল মঙ্গলবার   সকালে মেঘনা নদীতে  অভিযান চালানো হয়। তখন চারটি ড্রেজার  ও পাঁচটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়। ইজারাদারের লোকজন আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। জোর করে ড্রেজার ছাড়িয়ে নেয়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ইজারাদারের দুই কর্মী মোঃ আলী ও জুবায়েরকে  এক বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়। ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে  সাতজনের বিরুদ্ধে  আশুগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভৈরবের বালু মহল ইজারাদারের লোকজন ইউএনও’র প্রাণনাশের হুমকিসহ তাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। তিনি ইজারাদারের কাছে প্রতিদিন একলাখ টাকা দাবি করার কথা অস্বীকার করেন। 

১১ লাখ টাকার বিষয়ে ইউএনও  বলেন, অভিযানের সময় দুটি টাকার ব্যাগ পাওয়া যায়। জব্দ করা টাকার ব্যাগ পরবর্তীতে ইজারাদারের লোকজন আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। 

সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, মেঘনার ভৈরব বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলনের জন্য মেসার্স নাগিব এন্টারপ্রাইজ চলতি বছরের ১৪ মে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে ষোল কোটি চুরানব্বই লাখ সাইত্রিশ হাজার পাঁচশত টাকায় ইজারপ্রাপ্ত হন। ইজারা এলাকা ১৬১০.২৫৮ একর নদী। নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ৯কোটি ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৯৬৫ ঘনফুট বালু তোলার অনুমতি রয়েছে। ইজারাপ্রাপ্ত হবার পর নির্দিষ্ট বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদীর এক প্রান্ত ভৈরব, অপর প্রান্ত আশুগঞ্জ। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আশুগঞ্জের ইউএনও প্রায়দিন  নদীতে অভিযান চালান। তাঁর অবৈধ অভিযানের কারণে স্বাভাবিক বালু উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই পর্যন্ত একাধিক অভিযান চালিয়ে ইউএনও আমাদের ১৪টি ড্রেজার ও একটি বাল্কহেড জব্দ করে। এতে অনেক টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। ইজারাপ্রাপ্ত হলেও ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে আমাদের কাছে ইউএনও দিনে এক লাখ টাকা দাবি করেন। আমাদের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এই কারণেই সীমানা লঙ্ঘনের মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের হয়রানী করছে বলে ইজারাদার জানান। ইজারাদার বলেন, মঙ্গলবার ঘটনার সময় আমাদের কোন লোক ইউএনও’কে প্রাণনাশের হুমকি বা তাকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ অসত্য, মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক। ঘটনার সময় আমরা বালু মহল ইজারার নিয়মকানুনের কথা বলেছি। ইতিপূর্বে আমরা ইউএনও’কে তার দাবি অনুযায়ী তিনলাখ টাকা ঘূষ দিয়েছি। এখন তার দাবি নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে প্রতিদিন তাকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে, যা দেয়া সম্ভব নয়। 

ইজারাদার তানভির আহমেদ নাগিব  আরও বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হলো একদিকে টাওয়ার ঝুঁকি মুক্ত রাখার কথা বলা হচ্ছে। অন্য দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন দরপত্র ছাড়া আশুগঞ্জ প্রান্ত থেকে বালু তোলার অনুমতি দিয়েছে একটি মহলকে। দিনে ১৮টি ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তোলা হচ্ছে। সেখানে আশুগঞ্জের ইজারদার মীর আখতার হোসেনকে  কিছু বলছেননা তিনি। 

ড্রেজার ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে উপজেলা বিএনপি সভাপতি রফিকুল ইসলামের ভাষ্য, নদী থেকে ড্রেজার ছিনিয়ে নেওয়া আইসত ঠিক হয়নি । ইউএনও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে  মিথ্যা অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করেছেন। তাদেরকে মূলত হয়রানী করার জন্য মামলাটি করেছেন বলে তার দাবি।

এবিষয়ে ভৈরব নৌ-থানার ইনচার্জ মোঃ রাশেদ আহমেদ জানান, মঙ্গলবারের ঘটনার সময় আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিলনা। তবে পরবর্তীতে আশুগঞ্জের ইউএনও সাহেব ফোন করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকটি ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, ভৈরব ও আশুগঞ্জ প্রান্তে দুই ইজারাদার। নদীতে এড়িয়া চিন্হিত করলে লাল পতাকা দিতে হয়, নতুবা পানির মধ্য এড়িয়া চিন্হিত করা স্থান পুলিশ চিনতে পারেনা। একারনে বালু উত্তোলনে আমরা বাধা দিতে পারিনা। ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মামলা হলে ওসি আমাদেরকে অবগত করবে। কারন নদীর ঘটনার মামলাটি নৌ-পুলিশই তদন্ত করে থাকে। আমি মামলার বিষয়ে এখনও কিছুই জানিনা বলে তিনি জানান।

এব্যাপারে কথা বলতে  ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিনের সাথে মোবাইলে  যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ নীতিমালা -২৫ পেছানো দাবি ডিলার এসোসিয়েশনের। যৌক্তিক কমিশন নির্ধারণ করার দাবি। 

মেঘনায় বালু উত্তোলন নিয়ে সংবাদ সন্মেলন

Update Time : ১০:২৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আশুগঞ্জের ইউএনও’র বিরুদ্ধে ইজারাদারের অভিযোগ প্রতিদিন  এক লাখ টাকা দেয়ার দাবি।

৩ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব  প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও)  রাফে মোহাম্মদ ছরা’র বিরুদ্ধে মেঘনায় বালু উত্তোলনে ইজারাদারের কাছ থেকে দিনে এক লাখ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে অভিযোগ করা হয়, অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের ড্রেজার  জব্দের সময় ইজারাদারের প্রতিনিধিদের কাছে থাকা ১১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন ইউএনও।  

আজ বুধবার সকালে  ভৈরব প্রেসক্লাবে এক  সংবাদ সম্মেলন করে ইউএনও’র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন  ইজারাদার মেসার্স নাগিব এন্টারপ্রাইজের মালিক তানভীর আহমেদ নাগিব। এসময়  লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। 

তানভির আহমেদ নাগিব ভৈরব উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই। 

সাংবাদিক সম্মেলন চলার সময় উপজেলা বিএনপি সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  

তবে ইউএনও রাফে মোহাম্মদ ছরা এসব  অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, ভৈরবের নির্ধারিত বালু মহাল ছেড়ে সীমানা লঙ্ঘন করে আশুগঞ্জ প্রান্ত থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। এতে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের টাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। মূলত বিদ্যুত  টাওয়ার রক্ষায় গতকাল মঙ্গলবার   সকালে মেঘনা নদীতে  অভিযান চালানো হয়। তখন চারটি ড্রেজার  ও পাঁচটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়। ইজারাদারের লোকজন আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। জোর করে ড্রেজার ছাড়িয়ে নেয়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ইজারাদারের দুই কর্মী মোঃ আলী ও জুবায়েরকে  এক বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়। ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে  সাতজনের বিরুদ্ধে  আশুগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভৈরবের বালু মহল ইজারাদারের লোকজন ইউএনও’র প্রাণনাশের হুমকিসহ তাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। তিনি ইজারাদারের কাছে প্রতিদিন একলাখ টাকা দাবি করার কথা অস্বীকার করেন। 

১১ লাখ টাকার বিষয়ে ইউএনও  বলেন, অভিযানের সময় দুটি টাকার ব্যাগ পাওয়া যায়। জব্দ করা টাকার ব্যাগ পরবর্তীতে ইজারাদারের লোকজন আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। 

সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, মেঘনার ভৈরব বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলনের জন্য মেসার্স নাগিব এন্টারপ্রাইজ চলতি বছরের ১৪ মে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে ষোল কোটি চুরানব্বই লাখ সাইত্রিশ হাজার পাঁচশত টাকায় ইজারপ্রাপ্ত হন। ইজারা এলাকা ১৬১০.২৫৮ একর নদী। নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ৯কোটি ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৯৬৫ ঘনফুট বালু তোলার অনুমতি রয়েছে। ইজারাপ্রাপ্ত হবার পর নির্দিষ্ট বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদীর এক প্রান্ত ভৈরব, অপর প্রান্ত আশুগঞ্জ। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আশুগঞ্জের ইউএনও প্রায়দিন  নদীতে অভিযান চালান। তাঁর অবৈধ অভিযানের কারণে স্বাভাবিক বালু উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই পর্যন্ত একাধিক অভিযান চালিয়ে ইউএনও আমাদের ১৪টি ড্রেজার ও একটি বাল্কহেড জব্দ করে। এতে অনেক টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। ইজারাপ্রাপ্ত হলেও ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে আমাদের কাছে ইউএনও দিনে এক লাখ টাকা দাবি করেন। আমাদের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এই কারণেই সীমানা লঙ্ঘনের মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের হয়রানী করছে বলে ইজারাদার জানান। ইজারাদার বলেন, মঙ্গলবার ঘটনার সময় আমাদের কোন লোক ইউএনও’কে প্রাণনাশের হুমকি বা তাকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ অসত্য, মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক। ঘটনার সময় আমরা বালু মহল ইজারার নিয়মকানুনের কথা বলেছি। ইতিপূর্বে আমরা ইউএনও’কে তার দাবি অনুযায়ী তিনলাখ টাকা ঘূষ দিয়েছি। এখন তার দাবি নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে প্রতিদিন তাকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে, যা দেয়া সম্ভব নয়। 

ইজারাদার তানভির আহমেদ নাগিব  আরও বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হলো একদিকে টাওয়ার ঝুঁকি মুক্ত রাখার কথা বলা হচ্ছে। অন্য দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন দরপত্র ছাড়া আশুগঞ্জ প্রান্ত থেকে বালু তোলার অনুমতি দিয়েছে একটি মহলকে। দিনে ১৮টি ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তোলা হচ্ছে। সেখানে আশুগঞ্জের ইজারদার মীর আখতার হোসেনকে  কিছু বলছেননা তিনি। 

ড্রেজার ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে উপজেলা বিএনপি সভাপতি রফিকুল ইসলামের ভাষ্য, নদী থেকে ড্রেজার ছিনিয়ে নেওয়া আইসত ঠিক হয়নি । ইউএনও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে  মিথ্যা অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করেছেন। তাদেরকে মূলত হয়রানী করার জন্য মামলাটি করেছেন বলে তার দাবি।

এবিষয়ে ভৈরব নৌ-থানার ইনচার্জ মোঃ রাশেদ আহমেদ জানান, মঙ্গলবারের ঘটনার সময় আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিলনা। তবে পরবর্তীতে আশুগঞ্জের ইউএনও সাহেব ফোন করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকটি ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, ভৈরব ও আশুগঞ্জ প্রান্তে দুই ইজারাদার। নদীতে এড়িয়া চিন্হিত করলে লাল পতাকা দিতে হয়, নতুবা পানির মধ্য এড়িয়া চিন্হিত করা স্থান পুলিশ চিনতে পারেনা। একারনে বালু উত্তোলনে আমরা বাধা দিতে পারিনা। ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মামলা হলে ওসি আমাদেরকে অবগত করবে। কারন নদীর ঘটনার মামলাটি নৌ-পুলিশই তদন্ত করে থাকে। আমি মামলার বিষয়ে এখনও কিছুই জানিনা বলে তিনি জানান।

এব্যাপারে কথা বলতে  ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিনের সাথে মোবাইলে  যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।