ভৈরবে শ্বশুর বাড়ির কেনা জমিতে দখল নিতে চাইলে শ্বাশুড়ী দিলেন মিথ্যা মামলা। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩৫৬ Time View

 ১৬ আগস্ট,  নিজস্ব  প্রতিনিধি

 ভৈরবের শ্বশুর বাড়ির কেনা জমিতে দখল নিতে চাইলে শ্বাশুড়ী দিলেন মিথ্যা মামলা । ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী মোঃ বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী । 

আজ শনিবার  দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব দুর্জয় মোড়ে শতাধিক এলাকাবাসী নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বাবুল মিয়ার বৈধভাবে ক্রয়কৃত জায়গা-সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল নেওয়ার জন্য কালিপুর গ্রামের নাজমা আক্তার ওরফে পাশী, সুমন মিয়া ও তার কথিত স্ত্রী স্বপ্না বেগম গং পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার মামলা সাজিয়ে হয়রানি ও মানহানি করছে বলে অভিযোগ করা হয়।

বক্তারা জানান, কয়েক বছর আগে বাবুল মিয়া তার শ্বশুর বাড়ি কালিপুরে কয়েক ঘন্টা জমি ক্রয় করেন। তাঁর জমির দখল, মালিকানা ও কাগজপত্র সবই বৈধ এবং আইনগতভাবে সুরক্ষিত আছে। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে বাবুল মিয়ার শ্বাশুড়ী নাজমা আক্তার পাশী, তার ছেলে সুমন মিয়া ও তার কথিত স্ত্রী স্বপ্না বেগম পরিকল্পিতভাবে ওই জমি দখলের চেষ্টা শুরু করে। দখল প্রক্রিয়াকে সহজ করতে এবং স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে তারা বাবুল মিয়ার সামাজিক মর্যাদা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তাকে ধর্ষণ চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় মিথ্যা স্বাক্ষী করায় মানববন্ধনে এসে বাদীর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান দুইজন স্বাক্ষী কালিপুর ১২নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মতি মিয়া ও বাছির মিয়া ওরফে আহাদ মিয়া। তারা জানান, ধর্ষণের ঘটনা কোন ঘটেনি। তাদেরকে মিথ্যা স্বাক্ষী করা হয়েছে।  এমিথ্যা ধর্ষণ মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের৷ কাছে দাবি জানান। 

ভুক্তভোগী বাবুল মিয়া ও তার স্ত্রী সুলতানা বেগম সুপ্তি দাবি করেন, এটি একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত, যার মাধ্যমে তাকে সামাজিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। তারা আরও বলেন, বাবুল মিয়া একজন সাধারণ ব্যবসায়ী মানুষ, বহু বছর ধরে এই এলাকায় সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। এই ধরনের মিথ্যা মামলা শুধু আমার পরিবার নয়, ব্যবসাকেও বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। 

এ ঘটনায় তারা স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা কামনা করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা মামলার অবসান ও চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ নীতিমালা -২৫ পেছানো দাবি ডিলার এসোসিয়েশনের। যৌক্তিক কমিশন নির্ধারণ করার দাবি। 

ভৈরবে শ্বশুর বাড়ির কেনা জমিতে দখল নিতে চাইলে শ্বাশুড়ী দিলেন মিথ্যা মামলা। 

Update Time : ০৮:৫০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

 ১৬ আগস্ট,  নিজস্ব  প্রতিনিধি

 ভৈরবের শ্বশুর বাড়ির কেনা জমিতে দখল নিতে চাইলে শ্বাশুড়ী দিলেন মিথ্যা মামলা । ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী মোঃ বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী । 

আজ শনিবার  দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব দুর্জয় মোড়ে শতাধিক এলাকাবাসী নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বাবুল মিয়ার বৈধভাবে ক্রয়কৃত জায়গা-সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল নেওয়ার জন্য কালিপুর গ্রামের নাজমা আক্তার ওরফে পাশী, সুমন মিয়া ও তার কথিত স্ত্রী স্বপ্না বেগম গং পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার মামলা সাজিয়ে হয়রানি ও মানহানি করছে বলে অভিযোগ করা হয়।

বক্তারা জানান, কয়েক বছর আগে বাবুল মিয়া তার শ্বশুর বাড়ি কালিপুরে কয়েক ঘন্টা জমি ক্রয় করেন। তাঁর জমির দখল, মালিকানা ও কাগজপত্র সবই বৈধ এবং আইনগতভাবে সুরক্ষিত আছে। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে বাবুল মিয়ার শ্বাশুড়ী নাজমা আক্তার পাশী, তার ছেলে সুমন মিয়া ও তার কথিত স্ত্রী স্বপ্না বেগম পরিকল্পিতভাবে ওই জমি দখলের চেষ্টা শুরু করে। দখল প্রক্রিয়াকে সহজ করতে এবং স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে তারা বাবুল মিয়ার সামাজিক মর্যাদা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তাকে ধর্ষণ চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় মিথ্যা স্বাক্ষী করায় মানববন্ধনে এসে বাদীর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান দুইজন স্বাক্ষী কালিপুর ১২নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মতি মিয়া ও বাছির মিয়া ওরফে আহাদ মিয়া। তারা জানান, ধর্ষণের ঘটনা কোন ঘটেনি। তাদেরকে মিথ্যা স্বাক্ষী করা হয়েছে।  এমিথ্যা ধর্ষণ মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের৷ কাছে দাবি জানান। 

ভুক্তভোগী বাবুল মিয়া ও তার স্ত্রী সুলতানা বেগম সুপ্তি দাবি করেন, এটি একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত, যার মাধ্যমে তাকে সামাজিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। তারা আরও বলেন, বাবুল মিয়া একজন সাধারণ ব্যবসায়ী মানুষ, বহু বছর ধরে এই এলাকায় সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। এই ধরনের মিথ্যা মামলা শুধু আমার পরিবার নয়, ব্যবসাকেও বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। 

এ ঘটনায় তারা স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা কামনা করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা মামলার অবসান ও চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।