ভৈরবে ব্যবসায়ী রোগীকে ছুরিকাঘাতে আহত করে  চিকিৎসার লাখ  টাকা ছিনিয়ে নিল ছিনতাইকারীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • ২৭২ Time View

২ আগস্ট, নিজস্ব  প্রতিনিধি

 ভৈরবে ব্যবসায়ী  রোগীকে ছুরিকাঘাতে  আহত করে চিকিৎসার লাখ  টাকা ছিনিয়ে নিল ছিনতাইকারীরা। আজ শনিবার সকাল পৌনে ৬ টার দিকে  শহরের রেলস্টেশন রোডে  এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা হলো ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকারর আমীর খান ও তার স্ত্রী  নাদিরা খান ও তাদের ছেলে ফারদিন খান। ছিনতাইকারীরা তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাদের সাথে থাকা চিকিৎসার ১  লাখ ১০ হাজার  টাকা, স্বর্ণালংঙ্কার ও প্রত্যেকের   মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সময় তারা বাসা থেকে বের হয়ে রেলস্টেশন রোড দিয়ে অটোরিক্সা দিয়ে রেলস্টেশনে যাচ্ছিল ট্রেনে ঢাকা যেতে।  খবর পেয়ে দুপুর ১২ টায়  পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর   ভুক্তভোগী অভিযোগ দিতে  থানায় গেলে এস আই ফরিদুজ্জামান তাদের সাথে  অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন, এমন অভিযোগ করেন তিনি।

ভৈরব রেলস্টেশন রোডে প্রতিদিন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নির্বিকার। গত কয়েকদিন আগে আজমল ভূইঁয়া নামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ছিনতাইকারীরা আহত করে টাকা, মোবাইল নিয়ে যায়। এছাড়া প্রায় দিন রেলস্টেশন রোডে অহরহ ছিনতাই হচ্ছে। এই রোডটি ছিনতাইয়ের অভয়ারন্যে পরিণত হয়েছে স্থানীয়দের অভিযোগ। 

ভুক্তভোগী ফারদিন খান বলেন, আামি আমার অসুস্থ পিতা ও মাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে অটোরিক্সাযোগে   রেল স্টেশনে ট্রেনে উঠতে  যাচ্ছিলাম। পৌর কবরস্থানের সামনে পৌছালে কয়েকজন ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্র নিয়ে  প্রথমেই আমাদেরকে মারধোর করতে শুরু করে। তাদের আক্রমণে আমরা সবাই রক্তাক্ত জখম হয় । প্রাঁণ বাচাঁতে আমাদের সাথে থাকা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, মায়ের স্বর্নের গহনা ও আমাদের মোবাইল সেট  ছিনতাইকারিদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়। ঘটনার পর পরই থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে আমাকে কোন সহযোগিতাতো করা হয়নি  বরং উল্টো পুলিশ আমাকে বলে ছিনতাইকারীদেরকে আমি কেন আটক করিনি। সকাল পৌনে  ছয়টার সময় ঘটনা ঘটলেও পুলিশ দুপুর ১২ টার  সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় আমি ভৈরব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ফারদিন খানের বাবা আমির খাঁন অভিযোগ করে বলেন, আমি অসুস্থ, হার্টের রিং পরাতে টাকা নিয়ে রেলস্টেশনে যাচ্ছিলাম। উদ্যেশ্য ঢাকা যাব। স্টেশনে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা আমাদের অটোরিক্সার গতিরোধ করে টাকাপয়সা, স্বর্নের গহনা ও তিনটি মোবাইল ছিনতাইকারীরা  ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় আমি বাধা দিলে তারা আমাকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফূয়াদ রুহানী এবিষয়ে জানান, আমি থানায় এসে ঘটনার অভিযোগ জেনে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পুলিশ ঘটনাটি নিয়ে কাজ করছে। অপরাধীদের চিন্হিত করে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ নীতিমালা -২৫ পেছানো দাবি ডিলার এসোসিয়েশনের। যৌক্তিক কমিশন নির্ধারণ করার দাবি। 

ভৈরবে ব্যবসায়ী রোগীকে ছুরিকাঘাতে আহত করে  চিকিৎসার লাখ  টাকা ছিনিয়ে নিল ছিনতাইকারীরা

Update Time : ০৯:১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

২ আগস্ট, নিজস্ব  প্রতিনিধি

 ভৈরবে ব্যবসায়ী  রোগীকে ছুরিকাঘাতে  আহত করে চিকিৎসার লাখ  টাকা ছিনিয়ে নিল ছিনতাইকারীরা। আজ শনিবার সকাল পৌনে ৬ টার দিকে  শহরের রেলস্টেশন রোডে  এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা হলো ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকারর আমীর খান ও তার স্ত্রী  নাদিরা খান ও তাদের ছেলে ফারদিন খান। ছিনতাইকারীরা তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাদের সাথে থাকা চিকিৎসার ১  লাখ ১০ হাজার  টাকা, স্বর্ণালংঙ্কার ও প্রত্যেকের   মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সময় তারা বাসা থেকে বের হয়ে রেলস্টেশন রোড দিয়ে অটোরিক্সা দিয়ে রেলস্টেশনে যাচ্ছিল ট্রেনে ঢাকা যেতে।  খবর পেয়ে দুপুর ১২ টায়  পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর   ভুক্তভোগী অভিযোগ দিতে  থানায় গেলে এস আই ফরিদুজ্জামান তাদের সাথে  অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন, এমন অভিযোগ করেন তিনি।

ভৈরব রেলস্টেশন রোডে প্রতিদিন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নির্বিকার। গত কয়েকদিন আগে আজমল ভূইঁয়া নামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ছিনতাইকারীরা আহত করে টাকা, মোবাইল নিয়ে যায়। এছাড়া প্রায় দিন রেলস্টেশন রোডে অহরহ ছিনতাই হচ্ছে। এই রোডটি ছিনতাইয়ের অভয়ারন্যে পরিণত হয়েছে স্থানীয়দের অভিযোগ। 

ভুক্তভোগী ফারদিন খান বলেন, আামি আমার অসুস্থ পিতা ও মাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে অটোরিক্সাযোগে   রেল স্টেশনে ট্রেনে উঠতে  যাচ্ছিলাম। পৌর কবরস্থানের সামনে পৌছালে কয়েকজন ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্র নিয়ে  প্রথমেই আমাদেরকে মারধোর করতে শুরু করে। তাদের আক্রমণে আমরা সবাই রক্তাক্ত জখম হয় । প্রাঁণ বাচাঁতে আমাদের সাথে থাকা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, মায়ের স্বর্নের গহনা ও আমাদের মোবাইল সেট  ছিনতাইকারিদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়। ঘটনার পর পরই থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে আমাকে কোন সহযোগিতাতো করা হয়নি  বরং উল্টো পুলিশ আমাকে বলে ছিনতাইকারীদেরকে আমি কেন আটক করিনি। সকাল পৌনে  ছয়টার সময় ঘটনা ঘটলেও পুলিশ দুপুর ১২ টার  সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় আমি ভৈরব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ফারদিন খানের বাবা আমির খাঁন অভিযোগ করে বলেন, আমি অসুস্থ, হার্টের রিং পরাতে টাকা নিয়ে রেলস্টেশনে যাচ্ছিলাম। উদ্যেশ্য ঢাকা যাব। স্টেশনে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা আমাদের অটোরিক্সার গতিরোধ করে টাকাপয়সা, স্বর্নের গহনা ও তিনটি মোবাইল ছিনতাইকারীরা  ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় আমি বাধা দিলে তারা আমাকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফূয়াদ রুহানী এবিষয়ে জানান, আমি থানায় এসে ঘটনার অভিযোগ জেনে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পুলিশ ঘটনাটি নিয়ে কাজ করছে। অপরাধীদের চিন্হিত করে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।