১৪ মে, নিজস্ব প্রতিনিধি:
সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নির্বাচন কমিশন দলের নিবন্ধন বাতিল করার পর ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার একটি মসজিদ কার্যালয়ের ব্যানার লাগিয়েছে স্থানীয় মুসুল্লিগন। মসজিদটির নাম দেয়া হয়েছে হযরত আবুবকর ছিদ্দিক ( রাঃ) জামে মসজিদ এবং ঠিকানা লেখা হয় ডাউল ও হলুদ মরিচ পট্রি । গতকাল দুপুর থেকে ভৈরব বাজার ডাউল ও হলুদ মরিচ পট্রির মুসুল্লিরাসহ বাজারে একাধিক মুসুল্লি ঘোষিত মসজিদে নামাজ আদায় কনেছেন। আজ বুধবার দুপুরে জোহরের নামাজের সময় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকজন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি একজন ইমামের পিছনে নামাজ আদায় করছেন। তবে কারা মসজিদের সাইনবোর্ড লাগানোর উদ্যেগ নিয়েছেন এবিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

জানা গেছে নিষিদ্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের জায়গাটি একটি সরকারী সম্পত্তি। দলের সভাপতি মোঃ সায়দুল্লাহ মিয়ার নামে সম্মত্তিটি দীর্ঘদিন আগে স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে লীজ নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয় করা হয়েছিল। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে সরকারের পতন ঘটে। এদিনই দুর্বত্তরা উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসটিতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় এবং অফিসের আসবাপত্র, দরজা – জানালা লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে গত ৮ মাস যাবত কার্যালয়টির কয়েকটি রুম পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। গত তিনদিন আগে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল করলে গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা নতুন মসজিদের নামকরন করে একটি ব্যানার লাগিয়ে নামাজ পড়তে শুরু করে।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসুল্লি যুগান্তর প্রতিনিধিকে বলেন, আওয়ামী লীগ এখন নিষিদ্ধ দল। গত ১৫ বছর অফিসটি ছিল দখলবাজ, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও অত্যাচারী নেতাদের অফিস। ৫ আগস্টের পর তারা পালিয়ে গেছে। অফিসটি কারো ব্যক্তি মালিকানার ছিলনা। এই জায়গা সরকারী সম্পত্তি আমরা জানি। জায়গাটি ভৈরব বাজারের মধ্যস্থানে অবস্থিত। ডাউল ও হুলুদ পট্রির ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা নামাজের সুবিধার্থে আমরা নতুন মসজিদে নামাজ পড়ব বলে ঘোষনা দিয়েছি। যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধসহ নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে, তাই নিষিদ্ধ দলের নেতাকর্মীরা এই অফিসে আর আসতে পারবেনা। আরেক মুসুল্লি বলেন, পরিত্যক্ত অফিসটি কাজে লাগানো হলো ধর্মীয় বিষয়ে। এতে মানুষ নামাজ আদায় করে উপকৃত হবে বলে এই মুসুল্লি জানান।