ভৈরব উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নববর্ষবরণ অনুষ্ঠান।  মেঘনা নদীর পাড়ে  বসেছে বৈশাখী মেলা।। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮৯ Time View

১৪ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভৈরব উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নববর্ষবরণ অনুষ্ঠান পালন করা হয়। আজ পহেলা বৈশাখ সোমবার সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে র‍্যালী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাচ- গান, কবিতা আবৃতি করা হয়। এছাড়া   উৎসবমুখর পরিবেশে বাঙ্গালি জাতির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ( বিছাস) এর  আয়োজনে  ভৈরবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড়ে  বসেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈশাখী মেলা – ১৪৩২। উপজেলা প্রশাসন ও বিছাস পৃথকভাবে দুটি র‍্যালীর আয়োজন করে। র‍্যালীতে ও অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভৈরবের কৃতি সন্তান ও হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন,  বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরিফুল আলম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজি শাহিন, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্যগন বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। 

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আজ সোমবার ভোর থেকে ভৈরব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (বিছাস)  নানা আয়োজনে বাঙ্গালি ঐতিহ্যবাহী পহেলা বৈশাখী উদযাপন করে ।  মেঘনা নদীর পাড়ে  বসেছে বিশাল  বৈশাখী মেলা। এর আগে সকাল সাড়ে ৮ টায় ভৈরব নিউ মার্কেট প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শুভাযাত্রার মাধ্যমে দিনটির সূচনা হয়। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছে।

উপজেলা প্রশাসন উপজেলা পরিষদ মাঠে একটি  মঞ্চে সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসময় বিভিন্ন শিল্পিরা গান -নাচ, কৌতুক পরিবেশনসহ কবিতা আবৃতি করে। এতে বিপুল সংখ্যক নারী – পুরুষসহ শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবি, পেশাজীবি লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল ৮ টায় তারা একটি র‍্যালীর আয়োজন করে। 

নববর্ষ উপলক্ষে  মেঘনা নদীর পাড়ে  ত্রি-সেতু এলাকায় জমেছে গ্রামীণ মেলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ভৈরবের  মেঘনা নদীর পাড়। এই দিনে বাড়তি রোজগারের আশায় মাটির তৈরি পুতুল, পাতিল, কড়াই, চুল্লি, হাতি, ঘোড়া, গরু, হাসঁ, মুরগিসহ বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এছাড়া বিন্নি ধানের খৈ, মিঠাই খৈ, মণ্ডামিঠাই ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী এবং বাচ্চাদের আকর্ষণীয় খেলনার কয়েক শতাধিক স্টল নিয়ে বসেন দোকানিরা। শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে চরকি, মিনি ট্রেন,  নাগরদোলা, ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ। মেলায় হাজার হাজার দর্শকের আগমন হয়। অনেকে পরিবার পরিজনসহ মেলায় দ্রব্যাদি কিনতে ভীড় করেছে। বেচাকেনা হয়েছে প্রচুর। মেলায় উপস্থিত হয়ে কিশোর কিশোরিরাসহ শিশুরা আনন্দ করছে, মজা করেছে। 

শোভাযাত্রায়  হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ছাড়াও  ভিপি সাইফুল ইসলাম, চেম্বার অব কমার্স এর সহ- সভাপতি জাহিদুল হক জাবেদ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি অনিক ভূঁইয়া , সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সিয়ামসহ বিছাসের উপদেষ্টা, সম্মানিত সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । 

ব্যাংকার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বাঙালী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, কৃষ্টি ছেলেমেয়েদের দেখাতে ভৈরবের মেঘনা নদীর পাড়ে  বৈশাখী মেলা আসেন তিনি।  এই মেলা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর বৈশাখী মেলা হিসাবে ধরা হয়।  সকালের দিকে মেলায় লোকজন কম ছিলো তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে লোকজনের ভীঁড় বেড়ে গেছে। 

সন্তান স্ত্রী নিয়ে বৈশাখী মেলায় আসেন সমাজকর্মী ইকরাম বকস। তিনি বলেন, বৈশাখী মেলা বাঙালি জাতির প্রাণের স্পন্দন।  এই ঐহিত্যবাহী বৈশাখী মেলা প্রতিবছরই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ আয়োজন করে। । আমরা ভৈরববাসীসহ আশেপাশের কয়েকটি জেলা উপজেলার  লোকজন এই মেলা উপভোগ করতে আসি। এই ধরণের আয়োজন নতুন প্রজন্মকে বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত করে। 

কুলিয়ারচর থেকে আসা মিঠাই ও খৈ বিক্রেতা রাজিব মিয়া বলেন, ‘প্রতি বছর মেঘনার পাড়ে খৈ মুড়ি বিক্রি করতে আসি।  আমরা দোকানে বিন্নি চালের খৈ , মিঠা খৈ ও মিঠাই বিক্রি করছি। বেচাকেনা ভাল হচ্ছে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বৈশাখী মেলায় পুতুল নাচ  দেখাতে দল নিয়ে এসেছেন মো.আক্কাছ আলী। তিনি জানান, পুতুল নাচ বাঙালির ঐতিহ্যবাহী একটি সংস্কৃতি। এটি বর্তমানে প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমরা দেশের পথে প্রান্তরে  পুতুল নাচ দেখিয়ে মানুষদের বিনোদন দিচ্ছি। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, ছাত্র সংসদ প্রতিবছরই বাঙালির ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে থাকেন। এই মেলায় হাজার হাজার  দর্শনার্থীরা তাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন নিয়ে ঘুরতে আসেন এবং নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির সংস্কৃতি, কৃষ্টি পরিচয় করে দিতে আসেন। 

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ৪২ বছর যাবত ভৈরবের মেঘনা নদীর পাড়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর বৈশাখী মেলার আয়োজন করে আসছে। মেলায় কয়েকশ  বিভিন্ন জিনিসপত্রের স্টল বসেছে। এসব স্টলে আগত দর্শনার্থীরা তাদের পছন্দমত জিনিসপত্র কিনছেন।  তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ( বিছাস) আমারই সৃষ্টি। আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন বিছাস সৃষ্টি করে প্রথম সভাপতি হয়েছিলাম। এই সংগঠনটি আজও টিকিয়ে থেকে সামাজিক কাজে কাজ করছে। এটা আমার ও ভৈরববাসীর গর্ব। 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে যুবলীগ নেতা কর্তৃক  প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অফিসে কক্ষে মারধোর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

ভৈরব উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নববর্ষবরণ অনুষ্ঠান।  মেঘনা নদীর পাড়ে  বসেছে বৈশাখী মেলা।। 

Update Time : ১০:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

১৪ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভৈরব উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নববর্ষবরণ অনুষ্ঠান পালন করা হয়। আজ পহেলা বৈশাখ সোমবার সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে র‍্যালী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাচ- গান, কবিতা আবৃতি করা হয়। এছাড়া   উৎসবমুখর পরিবেশে বাঙ্গালি জাতির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ( বিছাস) এর  আয়োজনে  ভৈরবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড়ে  বসেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈশাখী মেলা – ১৪৩২। উপজেলা প্রশাসন ও বিছাস পৃথকভাবে দুটি র‍্যালীর আয়োজন করে। র‍্যালীতে ও অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভৈরবের কৃতি সন্তান ও হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন,  বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরিফুল আলম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজি শাহিন, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্যগন বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। 

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আজ সোমবার ভোর থেকে ভৈরব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (বিছাস)  নানা আয়োজনে বাঙ্গালি ঐতিহ্যবাহী পহেলা বৈশাখী উদযাপন করে ।  মেঘনা নদীর পাড়ে  বসেছে বিশাল  বৈশাখী মেলা। এর আগে সকাল সাড়ে ৮ টায় ভৈরব নিউ মার্কেট প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শুভাযাত্রার মাধ্যমে দিনটির সূচনা হয়। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছে।

উপজেলা প্রশাসন উপজেলা পরিষদ মাঠে একটি  মঞ্চে সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসময় বিভিন্ন শিল্পিরা গান -নাচ, কৌতুক পরিবেশনসহ কবিতা আবৃতি করে। এতে বিপুল সংখ্যক নারী – পুরুষসহ শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবি, পেশাজীবি লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল ৮ টায় তারা একটি র‍্যালীর আয়োজন করে। 

নববর্ষ উপলক্ষে  মেঘনা নদীর পাড়ে  ত্রি-সেতু এলাকায় জমেছে গ্রামীণ মেলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ভৈরবের  মেঘনা নদীর পাড়। এই দিনে বাড়তি রোজগারের আশায় মাটির তৈরি পুতুল, পাতিল, কড়াই, চুল্লি, হাতি, ঘোড়া, গরু, হাসঁ, মুরগিসহ বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এছাড়া বিন্নি ধানের খৈ, মিঠাই খৈ, মণ্ডামিঠাই ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী এবং বাচ্চাদের আকর্ষণীয় খেলনার কয়েক শতাধিক স্টল নিয়ে বসেন দোকানিরা। শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে চরকি, মিনি ট্রেন,  নাগরদোলা, ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ। মেলায় হাজার হাজার দর্শকের আগমন হয়। অনেকে পরিবার পরিজনসহ মেলায় দ্রব্যাদি কিনতে ভীড় করেছে। বেচাকেনা হয়েছে প্রচুর। মেলায় উপস্থিত হয়ে কিশোর কিশোরিরাসহ শিশুরা আনন্দ করছে, মজা করেছে। 

শোভাযাত্রায়  হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ছাড়াও  ভিপি সাইফুল ইসলাম, চেম্বার অব কমার্স এর সহ- সভাপতি জাহিদুল হক জাবেদ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি অনিক ভূঁইয়া , সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সিয়ামসহ বিছাসের উপদেষ্টা, সম্মানিত সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । 

ব্যাংকার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বাঙালী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, কৃষ্টি ছেলেমেয়েদের দেখাতে ভৈরবের মেঘনা নদীর পাড়ে  বৈশাখী মেলা আসেন তিনি।  এই মেলা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর বৈশাখী মেলা হিসাবে ধরা হয়।  সকালের দিকে মেলায় লোকজন কম ছিলো তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে লোকজনের ভীঁড় বেড়ে গেছে। 

সন্তান স্ত্রী নিয়ে বৈশাখী মেলায় আসেন সমাজকর্মী ইকরাম বকস। তিনি বলেন, বৈশাখী মেলা বাঙালি জাতির প্রাণের স্পন্দন।  এই ঐহিত্যবাহী বৈশাখী মেলা প্রতিবছরই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ আয়োজন করে। । আমরা ভৈরববাসীসহ আশেপাশের কয়েকটি জেলা উপজেলার  লোকজন এই মেলা উপভোগ করতে আসি। এই ধরণের আয়োজন নতুন প্রজন্মকে বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত করে। 

কুলিয়ারচর থেকে আসা মিঠাই ও খৈ বিক্রেতা রাজিব মিয়া বলেন, ‘প্রতি বছর মেঘনার পাড়ে খৈ মুড়ি বিক্রি করতে আসি।  আমরা দোকানে বিন্নি চালের খৈ , মিঠা খৈ ও মিঠাই বিক্রি করছি। বেচাকেনা ভাল হচ্ছে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বৈশাখী মেলায় পুতুল নাচ  দেখাতে দল নিয়ে এসেছেন মো.আক্কাছ আলী। তিনি জানান, পুতুল নাচ বাঙালির ঐতিহ্যবাহী একটি সংস্কৃতি। এটি বর্তমানে প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমরা দেশের পথে প্রান্তরে  পুতুল নাচ দেখিয়ে মানুষদের বিনোদন দিচ্ছি। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, ছাত্র সংসদ প্রতিবছরই বাঙালির ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে থাকেন। এই মেলায় হাজার হাজার  দর্শনার্থীরা তাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন নিয়ে ঘুরতে আসেন এবং নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির সংস্কৃতি, কৃষ্টি পরিচয় করে দিতে আসেন। 

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ৪২ বছর যাবত ভৈরবের মেঘনা নদীর পাড়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর বৈশাখী মেলার আয়োজন করে আসছে। মেলায় কয়েকশ  বিভিন্ন জিনিসপত্রের স্টল বসেছে। এসব স্টলে আগত দর্শনার্থীরা তাদের পছন্দমত জিনিসপত্র কিনছেন।  তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ( বিছাস) আমারই সৃষ্টি। আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন বিছাস সৃষ্টি করে প্রথম সভাপতি হয়েছিলাম। এই সংগঠনটি আজও টিকিয়ে থেকে সামাজিক কাজে কাজ করছে। এটা আমার ও ভৈরববাসীর গর্ব।