১০ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে এক কিশোরী (১৬)কে ধর্ষণের অভিযোগে মাহফুজ মিয়া (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের নয়াহাটি এলাকার রবিকুল মিয়ার ছেলে। ধর্ষিতা কিশোরী ৬ মাসের অন্তঃসত্বা। অভিযোগ পাওয়ার পর গতকাল বুধবার রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয় তাকে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে থানা পুলিশ । এ ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত আসামি হলো একই এলাকার রহিম মিয়ার ছেলে জিবন মিয়া। গ্রেফতারকৃত মাহফুজকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।
ধর্ষিতার বাবার অভিযোগে জানা যায়, তার পাশের প্রতিবেশী অভিযুক্ত মাহফুজ ও তার বন্ধু জিবন বেশ কিছুদিন যাবত তার কিশোরী মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। গত বছর ৩ অক্টোবর বাড়ির পাশে কল পাড়ের একটি নিরব স্থানে মাহফুজ মিয়া তার বন্ধু জীবনের সহযোগিতায় কিশোরীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে৷ ধর্ষণের সময় তার বন্ধুর সহযোগিতায় উলঙ্গ অবস্থায় মুঠো ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। ছবি ও ভিডিওর ভয়-ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে অভিযুক্ত মাহফুজ আরও কয়েকবার ধর্ষণ করে। ভিডিও ফেসবুকে প্রচারের হুমকি ও লোকলজ্জার ভয়ে কিশোরি তার পরিবারকে এতদিন ঘটনাটি জানায়নি। এরই মধ্য কিশোরি গর্ভবতি হয়ে গেলে টের পেয়ে সে মাহফুজকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় গোপনে। কিন্ত মাহফুজ বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পরে গত কয়েকদিন আগে কিশোরীর পরিবার ঘটনাটি টের পেয়ে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে সে ৬ মাসের অন্তঃসত্বা এবং ঘটনাটি ঘটিয়েছে মাহফুজ। এরপর গতকাল বুধবার দুপুরে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে দুইজনকে অভিযুক্ত করে ভৈরব থানায় একটি ধর্ষন মামলা করলে রাতেই অভিযুক্ত মাহফুজকে পুলিশ তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে। তবে অপর আসামী জিবনকে পুলিশ ধরতে পারেনি।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী পিতা বলেন, মাহফুজ আমার মেয়েকে বিয়ের প্রভোলন দেখিয়ে ধর্ষন করে। এতে সহযোগীতা করে তার বন্ধু জিবন। এমনকি ধর্ষনের ভিডিও ধারন করে ফেসবুকে প্রচারের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করেছে মাহফুজ। ঘটনাটি লজ্জার ভয়ে আমার মেয়ে এতদিন আমাদেরকে জানায়নি। এখন ঘটনা জানতে পেরে আমি দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমার মেয়ের জীবনটা ধ্বংস করে দিয়েছে সে। আমি অপরাধীর বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত যুবক মাহফুজকে বুধবার রাত ৯ টায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আরেক অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে। ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।