৩ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিনিধি।।
ভৈরব লঞ্চঘাটে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ল তিনবন্ধুসহ চারজন। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৭২ হাজার টাকা ও ২টি বাটন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে নদীরপাড় ভৈরব লঞ্চ টার্মিনালের ভিতরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভুক্তভোগী তিন বন্ধুরা হলেন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের ইসলামপুর এলাকার আক্কাছ মিয়ার ছেলে মো. কাশেম, কুমিল্লার দেবীদ্বার এলাকার শাহিন মিয়ার ছেলে মো. ইমন ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিনগরের বলাপুর এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে মো. সাকিব। তারা তিন বন্ধু চট্রগ্রামে একসাথে মসলার ব্যবসা করে। এছাড়াও ঘটনার সময় ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে সুনামগঞ্জের আব্দুর রহিমের ছেলে হযরত আলী।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. কাশেম বলেন, আমরা তিন বন্ধু চট্টগ্রামে মসলার ব্যবসা করি। ঈদ উপলক্ষে আমার দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে বাড়িতে বেড়াতে আসছিলাম। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ট্রেনযোগে ভৈরব রেলস্টেশনে আসার পর বাড়ী যাওয়ার উদ্যেশে লঞ্চঘাট যায়। সেসময় টার্মিনালে লঞ্চের জন্য যখন আমরা অপেক্ষা করছিলাম হঠাৎ ৫/৬ জন ছিনতাইকারী এসে আমাদের মারপিট করে একটি মোবাইল, নগদ ৫ হাজার টাকা ও কাপড়ের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এছাড়া আরেক ভুক্তভোগী হযরত আলী বলেন, আমি সুনামগঞ্জ থেকে ভৈরব বাজারে মালামাল কিনতে এসেছি। মালামাল কেনার পর কিছু টাকা হাতে ছিল, সেই টাকা নিয়ে আজ ভোরে লঞ্চঘাট যায়। আমি যখন লঞ্চ টার্মিনালে বসে ছিলাম তখন হঠাৎ কয়েকজন ছিনতাইকারী আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার কাছে থেকে মালামালসহ নগদ ৬৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, ঘটনাস্থল লঞ্চঘাট দেখাশুনার দায়িত্ব নৌ- পুলিশের। এটা আমার দেখার বিষয় নয়।
ভৈরব নৌ- থানার ইনচার্জ মোঃ রাশেদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি আমি অবগত হওয়ার পর খোঁজখবর নিতেছি। তবে ভূক্তিভূগিরা এখনও কোন অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।