ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। বাড়ি ঘর দোকানপাট ভাঙচুর।। আহত ১৫। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:১৩:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৫০ Time View

২৭ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব   প্রতিনিধি

 ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কয়েকটি  বাড়ি ঘর দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল  শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় পৌর শহরের চণ্ডিবের খাঁ বাড়ি বংশ ও মোল্লা বাড়ি বংশের লোকদের  মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে  থানা পুলিশ ও ভৈরব সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে   পৌর শহরের চণ্ডিবের খাঁ বাড়ির যুবকদের সাথে মোল্লা বাড়ির যুবকদের মধ্য তুচ্ছ ঘটনায়  ভৈরব বাজারে বাকবিতন্ডা ও মারামারি হয়। সন্ধ্যায় একই ঘটনায় চণ্ডিবের এলাকায় বাকবিতন্ডা ও মারামারি হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টায় উভয় পক্ষ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দা, বল্লম, লাঠি-সোটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই বংশের লোকজন  সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ১০টির মতো দোকানপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। দোকানপাট গুলোর মধ্যে শুভা খানম নামে এক নারী উদ্যোক্তার দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট করা হয়েছে। সংঘর্ষ প্রথমে থানা পুলিশ ব্যর্থ হলেও পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে জামান খাঁ (৫০), ইশান খাঁ (১৬), রাকিব (১৮), প্রান্ত (২৩), রুবেল (১৮), ইয়াছিন কাজি (১৬), জিহাদ (১৭) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে রাকিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আহতরা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা লিটন মোল্লা বলেন, রাতে বাড়ি ফিরে কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি দুই বংশের যুবকরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আমি ফেরাতে গেলে তাদের ছুড়া ইট পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছি। যুবকদের ঝগড়ায় রাস্তার পাশে থাকা দোকানপাট বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। 

এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী শুভা খানম বলেন, আমার অপরাধ আমি খাঁ বাড়ির বউ। আমি তিলে তিলে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। এর আগেও দুই বংশের ঝগড়ায় আমার প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছিল। তিন বছরেতো ঘুরে দাড়াতে পেরেছি। এখনতো আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট করে সব কিছু নিয়ে গেছে। 

এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বংশের মধ্যে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টায়  সংঘর্ষ হয়েছে। রাস্তার পাশে থাকা বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট করেছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভৈরবে জেলেদের  চাল বিতরণে শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে  ক্ষোভ

ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। বাড়ি ঘর দোকানপাট ভাঙচুর।। আহত ১৫। 

Update Time : ১১:১৩:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২৭ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব   প্রতিনিধি

 ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কয়েকটি  বাড়ি ঘর দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল  শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় পৌর শহরের চণ্ডিবের খাঁ বাড়ি বংশ ও মোল্লা বাড়ি বংশের লোকদের  মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে  থানা পুলিশ ও ভৈরব সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে   পৌর শহরের চণ্ডিবের খাঁ বাড়ির যুবকদের সাথে মোল্লা বাড়ির যুবকদের মধ্য তুচ্ছ ঘটনায়  ভৈরব বাজারে বাকবিতন্ডা ও মারামারি হয়। সন্ধ্যায় একই ঘটনায় চণ্ডিবের এলাকায় বাকবিতন্ডা ও মারামারি হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টায় উভয় পক্ষ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দা, বল্লম, লাঠি-সোটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই বংশের লোকজন  সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ১০টির মতো দোকানপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। দোকানপাট গুলোর মধ্যে শুভা খানম নামে এক নারী উদ্যোক্তার দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট করা হয়েছে। সংঘর্ষ প্রথমে থানা পুলিশ ব্যর্থ হলেও পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে জামান খাঁ (৫০), ইশান খাঁ (১৬), রাকিব (১৮), প্রান্ত (২৩), রুবেল (১৮), ইয়াছিন কাজি (১৬), জিহাদ (১৭) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে রাকিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আহতরা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা লিটন মোল্লা বলেন, রাতে বাড়ি ফিরে কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি দুই বংশের যুবকরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আমি ফেরাতে গেলে তাদের ছুড়া ইট পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছি। যুবকদের ঝগড়ায় রাস্তার পাশে থাকা দোকানপাট বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। 

এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী শুভা খানম বলেন, আমার অপরাধ আমি খাঁ বাড়ির বউ। আমি তিলে তিলে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। এর আগেও দুই বংশের ঝগড়ায় আমার প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছিল। তিন বছরেতো ঘুরে দাড়াতে পেরেছি। এখনতো আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট করে সব কিছু নিয়ে গেছে। 

এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বংশের মধ্যে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টায়  সংঘর্ষ হয়েছে। রাস্তার পাশে থাকা বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট করেছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।