ভৈরবে শিশু কন্যা হত্যার পলাতক  প্রধান আসামী গ্রেফতার। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২১১ Time View

৫ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি

 ভৈরবে  শিশু নুসরাত ( দেড়মাস) কে গলা টিপে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি আলমগীর মিয়া (৩২) কে ৩ মাস পর গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪  ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টায় উপজেলা শিবপুর ইউনিয়নের টান কৃষ্ণনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এর আগে একই ঘটনার অভিযোগে অভিযুক্ত আরেক আসামি শিশু নুসরাতের মা আয়েশা খাতুন (২৫)কে গত ৭ জুন রাতে ভৈরব  থেকে গ্রেফতার  করে ভৈরব থানা পুলিশ।  

 অপর আসামি পরকীয়া প্রেমিক আলমগীর মিয়া ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের টান কৃষ্ণনগর গ্রামের  শাহজাহান মিয়ার ছেলে। 

আজ শুক্রবার সকালে ভৈরব র‍্যাব-১৪ ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র পুলিশ সুপার মুহিত কবীর এক প্রেস ব্রেফিং করে জানান,  ৫ বছর আগে ধোবাউড়া থানার চন্দ্রগুনা গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার মেয়ে আয়েশা খাতুনের সাথে নরসিংদী বেলাব থানার নিলক্ষীয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ওমর ফারুকের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুই বছর তাদের সংসার ভাল চললেও পরবর্তীতে আলমগীরের জন্য সংসারে কলহ সৃষ্টি হয়। আয়েশার স্বামী ওমর ফারুক ও আলমগীর ভৈরবে একটি পাদুকা কারখানায় একসাথে কাজ করত। এই সূত্র ধরে আলমগীর সহকর্মী ফারুকের বাসায় যাতায়ত করে তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।   ফারুক – আয়েশার  সংসারে আলিফ নামে ৩ বছরের একটি ছেলে ও নুসরাত নামে দেড় বছরের একটি মেয়ে ছিল। পরকীয়ার জেরে  চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ৩ বছরের ছেলে আলিফকে স্বামীর বাড়িতে ফেলে রেখে আলমগীর এর সাথে ভৈরবের  লক্ষ্মীপুর গ্রামে  চলে আসে আয়েশা। এখানে এসে একটি  ভাড়া বাসায়  ওঠেন আয়েশা ও তার পরকীয়া প্রেমিক আলমগীর। গত ৭ জুন রাত ৭টায় মা আয়েশার বেগম চিৎকার চেচামেচি করে দেড় বছরের মেয়ে নুসরাতের মৃত্যুর খবর প্রতিবেশীসহ বাড়ির মালিককে জানায়। শিশুটির অস্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে মা আয়েশা খাতুনকে পুলিশে তুলে দেন বাড়ির মালিক শাহীন কবীর। ৮ জুন নিহত শিশুটির দাদা আবুল কালাম বাদী হয়ে থানায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন পরকীয়া প্রেমিক আলমগীর বাসায় ছিলনা।  ঘটনার পর থেকে আলমগীর পলাতক ছিল। র‍্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল  গভীর রাতে তাকে   গ্রেপ্তার করে। আজ শুক্রবার সকালে গ্রেফতারকৃত আলমগীরকে ভৈরব থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ নীতিমালা -২৫ পেছানো দাবি ডিলার এসোসিয়েশনের। যৌক্তিক কমিশন নির্ধারণ করার দাবি। 

ভৈরবে শিশু কন্যা হত্যার পলাতক  প্রধান আসামী গ্রেফতার। 

Update Time : ০৭:৫৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৫ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি

 ভৈরবে  শিশু নুসরাত ( দেড়মাস) কে গলা টিপে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি আলমগীর মিয়া (৩২) কে ৩ মাস পর গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪  ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টায় উপজেলা শিবপুর ইউনিয়নের টান কৃষ্ণনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এর আগে একই ঘটনার অভিযোগে অভিযুক্ত আরেক আসামি শিশু নুসরাতের মা আয়েশা খাতুন (২৫)কে গত ৭ জুন রাতে ভৈরব  থেকে গ্রেফতার  করে ভৈরব থানা পুলিশ।  

 অপর আসামি পরকীয়া প্রেমিক আলমগীর মিয়া ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের টান কৃষ্ণনগর গ্রামের  শাহজাহান মিয়ার ছেলে। 

আজ শুক্রবার সকালে ভৈরব র‍্যাব-১৪ ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র পুলিশ সুপার মুহিত কবীর এক প্রেস ব্রেফিং করে জানান,  ৫ বছর আগে ধোবাউড়া থানার চন্দ্রগুনা গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার মেয়ে আয়েশা খাতুনের সাথে নরসিংদী বেলাব থানার নিলক্ষীয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ওমর ফারুকের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুই বছর তাদের সংসার ভাল চললেও পরবর্তীতে আলমগীরের জন্য সংসারে কলহ সৃষ্টি হয়। আয়েশার স্বামী ওমর ফারুক ও আলমগীর ভৈরবে একটি পাদুকা কারখানায় একসাথে কাজ করত। এই সূত্র ধরে আলমগীর সহকর্মী ফারুকের বাসায় যাতায়ত করে তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।   ফারুক – আয়েশার  সংসারে আলিফ নামে ৩ বছরের একটি ছেলে ও নুসরাত নামে দেড় বছরের একটি মেয়ে ছিল। পরকীয়ার জেরে  চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ৩ বছরের ছেলে আলিফকে স্বামীর বাড়িতে ফেলে রেখে আলমগীর এর সাথে ভৈরবের  লক্ষ্মীপুর গ্রামে  চলে আসে আয়েশা। এখানে এসে একটি  ভাড়া বাসায়  ওঠেন আয়েশা ও তার পরকীয়া প্রেমিক আলমগীর। গত ৭ জুন রাত ৭টায় মা আয়েশার বেগম চিৎকার চেচামেচি করে দেড় বছরের মেয়ে নুসরাতের মৃত্যুর খবর প্রতিবেশীসহ বাড়ির মালিককে জানায়। শিশুটির অস্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে মা আয়েশা খাতুনকে পুলিশে তুলে দেন বাড়ির মালিক শাহীন কবীর। ৮ জুন নিহত শিশুটির দাদা আবুল কালাম বাদী হয়ে থানায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন পরকীয়া প্রেমিক আলমগীর বাসায় ছিলনা।  ঘটনার পর থেকে আলমগীর পলাতক ছিল। র‍্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল  গভীর রাতে তাকে   গ্রেপ্তার করে। আজ শুক্রবার সকালে গ্রেফতারকৃত আলমগীরকে ভৈরব থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।