২ আগস্ট, নিজস্ব প্রতিনিধি
ভৈরবে ছিনতাই প্রতিরোধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র সমাজ। এসময় ভৈরব থানা পুলিশকে তিন দিনের মধ্য চিহৃিত ছিনতাইকারীদের ধরতে আলটিমেটাম দেন তারা।

আজ শনিবার বিকালে সাড়ে ৫ টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেন ভৈরবের ছাত্র সমাজ।
জানা যায়, আজ শনিবার (২ আগস্ট) সকাল পৌনে ৬ টায় দিনের আলোয় জনসম্মুখে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যাওয়া একটি পরিবার। অসুস্থ বাবাকে চিকিৎসা দিতে সকাল ৬টায় ঢাকাগামী তিতাস ট্রেনে যেতেই পৌর কবরস্থান এর সামনে ছিনতাই কবলে পড়ে পরিবারটি। এসময় তাদের আহত করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় ছয় সদস্যের ছিনতাই চক্রের সদস্যরা। পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগ সকালে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে এএস আই ফরিদুজ্জামান অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।থানায় প্রতিকার না পেয়ে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী ফারদিন খান। পরে ভৈরবে এ নিয়ে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এঘটনার জের ধরে বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ভৈরবের ছাত্র ও যুব সমাজ ।
এসময় ছাত্রনেতা আজহারুল ইসলাম রিদম বলেন, আমরা ভৈরবে নিরাপদে নেই। আজকে সকালেও ভৈরবে ছিনতাই হয়েছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ছিনতাই হচ্ছে। ভৈরব থানা পুলিশ ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে। আজকে আমরা থানা পুলিশের জন্য শাড়ি ও চুড়ি নিয়ে আসেও তাদের দেয়নি। দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। যদি ভৈরবকে ছিনতাই মুক্ত না করতে পারে তাহলে আমরা থানার প্রতিটি পুলিশকে শাড়ি চুড়ি উপহার দিবো।
যুবনেতা নুরে আলম নিলয় বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে আমরা অষ্টম দফায় ছিনতাই বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে করেছি। ভৈরবে ছিনতাইয়ের ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আর আমরা বিক্ষোভ সমাবেশে করবো না। ভৈরবে প্রশাসন জন যদি ছিনতাই নির্মূল করতে না পারে আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলনে নামবো।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, আজ সকাল ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যে নাঈম মিয়া (২৩) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাইম শহরের পঞ্চবটি এলাকার মৃত গোলাপ মিয়া ছেলে। নাইমের দেয়া তথ্য মতে বাকিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ মাঠে রয়েছে। ছাত্র ও যুব সমাজ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা আসার বিষয়টি দুঃখজনক। তবে আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভৈরবে ছিনতাই নির্মূল করতে পুলিশ কাজ করছেন ৷