আমরা যখন   হাসিনাকে উৎখাৎ  করি তখন এক ব্যক্তির জায়গায় অন্য ব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য আন্দোলন করেনি,,,,, ভৈরবে পথসভায়  এনসিপি নেতা আক্তার হোসেন ও হাসনাত আবদুল্লাহ। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৫১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ২৩৮ Time View

২৬ জুলাই, নিজস্ব  প্রতিনিধি

আমরা যখন হাসিনাকে উৎখাৎ করি তখন এক ব্যক্তির জায়গায় অন্য ব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য আন্দোলন করেনি। বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্র  কাঠামো সংস্কার করা হবে, সংস্কার ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন হবেনা। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় জাতীয় নাগরিক পার্টি ( এনসিপি) ‘র সদস্য সচিব মোঃ আক্তার হোসেন ও হাসনাত আবদুল্লাহ  ভৈরবের পথসভায় একথাগুলি বলেন। উপজেলা এনসিপি কমিটির আয়োজনে শহরের বঙ্গবন্ধু সরনির নদীবাংলা সেন্টারের সামনে পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চীয় মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেতা আহনাফ সাঈদ খান,  কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির মূখ্য সংগঠক শরিফুল আলম জয়, উপজেলা কমিটির আহবায়ক মোঃ কায়সার প্রমূখ।

হাসনাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, আমি জানতে পারি ভৈরববাসী  জেলার প্রশাসনিক মর্যাদার অপেক্ষা করছেন। আমরা প্রত্যাশা করছি সেটার অবসান ঘটবে। আমরা চাই এনসিপি প্রত্যেক  ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। আপনারা অন্য দলের মত চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ বিশৃংখলায় জড়াবেননা। নারীরা দেশ ও সমাজের  জন্য কাজ করে যাবেন। এনসিপির নেতাদেরকে কেউ ভয়ভীতি দেখালে আমাদেরকে জানাবেন। অতীতের সরকারে ভৈরবে একজন গুরুত্বপূর্ন নেতা সংসদ সদস্য হয়েও ভৈরবের তেমন উন্নয়ন করতে পারেনি যা আমি জানতে পারি। আমরা ক্ষমতায় যেতে পারলে উন্নয়নের রাজনীতি করব, দখলবাজি, চাঁদাবাজি বন্ধ করব। 

এনসিপির সদস্য সচিব মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, অতীতের সরকার দেশে লুটপাট, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টাকা পাচার, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে দেশকে ধ্বংস করে গেছে। হাসিনা তার পরিবারদেরকে লুটাপাটের সুযোগ দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক করে দিয়েছে। ভৈরবকে জেলা করা সময়ের দাবি ছিল কিন্ত হাসিনা করেননি। সেই দাবি পূরণ হবে। বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠান জনগনের হবে। একারনে আমরা ২৪ এর অভ্যুর্থনে অংশ নিয়েছিলাম। গনঅভ্যুর্থনে যারা জীবন হারিয়েছে, পঙ্গুত্ববরণ করেছে, হাত – পা হারিয়েছে, অন্ধ হয়েছে তাদের প্রতিদান দেশবাসী কখনও ভুলবেনা। বাংলাদেশের নতুন আখাংকার বিরুদ্ধে যদি কেউ বিরোধীতা করে তবে ভৈরববাসীকে নিয়ে আমরা দর্বার প্রতিরোধ  গড়ে তুলব। বাংলাদেশকে যারা দীর্ঘ সময়  শাষনের নামে শোষন করেছেন, সেতু, কালভার্ট, রাস্তাঘাট করার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন, দুর্নীতি করেছেন, লাখ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, তাদের বিচার করতে হবে। আমরা আর পাচারের রাজনীতি দেখতে চাইনা। বাংলাদেশের সকল নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা চাই।

এনসিপির আজকের পথসভায় নিরাপত্তা ছিল জোরদার। সভায় ভৈরব থানার পুলিশ, র‍্যাব সদস্যসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল ব্যাপকহারে। সভায় হাজার হাজার লোকের সমাগম ছিল নেতাদের বক্তব্য শুনার জন্য। এনসিপি নেতৃবৃন্দ আজ শনিবার মৌলভীবাজার জেলায় সকালে  সমাবেশ শেষ করে ভৈরব হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় যাওয়ার পথে বিকেল সাড়ে ৫ টায় পথসভায় এসব বক্তব্য রাখেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ নীতিমালা -২৫ পেছানো দাবি ডিলার এসোসিয়েশনের। যৌক্তিক কমিশন নির্ধারণ করার দাবি। 

আমরা যখন   হাসিনাকে উৎখাৎ  করি তখন এক ব্যক্তির জায়গায় অন্য ব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য আন্দোলন করেনি,,,,, ভৈরবে পথসভায়  এনসিপি নেতা আক্তার হোসেন ও হাসনাত আবদুল্লাহ। 

Update Time : ০১:৫১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

২৬ জুলাই, নিজস্ব  প্রতিনিধি

আমরা যখন হাসিনাকে উৎখাৎ করি তখন এক ব্যক্তির জায়গায় অন্য ব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য আন্দোলন করেনি। বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্র  কাঠামো সংস্কার করা হবে, সংস্কার ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন হবেনা। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় জাতীয় নাগরিক পার্টি ( এনসিপি) ‘র সদস্য সচিব মোঃ আক্তার হোসেন ও হাসনাত আবদুল্লাহ  ভৈরবের পথসভায় একথাগুলি বলেন। উপজেলা এনসিপি কমিটির আয়োজনে শহরের বঙ্গবন্ধু সরনির নদীবাংলা সেন্টারের সামনে পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চীয় মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেতা আহনাফ সাঈদ খান,  কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির মূখ্য সংগঠক শরিফুল আলম জয়, উপজেলা কমিটির আহবায়ক মোঃ কায়সার প্রমূখ।

হাসনাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, আমি জানতে পারি ভৈরববাসী  জেলার প্রশাসনিক মর্যাদার অপেক্ষা করছেন। আমরা প্রত্যাশা করছি সেটার অবসান ঘটবে। আমরা চাই এনসিপি প্রত্যেক  ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। আপনারা অন্য দলের মত চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ বিশৃংখলায় জড়াবেননা। নারীরা দেশ ও সমাজের  জন্য কাজ করে যাবেন। এনসিপির নেতাদেরকে কেউ ভয়ভীতি দেখালে আমাদেরকে জানাবেন। অতীতের সরকারে ভৈরবে একজন গুরুত্বপূর্ন নেতা সংসদ সদস্য হয়েও ভৈরবের তেমন উন্নয়ন করতে পারেনি যা আমি জানতে পারি। আমরা ক্ষমতায় যেতে পারলে উন্নয়নের রাজনীতি করব, দখলবাজি, চাঁদাবাজি বন্ধ করব। 

এনসিপির সদস্য সচিব মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, অতীতের সরকার দেশে লুটপাট, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টাকা পাচার, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে দেশকে ধ্বংস করে গেছে। হাসিনা তার পরিবারদেরকে লুটাপাটের সুযোগ দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক করে দিয়েছে। ভৈরবকে জেলা করা সময়ের দাবি ছিল কিন্ত হাসিনা করেননি। সেই দাবি পূরণ হবে। বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠান জনগনের হবে। একারনে আমরা ২৪ এর অভ্যুর্থনে অংশ নিয়েছিলাম। গনঅভ্যুর্থনে যারা জীবন হারিয়েছে, পঙ্গুত্ববরণ করেছে, হাত – পা হারিয়েছে, অন্ধ হয়েছে তাদের প্রতিদান দেশবাসী কখনও ভুলবেনা। বাংলাদেশের নতুন আখাংকার বিরুদ্ধে যদি কেউ বিরোধীতা করে তবে ভৈরববাসীকে নিয়ে আমরা দর্বার প্রতিরোধ  গড়ে তুলব। বাংলাদেশকে যারা দীর্ঘ সময়  শাষনের নামে শোষন করেছেন, সেতু, কালভার্ট, রাস্তাঘাট করার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন, দুর্নীতি করেছেন, লাখ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, তাদের বিচার করতে হবে। আমরা আর পাচারের রাজনীতি দেখতে চাইনা। বাংলাদেশের সকল নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা চাই।

এনসিপির আজকের পথসভায় নিরাপত্তা ছিল জোরদার। সভায় ভৈরব থানার পুলিশ, র‍্যাব সদস্যসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল ব্যাপকহারে। সভায় হাজার হাজার লোকের সমাগম ছিল নেতাদের বক্তব্য শুনার জন্য। এনসিপি নেতৃবৃন্দ আজ শনিবার মৌলভীবাজার জেলায় সকালে  সমাবেশ শেষ করে ভৈরব হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় যাওয়ার পথে বিকেল সাড়ে ৫ টায় পথসভায় এসব বক্তব্য রাখেন।