২১ জুলাই, নিজস্ব প্রতিনিধি
ভৈরবে গৃহবধু নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর গতকাল রোববার রাতে পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকা থেকে অভিযুক্ত আসামী মো.বাবুল মিয়াকে পুলিশ আটক করে ১ ঘন্টা পর টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী। শহরের কালীপুর এলাকার আতর মিয়ার ছেলে অভিযুক্ত বাবুল মিয়া (৩৫)।
আজ সোমবার বেলা ১২টায় ভৈরব থানার সামনে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বজনরা।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম পাড়া এলাকায় আপন ননদের স্বামী মো.বাবুল মিয়া বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে গৃহবধূ নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে গৃহবধূর শ্বাশুরি এসে তাকে উদ্ধার করেন। এসময় আসামী বাবুল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ভৈরব থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি গৃহবধূর অভিযোগ। পরবর্তীতে ওই গৃহবধূ গত ১৯ জুন কিশোরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ আদালতে বাবুলকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এফ আই আর করে তদন্তের নির্দেশ দেন ভৈরব থানার ওসিকে। এঘটনায় থানার এস আই রাকিব বিন ইসলাম মামলার আসামী বাবুল মিয়াকে রোববার রাত ১০টার দিকে তার গ্যারেজ চন্ডিবের এলাকা থেকে আটক করলেও অর্থের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ নারী জানান, আমার ঘরের পাশে আসামী বাবুলের একটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে । আসামী আমার আপন ননদের স্বামী হওয়ায় সেই সুবাধে আমাদের ঘরেও মাঝেমধ্যে আসা যাওয়া করতো। গত ১৭ জুন সকালে আমার বসত ঘরে আমাকে একা পেয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় আমি কোনো রকমে আমার শ্বাশুড়িকে ফোন করলে তিনি স্থানীয়দের নিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূর শ্বাশুড়ি নাজমা বেগম বলেন, আসামি বাবুল আমার মেয়ের জামাই। আমার ছেলের ঘরের সাথে তার একটি ঘর রয়েছে। সেখানে সে প্রতিদিন এসে মাদক বিক্রিসহ নিজেও সেবন করে । ঘটনার দিন সে আমার পূত্রবধূকে ধর্ষনের চেষ্টা করলে আমি তাকে রক্ষা করি।
এব্যাপারে থানার এস আই রাকিব বলেন, রোববার রাতে আসামী বাবুলকে আমি আটক করার পর বাথরুমে যাবার কথা বলে পালিয়ে যায়। টাকার বিনিময়ে আসামী ছেড়ে দেয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
এই বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে এসআই রাকিবের নেতৃত্বে একটি টিম নারী নির্যাতন মামলার আসামী বাবুল মিয়াকে আটক করে। পরবর্তীতে আসামী বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। এতে পুলিশের অসাবধানতার কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে টাকা নিয়ে যদি আসামী ছেড়ে দেয় তা প্রমান হয় তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।