ভৈরবে  শুক্রবার ভোর থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২০  কিলোমিটার জুড়ে যানজটে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
  • ২৫৩ Time View

১১ জুলাই,  নিজস্ব  প্রতিনিধি।। 

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরবের বিভিন্ন এলাকায় ২০  কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শতাধিক যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ভৈরব হাইওয়ে থানা ও আশুগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ সদস্যরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, পাশে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশও।

আজ শুক্রবার ভোর থেকে  এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ( দুপুর ১ টা)   ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার বারৈচা থেকে শুরু হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব শহরের জগন্নাথপুর বেনী বাজার, বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় মোড় ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর টোলপ্লাজা, পুরো সেতুসহ  দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও আশুগঞ্জ থেকে ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার চৌরাস্তা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কেও যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। 

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নীতকরণ কাজ চলছে। এই কাজ ২০১৭ সাল থেকে শুরু হলেও ধীরগতিতে চলছে। ৫ আগস্টের পর প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল কাজ। পরবর্তীতে তা শুরু হলেও ধীরগতি। এ কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোল চত্বর সংলগ্ন সড়কে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন ধীরগতিতে চালাতে হয়। এতে প্রতিদিনই সেখানে যানজট লেগে থাকে। যার ফলে আশুগঞ্জ ছাড়িয়ে এই দীর্ঘ যানবাহনের সারি সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু পার হয়ে ভৈরব দুর্জয় মোড় বাসস্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয় । এমন কি এই যানজটের কারণে পাশ্ববর্তী নরসিংদী জেলার বারৈচা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়ও যানজট বাঁধে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট  থানার পুলিশ এবং হাইওয়ে থানার পুলিশ ইট-বালি দিয়ে গর্ত ভরাট করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আবার সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। 

ভোগান্তিতে থাকা সিলেটগামী মিতালী বাস যাত্রীরা বলছেন, কদিন ধরেই এই সড়কে জ্যাম লেগে আছে। ভোরে ঢাকা থেকে সিলেটে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছি কিন্তু এখনো ভৈরব টোলপ্লাজা  পার হতে পারেনি কবে যে সিলেটে পৌঁছাব সেই চিন্তায় আছি। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সিলেটগামী পণ্যবাহী ট্রাক চালক কাজিম আলী বলেন, দেড় ঘণ্টা যাবত একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। ১০ মিনিটের রাস্তা এসেছি ৪ ঘণ্টায়। যাচ্ছি সিলেটে। কখন সিলেট পৌঁছাবো আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। বৃষ্টি হলেই সড়কে ভোগান্তি বেড়ে যায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর ভৈরব প্রান্ত সিনিয়র টোল সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বিল্লাল জানান, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকায় বৃষ্টিতে সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত কাজ না করায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে ব্রিজে বেশি গাড়ি ছাড়া যাচ্ছে না। ভারী যানগুলোর কারণে ব্রিজের স্প্রিংয়ে সমস্যা হতে পারে। তাই টোলপ্লাজা থেকে থেমে থেমে গাড়ি ছাড়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে ভৈরবে হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাহবুর রহমান জানান, টানা বৃষ্টিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর পর্যন্ত ভাঙ্গা রাস্তার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে কিছু লোকাল ছোট বড় যানবাহনগুলো কোনো নিয়ম মানছে না। আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত চার লেন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ না হলে এই যানজটের সমাধান হবে না। তবে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমাদের পুলিশ কাজ করছেন বলে তিনি জানান। 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ নীতিমালা -২৫ পেছানো দাবি ডিলার এসোসিয়েশনের। যৌক্তিক কমিশন নির্ধারণ করার দাবি। 

ভৈরবে  শুক্রবার ভোর থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২০  কিলোমিটার জুড়ে যানজটে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

Update Time : ০৮:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

১১ জুলাই,  নিজস্ব  প্রতিনিধি।। 

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরবের বিভিন্ন এলাকায় ২০  কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শতাধিক যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ভৈরব হাইওয়ে থানা ও আশুগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ সদস্যরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, পাশে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশও।

আজ শুক্রবার ভোর থেকে  এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ( দুপুর ১ টা)   ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার বারৈচা থেকে শুরু হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব শহরের জগন্নাথপুর বেনী বাজার, বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় মোড় ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর টোলপ্লাজা, পুরো সেতুসহ  দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও আশুগঞ্জ থেকে ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার চৌরাস্তা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কেও যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। 

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নীতকরণ কাজ চলছে। এই কাজ ২০১৭ সাল থেকে শুরু হলেও ধীরগতিতে চলছে। ৫ আগস্টের পর প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল কাজ। পরবর্তীতে তা শুরু হলেও ধীরগতি। এ কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোল চত্বর সংলগ্ন সড়কে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন ধীরগতিতে চালাতে হয়। এতে প্রতিদিনই সেখানে যানজট লেগে থাকে। যার ফলে আশুগঞ্জ ছাড়িয়ে এই দীর্ঘ যানবাহনের সারি সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু পার হয়ে ভৈরব দুর্জয় মোড় বাসস্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয় । এমন কি এই যানজটের কারণে পাশ্ববর্তী নরসিংদী জেলার বারৈচা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়ও যানজট বাঁধে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট  থানার পুলিশ এবং হাইওয়ে থানার পুলিশ ইট-বালি দিয়ে গর্ত ভরাট করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আবার সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। 

ভোগান্তিতে থাকা সিলেটগামী মিতালী বাস যাত্রীরা বলছেন, কদিন ধরেই এই সড়কে জ্যাম লেগে আছে। ভোরে ঢাকা থেকে সিলেটে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছি কিন্তু এখনো ভৈরব টোলপ্লাজা  পার হতে পারেনি কবে যে সিলেটে পৌঁছাব সেই চিন্তায় আছি। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সিলেটগামী পণ্যবাহী ট্রাক চালক কাজিম আলী বলেন, দেড় ঘণ্টা যাবত একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। ১০ মিনিটের রাস্তা এসেছি ৪ ঘণ্টায়। যাচ্ছি সিলেটে। কখন সিলেট পৌঁছাবো আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। বৃষ্টি হলেই সড়কে ভোগান্তি বেড়ে যায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর ভৈরব প্রান্ত সিনিয়র টোল সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বিল্লাল জানান, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকায় বৃষ্টিতে সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত কাজ না করায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে ব্রিজে বেশি গাড়ি ছাড়া যাচ্ছে না। ভারী যানগুলোর কারণে ব্রিজের স্প্রিংয়ে সমস্যা হতে পারে। তাই টোলপ্লাজা থেকে থেমে থেমে গাড়ি ছাড়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে ভৈরবে হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাহবুর রহমান জানান, টানা বৃষ্টিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর পর্যন্ত ভাঙ্গা রাস্তার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে কিছু লোকাল ছোট বড় যানবাহনগুলো কোনো নিয়ম মানছে না। আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত চার লেন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ না হলে এই যানজটের সমাধান হবে না। তবে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমাদের পুলিশ কাজ করছেন বলে তিনি জানান।