২ জুলাই, নিজস্ব প্রতিনিধি
ভৈরবে ধানের তুষ ও চালের গুড়া মিশিয়ে ভেজাল হলুদের গুড়া মসলা উৎপাদনের দায়ে কারখানা মালিক মো.রবিন মিয়াকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এসব কারখানায় উৎপাদিত প্রায় ৬ শত কেজি ভেজাল হলুদের গুড়া মসলা জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টায় ভৈরব বাজার গোপাল জিউর মন্দির সংলগ্ন গণি মিয়া গল্লির এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ভৈরব উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন। এছাড়া অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নাসিমা বেগম। অভিযানে সহযোগিতা করেন ভৈরব থানা পুলিশের সদস্যরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে ভৈরব বাজার মন্দির সংলগ্ন গণি মিয়ার গল্লি এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত মানবদেহে ক্ষতিকর ধানের তুষ ও চালের গুড়া মিশ্রিত হলুদের গুড়া উৎপাদন করছিল। উৎপাদিত প্রায় ৬ শত কেজি ভেজাল হলুদ গুড়ার মসলা জব্দ করে মেঘনা নদীর পানিতে পেলে ধ্বংস করা হয়।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন জানান, ভৈরব বাজার এলাকার একটি মসলা কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে মানবদেহে ক্ষতিকর উপাদান ধানে কুড়া ও চালের গুড়া মিশিয়ে ভেজাল হলুদের গুড়া মসলা উৎপাদন করছে। এসময় কারখানা থেকে প্রায় ১ লাখ টাকার কুড়া ও চাল মিশ্রিত ৬ শত কেজি ভেজাল হলুদের গুড়া মসলা জব্দ করে মেঘনা নদীর পানিতে ভাসিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ভেজাল মসলা উৎপাদনের দায়ে কারখানার মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।