২৩ জুন, নিজস্ব প্রতিনিধি
ভৈরবে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে থানা পুলিশ। নিহত হাফিজ উদ্দিন (৬৫) নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার মনিপুরা গ্রামের মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা। এই ঘটনায় নিহতের ব্যক্তির ছেলে আল আমিন (২৬) কে আটক করেছে থানা পুলিশ।
নিহত ব্যক্তি হাফিজ ভৈরবপুর উত্তরপাড়া কেবি হাউজের জালাল মিয়ার বাড়িতে বাবা ছেলে দীর্ঘদিন ধরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
গতকাল রোববার গভীর রাত দেড়টার সময় পৌর শহরের ভৈরবপুর কেবি হাউজের জালাল মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে। রাতে মরদেহ উদ্ধারের পর আজ সোমবার সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার কেবি হাউজের জালাল মিয়ার বাড়িতে এক প্রতিবেশী রাত দেড়টার সময় পাশের রুমের বাসিন্দার চিৎকার শুনার পর গিয়ে দেখেন তাদের রুমে তালাবন্ধ। এসময় তাদের রুমের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করলে কোন সাড়া না পেয়ে রাতেই জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় রুমের ভিতরে নিহত বৃদ্ধের রক্তাক্ত মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে। তবে তার ছেলে আল- আমিন তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে সে স্বীকার করেছে। ছেলে জনায় তার নিষেধ সত্বেও বাবা ভিক্ষা করত। এতে তার অসন্মান হত। একারনে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে রাতে।
ছেলে আল- আমিন থানায় বসে বলেন, আমি অটোরিক্সা চালিয়ে ভাল আয় করি। বাবা প্রায়দিন রাস্তায় ভিক্ষা করে। আমি নিষেধ করা সত্বেও বাবা ভিক্ষা করায় আমার সন্মান নষ্ট হচ্ছে। তাই রাতে রাগ করে বাবাকে দা দিয়ে কুপ দিয়েছিলাম, কিন্ত মরে যাবে ভাবেনি।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফূয়াদ রুহানী জানান, গভীর রাতে ৯৯৯ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। হত্যার কথা ছেলে স্বীকার করে। ছেলে আল- আমিন অটোচালক। তার বাবা ভিক্ষা করত। তাকে ভিক্ষা না করতে বার বার নিষেধ করে ছেলে। তারপরও বাবা ভিক্ষা করায় তার মানসন্মান নষ্ট হত। এতে রাগ করে বাবাকে দা দিয়ে কুপিয়ে রাতে হত্যা করেছে বলে সে স্বীকার করে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।