ভৈরবে  মেঘনা নদীতে বল ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ৪৮  ঘন্টা পর মরদেহ উদ্ধার। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:০২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • ১৩০ Time View

১১ জুন,  নিজস্ব  প্রতিনিধি

 ভৈরবে মেঘনা নদীতে মায়ের সঙ্গে গোসলে নেমেছিল তিন বোন মরিয়ম (৭), তৈয়বা (১০) ও টিয়া (১৪)। পানিতে বল নিয়ে খেলছিল তারা। হঠাৎ তাদের হাত ফসকে বলটি পানির স্রোতে ভেসে যায়। বল ধরতে গিয়ে স্রোতের টানে একসঙ্গে তিন বোনই ভেসে যায়। স্থানীয় লোকজন ছোট দুই বোনকে উদ্ধার করতে পারলেও নিখোঁজ হয় তৈয়বা। পরবর্তীতে নিখোঁজের ৪৮  ঘণ্টা পর আজ বুধবার সকালে  তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

গত সোমবার  শহরের নদীর পারের নিকটে  মুশকিলাহাটী এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত তৈয়বা স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কামাল মিয়া পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে মেঘনা নদীর ভৈরব রেলসেতু এলাকায় কবিতা বেগম তাঁর তিন মেয়েকে নিয়ে গোসল করতে যান। মেয়েরা পানিতে নেমে বল হাতে খেলছিল। এ সময় বলটি হাত থেকে ছুটে স্রোতের টানে দূরে চলে যায়। বল আনতে গিয়ে হঠাৎ তিন বোনই পানির স্রোতে ভেসে যায়। এসময়  মা কাপড় ধোয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। নদীতে মেয়েদের ডুবে যেতে দেখে চিৎকার করেন তিনি। আশপাশে থাকা অন্যরা ছুটে এসে মরিয়ম ও টিয়াকে জীবিত উদ্ধার করেন। তবে তলিয়ে যায় তৈয়বা। পরে

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ভৈরব ইউনিটের সদস্যরা নদীতে তল্লাশি শুরু করেন। পরে ময়মনসিংহ থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযানে যোগ দেয়। আজ বুধবার  সকালে  দুর্ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে নদীতে ভেসে ওঠে তৈয়বার লাশ।

তৈয়বার বাবা কামাল মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়েরা ভালো করে সাঁতার জানত না। বল নিয়ে নদীতে গোসল করা আমার মেয়েদের পছন্দ। এই বলই আমার মেয়ের জীবন নিয়ে গেল।’ তিনি আরও বলেন, ছোট ও বড় মেয়ে সুস্থ আছে।

এ বিষয়ে ভৈরব নদী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক আজিজুল হক বলেন, মেঘনায় প্রবল স্রোত থাকায় নিখোঁজ হওয়া শিশুকে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কঠিন ছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে কলেজ কর্তৃপক্ষের  গাফিলতিতে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি শিক্ষার্থী   মারজিয়া।

ভৈরবে  মেঘনা নদীতে বল ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ৪৮  ঘন্টা পর মরদেহ উদ্ধার। 

Update Time : ০২:০২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

১১ জুন,  নিজস্ব  প্রতিনিধি

 ভৈরবে মেঘনা নদীতে মায়ের সঙ্গে গোসলে নেমেছিল তিন বোন মরিয়ম (৭), তৈয়বা (১০) ও টিয়া (১৪)। পানিতে বল নিয়ে খেলছিল তারা। হঠাৎ তাদের হাত ফসকে বলটি পানির স্রোতে ভেসে যায়। বল ধরতে গিয়ে স্রোতের টানে একসঙ্গে তিন বোনই ভেসে যায়। স্থানীয় লোকজন ছোট দুই বোনকে উদ্ধার করতে পারলেও নিখোঁজ হয় তৈয়বা। পরবর্তীতে নিখোঁজের ৪৮  ঘণ্টা পর আজ বুধবার সকালে  তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

গত সোমবার  শহরের নদীর পারের নিকটে  মুশকিলাহাটী এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত তৈয়বা স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কামাল মিয়া পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে মেঘনা নদীর ভৈরব রেলসেতু এলাকায় কবিতা বেগম তাঁর তিন মেয়েকে নিয়ে গোসল করতে যান। মেয়েরা পানিতে নেমে বল হাতে খেলছিল। এ সময় বলটি হাত থেকে ছুটে স্রোতের টানে দূরে চলে যায়। বল আনতে গিয়ে হঠাৎ তিন বোনই পানির স্রোতে ভেসে যায়। এসময়  মা কাপড় ধোয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। নদীতে মেয়েদের ডুবে যেতে দেখে চিৎকার করেন তিনি। আশপাশে থাকা অন্যরা ছুটে এসে মরিয়ম ও টিয়াকে জীবিত উদ্ধার করেন। তবে তলিয়ে যায় তৈয়বা। পরে

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ভৈরব ইউনিটের সদস্যরা নদীতে তল্লাশি শুরু করেন। পরে ময়মনসিংহ থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযানে যোগ দেয়। আজ বুধবার  সকালে  দুর্ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে নদীতে ভেসে ওঠে তৈয়বার লাশ।

তৈয়বার বাবা কামাল মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়েরা ভালো করে সাঁতার জানত না। বল নিয়ে নদীতে গোসল করা আমার মেয়েদের পছন্দ। এই বলই আমার মেয়ের জীবন নিয়ে গেল।’ তিনি আরও বলেন, ছোট ও বড় মেয়ে সুস্থ আছে।

এ বিষয়ে ভৈরব নদী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক আজিজুল হক বলেন, মেঘনায় প্রবল স্রোত থাকায় নিখোঁজ হওয়া শিশুকে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কঠিন ছিল।