২৯ মে, নিজস্ব প্রতিনিধি
ভৈরবে চুরি ডাকাতি ছিনতাই মাদক প্রতিরোধে স্থানীয় নাগরিক সমাজ কমিটির সদস্যরা মাঠে নেমেছে। প্রতিদিন রাতে কমিটির সদস্যরা পালাক্রমে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়কে টহল দিচ্ছে। অপরাধীদের ধরতে পারলেই দেয়া হবে পুলিশের হাতে। গত ৫ আগস্টের পর ভৈরব শহরের আইন শৃংখলার অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন শহরে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি হচ্ছে। এছাড়া মাদক ব্যবসা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এলাকাবাসীর অভিযোগ। গত সপ্তাহে সবুজ মিয়া নামের এক ট্রাক চালককে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এর আগে একাধিক দিন শহরে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন পথচারী ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়। পুলিশ এসব অপরাধ কোন অবস্থাতেই দমন করতে পারছেনা। তাই পুলিশকে সহায়তা করতেই গত কয়েকদিন আগে গঠিত হয় নাগরিক সমাজ কমিটি। একমিটির নেতৃত্বে আছেন যুবদল নেতা আল – মামুন, আর এ মারুকী শাহিন, সাংবাদিক ও স্থানীয় প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব সোহেলুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আক্তারুজ্জামানসহ অন্যান্য গণমান্য ব্যক্তিবর্গ। কমিটিকে সহযোগীতা করছেন স্থানীয় যুগান্তর সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক,, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মোঃ সুমন মোল্লা, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি সজীব আহমেদসহ গণমাধ্যম কর্মীরা।
এবিষয়ে যুবদল নেতা আল- মামুন ও আর এ মারুকী শাহিন বলেন, আমরা নগরিক সমাজ কমিটি করার পর গত চারদিন আগে ভৈরবে এসব অপরাধ প্রতিরোধে ও প্রতিবাদে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেশ মানববন্ধন করে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছি। থানার ওসিকে অবগত করেছি। গত মঙ্গলবার সকালে ভৈরব প্রেসক্লাবে কমিটির উদ্যেগে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে মতবিনিময় করেছি। এখন থেকে ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত আমরা শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক সন্ধ্যার পর থেকে পাহারা দিব দিচ্ছি। ভৈরবে এখন ছিনতাই চুরি ডাকাতি বেড়ে গেছে। প্রতিদিন মাদক সেবন ও ব্যবসা চলছে। অপরাধের মূল কারন মাদক। কাজেই মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। মাদকাসক্ত যুবকদেরকে ধরে পুলিশের কাছে দিব। আগামী ঈদের পর আমরা ভৈরব শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করব। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে আমরা পুলিশের সাথেও মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুলিশকে সবসময় সহযোগীতা করব। কোন অপরাধীকে ধরতে পারলে কারো তদবিরে ছাড়া হবেনা। সমাজ থেকে আমরা অপরাধ নির্মুল করতে চাই।
সাংবাদিক সোহেলুর রহমান বলেন, ভৈরবে অপরাধ প্রবনতা কমাতে আমরা নবগঠিত কমিটিকে সহযোগীতা করব। সাংবাদিকরা লিখনীর মাধ্যমে সবকিছু প্রকাশ করব। মাদকের ব্যবসা ও সেবন কমাতে পারলে এসব অপরাধ কমবে। কারন মাদক সেবনের টাকা যোগারের জন্য মাদকাসক্তরা প্রতিদিন চুরি ছিনতাই করছে। তিনি অপরাধ দমনে পুলিশের নিস্কৃিয়তাকে দায়ী করেন। এছাড়া অপরাধীকে পুলিশ গ্রেফতার করলে অনেকেই তাদের ছাড়াতে থানায় তদবির করেন। তিনি বলেন, এধরনের তদবীরকারীদেরকে আমরা হুসিয়ার করতে চাই আর তদবির করা চলবেনা। নাগরিক সমাজের সদস্যরা আইনশৃংখলা দমনে কাজ করে যাবে বলে তিনি জানান। সাংবাদিকরা কমিটির সদস্যদেরকে সবসময় সহযোগীতা করে যাবে।