নান্দাইলে কোটি টাকার ফুট ব্রীজ জনগনের কাজে আসছেনা। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • ১৪০ Time View

১৫ মে,  মোঃ শাহজাহান ফকির, নান্দাইময়মনসিংহের নান্দাইলে ২২ বছর যাবত অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে প্রায় কোটি টাকার ফুট ব্রীজ। মূলত একপাশের্  রাস্তা না থাকায় ফুট ব্রীজটি কোন কাজে আসছেনা। ফলে ফুট ব্রীজ পারাপারে ভোগতে হচ্ছে আশপাশের গ্রামের মানুষ। সরজমিন জানাগেছে, উক্ত ফুট ব্রীজটি উপজেলার নান্দাইল ইউনিয়নের বলদা বিল সংলগ্ন দাতারাটিয়া (পুতলাকান্দা) গ্রামে একটি বড় খালের উপর নির্মিত। ২০০১ সালে খালের দুপারের মানুষের যাতায়াতের জন্য প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল উক্ত পাকা ব্রীজটি। নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে এ সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ৩৭ মিটার দৈর্ঘ ও ৩ মিটার প্রস্থের ব্রীজটি নির্মাণে প্রায় কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। কিন্তু তা ২৫ বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এছাড়া শুকনো মৌসুমে বলদা বিলে ধান আবাদ ও বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরতে আশপাশের গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সহজ রাস্তা হিসাবে এই ব্রীজটি পাড় হতে হয়। খালটি ঝালুয়া বাজারের পাশ দিয়ে লংগাড় পাড় হয়ে নরসুন্ধা নদীতে গিয়ে মিশেছে। উপজেলার সবচেয়ে বড় বলদা বিলের পানি এ খাল দিয়েই নরসুন্ধা নদীতে যায়। ব্রীজটির দক্ষিণ পাশে দাতারাটিয়া গ্রাম। সেখানে আঁকাবাঁকা আইলের মত রেকর্ডের রাস্তা থাকলেও ছোটখাট যানবাহন দূরে থাক, হেঁটে যাওয়াও কষ্টকর। অথচ এ পথেই আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা নান্দাইল উপজেলা সদরসহ ঝালুয়া বাজারের সাথে খুব সহজে যোগাযোগ করতে পারে। সেতুটির দক্ষিণপাশ ছাড়া অন্য পাশে কাছাকাছি কোন বসতি নেই। উত্তর পাশে নিচু মাটির রাস্তা থেকে সেতুটি অবস্থান অনেক উপরে। সেতুর দক্ষিণ পাশে রাস্তার কোন অস্তিত্ব নাই। কোন যানবাহন চলাচল দূরে থাক পথচারীদের হেঁটে সেতুটি পার হওয়া খুবই কষ্টকর। প্রতিবেশি কাটলীপাড়া গ্রামের সেকান্দর আলী জানান, রাস্তা না থাকায় লোকজন এপথে না এসে ভিন্নপথে চলাচল করে। তিনি জানান, কখনও না জেনে সাইকেলে করে আইসক্রীম ওয়ালারা এ পথে চলে আসে। তখন ছোট ছেলেমেয়েদের সহায়তা নিয়ে তাদের সেতুটি পার হতে হয়। আর এ কাজের জন্য আইসক্রীমওয়ালাদের বেশ কয়েকটি আইসক্রীম তাদের ব্যয় করতে হয়। দাতারাটিয়া গ্রামের সদুত মিয়া জানান, সাবেক মন্ত্রী চেষ্টা করেছিলেন একটি রাস্তার তৈরী করার জন্য। কিন্তু আশেপাশের জমির মালিকরা জায়গা দিতে রাজি না হওয়ায় আর রাস্তা তৈরী করা যায়নি। এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল মালেক বিশ্বাস জানান, অনেক আগে নির্মিত সেতুটির কাগজপত্র জেলা অফিসে জমা আছে। তাই কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারবনা । তবে দুএকদিনের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সড়ক নির্মানের পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি। 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে যুবলীগ নেতা কর্তৃক  প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অফিসে কক্ষে মারধোর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

নান্দাইলে কোটি টাকার ফুট ব্রীজ জনগনের কাজে আসছেনা। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ। 

Update Time : ০৭:৫০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

১৫ মে,  মোঃ শাহজাহান ফকির, নান্দাইময়মনসিংহের নান্দাইলে ২২ বছর যাবত অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে প্রায় কোটি টাকার ফুট ব্রীজ। মূলত একপাশের্  রাস্তা না থাকায় ফুট ব্রীজটি কোন কাজে আসছেনা। ফলে ফুট ব্রীজ পারাপারে ভোগতে হচ্ছে আশপাশের গ্রামের মানুষ। সরজমিন জানাগেছে, উক্ত ফুট ব্রীজটি উপজেলার নান্দাইল ইউনিয়নের বলদা বিল সংলগ্ন দাতারাটিয়া (পুতলাকান্দা) গ্রামে একটি বড় খালের উপর নির্মিত। ২০০১ সালে খালের দুপারের মানুষের যাতায়াতের জন্য প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল উক্ত পাকা ব্রীজটি। নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে এ সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ৩৭ মিটার দৈর্ঘ ও ৩ মিটার প্রস্থের ব্রীজটি নির্মাণে প্রায় কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। কিন্তু তা ২৫ বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এছাড়া শুকনো মৌসুমে বলদা বিলে ধান আবাদ ও বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরতে আশপাশের গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সহজ রাস্তা হিসাবে এই ব্রীজটি পাড় হতে হয়। খালটি ঝালুয়া বাজারের পাশ দিয়ে লংগাড় পাড় হয়ে নরসুন্ধা নদীতে গিয়ে মিশেছে। উপজেলার সবচেয়ে বড় বলদা বিলের পানি এ খাল দিয়েই নরসুন্ধা নদীতে যায়। ব্রীজটির দক্ষিণ পাশে দাতারাটিয়া গ্রাম। সেখানে আঁকাবাঁকা আইলের মত রেকর্ডের রাস্তা থাকলেও ছোটখাট যানবাহন দূরে থাক, হেঁটে যাওয়াও কষ্টকর। অথচ এ পথেই আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা নান্দাইল উপজেলা সদরসহ ঝালুয়া বাজারের সাথে খুব সহজে যোগাযোগ করতে পারে। সেতুটির দক্ষিণপাশ ছাড়া অন্য পাশে কাছাকাছি কোন বসতি নেই। উত্তর পাশে নিচু মাটির রাস্তা থেকে সেতুটি অবস্থান অনেক উপরে। সেতুর দক্ষিণ পাশে রাস্তার কোন অস্তিত্ব নাই। কোন যানবাহন চলাচল দূরে থাক পথচারীদের হেঁটে সেতুটি পার হওয়া খুবই কষ্টকর। প্রতিবেশি কাটলীপাড়া গ্রামের সেকান্দর আলী জানান, রাস্তা না থাকায় লোকজন এপথে না এসে ভিন্নপথে চলাচল করে। তিনি জানান, কখনও না জেনে সাইকেলে করে আইসক্রীম ওয়ালারা এ পথে চলে আসে। তখন ছোট ছেলেমেয়েদের সহায়তা নিয়ে তাদের সেতুটি পার হতে হয়। আর এ কাজের জন্য আইসক্রীমওয়ালাদের বেশ কয়েকটি আইসক্রীম তাদের ব্যয় করতে হয়। দাতারাটিয়া গ্রামের সদুত মিয়া জানান, সাবেক মন্ত্রী চেষ্টা করেছিলেন একটি রাস্তার তৈরী করার জন্য। কিন্তু আশেপাশের জমির মালিকরা জায়গা দিতে রাজি না হওয়ায় আর রাস্তা তৈরী করা যায়নি। এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল মালেক বিশ্বাস জানান, অনেক আগে নির্মিত সেতুটির কাগজপত্র জেলা অফিসে জমা আছে। তাই কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারবনা । তবে দুএকদিনের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সড়ক নির্মানের পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।