১১ মে নিজস্ব প্রতিনিধি:
সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে ভৈরবে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সিএনজি চালকদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। এসময় ভৈরব -কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ঘন্টাব্যাপী অবরোধের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ তীব্র যানজটে সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
আজ রোববার দুপুর ১ টার দিকে ভৈরব হাইওয়ে থানার সামনে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ঘন্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখেন সিএনজি চালকরা।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে ভৈরব – কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ করেন কয়েকশত সিএনজি চালিত অটোরিকসার চালকরা। এসময় চালকরা এক ঘন্টা যাবত সড়ক বন্ধ করে রাখে। এসময় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানবাহনে সারি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো যাত্রী। পরবর্তীতে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ভৈরব সার্কেল অফিসে এএসপি নাজমুস সাকিবের নেতৃত্বে একটি পুলিশের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। চালকদের হয়রানি ও সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ তুলে নেন তারা ।
এসময় সিএনজি চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সড়কে সিএনজি গাড়ি চালিয়ে যা ইনকাম করি তা দিয়েই আমাদের কোন রকম সংসার চালাই। ইদানিং সড়কে পুলিশ আমাদের গাড়ি আটকিয়ে বড় অংকের জরিমানা করেন। যদি তাদেরকে ১ হাজার টাকা দেয়া হয় তাহলে তারা গাড়ি ছেড়ে দেয়। এইভাবে প্রতিদিনই সড়কে আমাদের হয়রানি করছে হাইওয়ে পুলিশ। আমাদের অনেকের গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই সেইগুলি ঠিক করতে অনেক দিন সময় লাগবে। সেই সময়টায় পুলিশ আমাদের দেয় না। সারাদিন যা ইনকাম করি তা সব টাকাই পুলিশকেই দিয়ে দিতে হয়। এখন এসব হয়রানি ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে আমরা সড়কে নেমেছি।
আরেক সিএনজি চালক উজ্জ্বল মিয়া বলেন, হাইওয়ে থানার পুলিশ ফ্যাসিস্ট সরকারের কতিপয় দালাল লোকের মাধ্যমে সিন্ডিকেট তৈরি করে সড়কে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি ও হয়রানি করছে। তারা সড়কে গাড়ি পেলেই কোন কারণ ছাড়াই মামলা দিয়ে দেয়। আমাদের দাবি যেসকল গাড়ির সঠিক কাগজপত্র নেই সেসকল গাড়ির কাগজপত্র ঠিক করার জন্য পুলিশ চালকদের সময় দিতে হবে। গাড়ী ধরেই যেন মামলা দিয়ে হয়রানি না করে আমাদেরকে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.সাহাবুর রহমান বলেন, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকসা চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। তবুও বর্তমান পরিস্থিতিতে সড়কে কিছু সিএনজি চলাচল করছে। এসব বিষয়ে আমাদের নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হয়ে থাকে। তবে সড়কে কোন সিএনজি চালকদের কোন ধরণের চাঁদাবাজি ও হয়রানি করা হয় না। আইন অনুযায়ী পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করেন।
এ বিষয়ে ভৈরব সার্কেল অফিসের এএসপি নাজমুস সাকিব জানান, ভৈরব -কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকসার চালকরা সড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে আমরা সড়কের অবরোধ তুলে নিতে চালকদের সাথে আলোচনা করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়। পরবর্তীতে চালকরা সড়কে চাঁদাবাজি ও পুলিশের হয়রানি বন্ধের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে।