২৮ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে শহরের হাজী আলিম সরকার বাড়ির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিক্ষানুরাগী হাজী আব্দুস সাদেক মিয়া ও তার মেয়ে জামাতা মো.শামীম মিয়াকে মাদক ব্যবসায়ী জমসেদ মিয়ার দায়ের করা মিথ্যা মানবপাচার মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদ ও মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে ভৈরব হাজী রেস্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষে মিথ্যা মানব পাচার মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা সাদিয়া সুলতানা বলেন, আমার বাবা ভৈরবের একজন সুনামধন্য ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। তিনি বর্তমানে অসুস্থতার জন্য বিশ্রামে রয়েছেন। আমরা ৫ বোন সবারই বিয়ে হয়েছে। সবাই যার যার মত করে শ্বশুর বাড়িতে থাকছেন। বাবার সকল সম্পত্তি আমাদের বোনদের সমভাবে বন্টন করে দিয়েছেন। আমি একজন স্কুল শিক্ষক। ভৈরবে চাকুরির সুবাধে স্বামীসহ থাকছি। কিন্তু আমাদেরই কিছু নিকটজন আমার বাবার সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দ্যেশে আমার বাবা ও স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মানবপাচার মামলায় অভিযুক্ত করে আসামী করেন। আমার বাবা ও স্বামী কখনো মানব পাচার কাজে জড়িত ছিলেন। এমনকি মামলার বাদিকেও আমরা কেউ চিনি না। এই মিথ্যা মামলায় গতকাল রোববার রাতে বাসায় পুলিশ এসে আমার স্বামীকে কোন রকম ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এখন আমরা পরিবারের সদস্যরা প্রতিটা মুহুর্ত আতংকে আছি । সেজন্যই আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আমার স্বামীকে মুক্তিসহ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।
গণ অধিকার পরিষদেরর স্থানীয় নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল বলেন, আমি দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। মানবপাচার অভিযোগে যিনি মামলাটি দায়ের করেছেন তিনি ভৈরবের একজন কুখ্যাত মাদক কারবারি। আমার বংশের মুরব্বি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আব্দুস সাদেক মিয়া ও তার মেয়ে জামাতা শামিম আহমেদকে হয়রানি করতে ও তাদের সম্পত্তি দখলে নিতে একটি চক্র মাদক ব্যবসায়ীর সাথে যোগসাজসে তাদেরকে আসামী করেন। আমি থানার ওসি ও এসপি নিকট দাবি করছি কিভাবে একটি অভিযোগ তদন্ত না করেই আসামীকে ধরে নিয়ে যায়। এই বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে তাদেরকে মামলা থেকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষিকার মা সুলতানা রাজিয়া।