২০ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে মিজান মিয়া (৩৫) হত্যার ঘটনায় ৬৪ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করা হয়। উক্ত মামলায় প্রধান আসামী করা হয় এলাকার বাদশা মেম্বারকে। আজ রোববার বিকেলে নিহতের বড় ভাই মোঃ লিটন মিয়া বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের রবিউল মিয়ার ছেলে নিহত মিজান। গত শুক্রবার সকালে স্থানীয় ভবানীপুর চকবাজারে এক শালিশ দরবারের সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধলে এসময় প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে সে নিহত হয়। ঘটনার দুদিন পর মামলাটি করা হলো। এতথ্য নির্শ্বিত করেছেন থানার ওসি খন্দকার ফূয়াদ।
জানা গেছে গত ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার ভৈরবের মৌটুপি গ্রামে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই বংশের মধ্য সংঘর্ষ হলে অন্তত ৫০ জন আহত হয়। এদিনের সংঘর্ষের সময় ভবানীপুরের লোকজন ভাগাভাগি করে ওই গ্রামের দুটি পক্ষের সাথে ঝগড়ায় অংশ নেয়। এরই জের ধরে গত শুক্রবার ভবানীপুর গ্রামের দুই পক্ষের লোকজনের বিবাদ মীমাংসা করতে উদ্যেগ গ্রহন করে এলাকার চেয়ারম্যান হারুনউর রশিদসহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ। এদিন সকালে চকবাজারে উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিশ বসলে দুইপক্ষ এসময় তর্কাতর্কি শুরু করে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় প্রতিপক্ষের আঘাতে মিজান খুন হয়।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) খন্দকার ফূয়াদ রুহানী জানান, মিজান হত্যার ঘটনায় ৬৪ জনকে আসামী করে নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় রোববার বিকেলে একটি মামলা করে। মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।