১৬ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে পাদুকা শিল্পের শ্রম ও পরিবেশেগত মান বিষয়ক মাল্টি স্টেক হোল্ডার কনসালটেশন সভায় পাদুকা শিল্পকে রপ্তানিমুখী হিসাবে গড়ে তুলতে শ্রমিকদের আন্তজাতিক মানের প্রশিক্ষণের জন্য ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের দাবি জানান পাদুকা সংশ্লিষ্টরা।
আজ বুধবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত ‘বিল্ডিং এ সাসটেইনাবল লেদার সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় সলিডার সুইসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ওশি ফাউন্ডেশন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস্ আয়োজনে “ভৈরব পাদুকা শিল্পে শ্রম ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্স বিষয়ক মাল্টি-স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন” বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন, বিশেষ অতিথি প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মুকিত মুজমদার বাবু, উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো.রফিকুল ইসলাম, সার্কান ইকোনমি প্রাইভেট সেক্টর এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার হুবার্ট ব্লম, সবুজে অভিজান বাংলাদেশ নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা বেগম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন, ভৈরব পাদুকা মালিক সমিতির সভাপতি মো. আল আমিন প্রমূখ।
সভায় বক্তরা বলেন, ভৈরবের পাদুকা শিল্পের উন্নয়ন ও কারখানায় ব্যবহৃত চামড়া ও রিক্সিনের বর্জ্য অপসারণ, রিসাইকেলিং করে ব্যবহার যোগ্য করার বিষয়ে পাদুকা শিল্পের সংক্লিষ্টদের সচেতনতা ও পরিকল্পনা গড়ে তোলার তাগিদ দেন। যদি পাদুকা শিল্পে ব্যবহৃত চামড়া জাত পণ্য যদি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন করা হয় তাহলে চামড়া খাতের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে। ভৈরবের পাদুকা শিল্পের উন্নয়ন, আর্থিক সহযোগিতা ও অতিরিক্ত বর্জ্য উৎপাদনজনিত পরিবেশ দূষণ নিরসন করার উপায়, চ্যালেঞ্জ ও কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয় । পাদুকা শিল্পের পরিবেশগত মান ও শ্রমিকদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বজায় রাখার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি হলে বাংলাদেশের পাদুকা খাত বিশ্ববাজারে আরও বড় পরিসরে জায়গা করে নিতে পারে। এতে আরও অধিক শক্তিশালী, পরিচ্ছন্ন এবং মানসম্পন্ন পাদুকা কারখানা স্থাপন ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অগ্রহায়ণের পথ ত্বরান্বিত হবে বলে বক্তাদের দাবি ।