১০ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে নানার বাড়ী বেড়াতে গিয়ে পানিতে পড়ে আপন দুইবোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো তানিয়া (১২) ও লামিয়া (৮)। উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের প্রবাসী সহিদ মিয়ার মেয়ে তারা দুজন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে লুন্দিয়া গ্রামে। পরে খোঁজাখোঁজি করে সন্ধ্যায় দুইবোনের লাশ একটি খাল থেকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৯ টায় দাফন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে নবীপুর গ্রামের প্রবাসী সহিদ মিয়ার স্ত্রী তার তিন শিশু কন্যা নিয়ে তিনদিন আগে বাপের বাড়ী পাশের গ্রাম লুন্দিয়া বেড়াতে যায়। তিন কন্যা মায়ের সাথে নানার বাড়ী গিয়ে আনন্দে খেলা করে দিন কাটছিল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় তানিয়া ও লামিয়া নানার বাসা থেকে খেলা করতে বাইরে যায়। দুপুরের খাওয়ার সময় পার হয়ে গেলে মা দুই সন্তানকে খোঁজতে থাকে। বিকেল তিনটা পর্যন্ত সন্তানদের খোঁজে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গ্রামের পাশের একটি খালে সন্দেহজনকভাবে খোঁজতে থাকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় খালের পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় দুইবোনের মৃতদেহ একসাথে পাওয়া যায়। এসময় হৃদয়বিদারক ঘটনায় তার মা ও পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
দুজনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর তাদেরকে বাবার বাড়ী নবীপুর এনে আজ বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর নামাজে জানাজা সম্পন্ন করে পরিবারের সদস্যরা। এরপর রাত ৯ টায় স্থানীয় কবরস্থানে দুজনকে দাফন করা হয়।
এলাকার হোসেন মিয়া বলেন, সহিদ মিয়ার তিনটি কন্যা সন্তানের মধ্য দুইজনের মৃত্যুর কথা শুনে আমরা হতবাক স্তব্ধ হয়ে গেছি। বাবার অনুপস্থিতে মা ছিল সন্তানদের অভিভাবক। সহিদ মিয়ার কোন ছেলে সন্তান নেই। ঈদের বেড়ানো তাদের কাল হয়েছে।
এলাকার ইউপি মেম্বার আবদুল হামিদ বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক ও হৃদবিদারক। মেয়ে দুটির বাবা সৌদী প্রবাসী। তিনি এখন দেশে নেই। ঈদের পর তার স্ত্রী তিন কন্যা সন্তান নিয়ে বাপের বাড়ী লুন্দিয়া বেড়াতে যায়। এরই মধ্য আজ এমন ঘটনা ঘটল। রাতে তিন শিশু কন্যা দাফনের সময় তার পরিবারসহ গ্রামবাসী অনেকেই কেঁদেছে। শিশু দুটির মায়ের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে। তিনি বলেন এখন আমাদের দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।