ভৈরবে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার নিয়ে মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ। মুক্তি দাবি।। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:২৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৫২ Time View

৯ এপ্রিল, নিজস্ব  প্রতিনিধি:

ভৈরবে শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপনকে গ্রেফতার নিয়ে তার পরিষদের মেম্বার আল- আমিনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেয়া হয়। আজ বুধবার চেয়ারম্যানের বড় ভাই জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত  অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয় গত ২৬ মার্চ তার ভাই ইউপি  চেয়ারম্যানকে   পুলিশ বিনা কারনে কোন মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতার করে একটি পেন্ডিং মামলায় অজ্ঞাত আসামী করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। তার অভিযোগ পরিষদের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান আল- আমিন  ষড়যন্ত্র করে ফেসবুকে অপরাধমূলক পোস্ট দিয়ে পুলিশকে অবহিত করে মিথ্যা আসামী হিসেবে গ্রেফতার করার ব্যবস্থা করে। তার কারন চেয়ারম্যানকে জেলে পাঠালে উক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পাবেন। এই ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন মেম্বার ক্ষুব্ধ হয়েছে বলে তিনি অভিযোগে জানান। তবে মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান আল- আমিন  তার ভাইয়ের অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। এবিষয়ে তদন্ত করে চেয়ারম্যানকে মামলা থেকে ছাড়ার ব্যবস্থা করতে তিনি জেলা প্রশাসককে  অনুরোধ করেছেন। অভিযোগের কপিতে ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন মেম্বার স্বাক্ষর করেছেন। তারাও জনস্বার্থে চেয়ারম্যানের মুক্তি চান। 

এবিষয়ে চেয়ারম্যানের বড় ভাই ও অভিযোগকারী জিল্লুর রহমান বলেন, পরিষদের মেম্বার স্বেচ্ছাসেবক দলের ইউনিয়ের নেতা। গত ৫ আগস্টের পর তার অনুরোধে তাকে প্যানেল চেয়ারম্যান করেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপন। প্যানেল চেয়ারম্যান করার পর আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মেম্বার আল- আমিন ষড়যন্ত্র শুরু করে। সে ফেক আইডি খুলে  ফেসবুকে আমার ভাই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে  নানা ধরনের অপরাধমূলক পোস্ট দিতে থাকে। কারন চেয়ারম্যান জেলে গেলে উক্ত মেম্বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাবে। তিনি বলেন আমার ভাই এলাকার জনগনের কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব। মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। সে ইর্শ্বান্নিত হয়ে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে।  তাই আমি জেলা প্রশাসককে ঘটনাটি অবহিত করে বলেছি আমার ভাইয়ের মুক্তির ব্যবস্থা করতে।

এব্যাপারে পরিষদের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আল- আমিন তার অভিযোগ খন্ডন করে বলেন, আমি কোন রকম ষড়যন্ত্র করেনি। চেয়ারম্যান রিপন আওয়ামী লীগ নেতা। জুলাই –  আগস্ট মাসে তিনি ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সভা সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন যা আমি ফেসবুকে দিয়েছি প্রমান হিসেবে। আমার কোন ফেক আইডি নেই। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে, এতে আমাকে দোষারুপ করছে। 

এবিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) খন্দকার ফূয়াদ রুহানী জানান, কারো ষড়যন্ত্রে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপনকে গ্রেফতার করা হয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

যুগান্তরের আশুগঞ্জ প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান রঞ্জন  আর নেই। 

ভৈরবে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার নিয়ে মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ। মুক্তি দাবি।। 

Update Time : ০৩:২৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

৯ এপ্রিল, নিজস্ব  প্রতিনিধি:

ভৈরবে শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপনকে গ্রেফতার নিয়ে তার পরিষদের মেম্বার আল- আমিনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেয়া হয়। আজ বুধবার চেয়ারম্যানের বড় ভাই জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত  অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয় গত ২৬ মার্চ তার ভাই ইউপি  চেয়ারম্যানকে   পুলিশ বিনা কারনে কোন মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতার করে একটি পেন্ডিং মামলায় অজ্ঞাত আসামী করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। তার অভিযোগ পরিষদের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান আল- আমিন  ষড়যন্ত্র করে ফেসবুকে অপরাধমূলক পোস্ট দিয়ে পুলিশকে অবহিত করে মিথ্যা আসামী হিসেবে গ্রেফতার করার ব্যবস্থা করে। তার কারন চেয়ারম্যানকে জেলে পাঠালে উক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পাবেন। এই ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন মেম্বার ক্ষুব্ধ হয়েছে বলে তিনি অভিযোগে জানান। তবে মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান আল- আমিন  তার ভাইয়ের অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। এবিষয়ে তদন্ত করে চেয়ারম্যানকে মামলা থেকে ছাড়ার ব্যবস্থা করতে তিনি জেলা প্রশাসককে  অনুরোধ করেছেন। অভিযোগের কপিতে ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন মেম্বার স্বাক্ষর করেছেন। তারাও জনস্বার্থে চেয়ারম্যানের মুক্তি চান। 

এবিষয়ে চেয়ারম্যানের বড় ভাই ও অভিযোগকারী জিল্লুর রহমান বলেন, পরিষদের মেম্বার স্বেচ্ছাসেবক দলের ইউনিয়ের নেতা। গত ৫ আগস্টের পর তার অনুরোধে তাকে প্যানেল চেয়ারম্যান করেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপন। প্যানেল চেয়ারম্যান করার পর আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মেম্বার আল- আমিন ষড়যন্ত্র শুরু করে। সে ফেক আইডি খুলে  ফেসবুকে আমার ভাই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে  নানা ধরনের অপরাধমূলক পোস্ট দিতে থাকে। কারন চেয়ারম্যান জেলে গেলে উক্ত মেম্বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাবে। তিনি বলেন আমার ভাই এলাকার জনগনের কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব। মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। সে ইর্শ্বান্নিত হয়ে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে।  তাই আমি জেলা প্রশাসককে ঘটনাটি অবহিত করে বলেছি আমার ভাইয়ের মুক্তির ব্যবস্থা করতে।

এব্যাপারে পরিষদের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আল- আমিন তার অভিযোগ খন্ডন করে বলেন, আমি কোন রকম ষড়যন্ত্র করেনি। চেয়ারম্যান রিপন আওয়ামী লীগ নেতা। জুলাই –  আগস্ট মাসে তিনি ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সভা সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন যা আমি ফেসবুকে দিয়েছি প্রমান হিসেবে। আমার কোন ফেক আইডি নেই। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে, এতে আমাকে দোষারুপ করছে। 

এবিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) খন্দকার ফূয়াদ রুহানী জানান, কারো ষড়যন্ত্রে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপনকে গ্রেফতার করা হয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।