ভৈরবে পাদুকা ব্যবসায়ী মিজানের  মরদেহ উদ্ধার।। স্ত্রীর দাবি দেবরদের লাঠির আঘাতে মৃত্যু।। বাবার অস্বীকার।।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:০১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩ Time View

৭ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:

 ভৈরবে পাদুকা ব্যবসায়ী মিজান মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  নিহত মিজান  কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের চরেরকান্দা গ্রামের সেন বাড়ির মতি মিয়ার ছেলে। 

আজ সোমবার দুপুর  সাড়ে ১২ টায় তার বাড়ী  থেকে মরদেহটি পুলিশ   উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার  মতি মিয়ার চার ছেলের মধ্য  দীর্ঘদিন যাবত জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলছিলো। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিহত মিজানের ছোট দুই ভাই রোমান ও রিপনের মধ্য তাদের বসত বাড়ির পাশে একটি টয়লেট স্থাপন করাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। এসময় খবর পেয়ে  মিজান স্থানীয় চক বাজার থেকে বাড়িতে ফিরে দেখেন তার দুই ভাই এ বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি করছে। এসময়  বড় ভাই মিজান ছোট দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে চেষ্টা করলে হঠাৎ  তিনি গুরুতর আহত হয়ে পড়েন। পরে তাকে স্বজনরা উদ্ধার করে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়ীতে আনা হয়। তবে তার স্ত্রীর দাবি দেবরদের লাঠির আঘাতে মিজান মারা গেছে। এঅভিযোগ দেবরগন অস্বীকার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। 

মিজানের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, সকালে আমার দেবর রিপন আমাদের ঘরের পাশে চাকতির টয়লেট বসানো নিয়ে রোমানের সাথে ঝগড়া হয়। তখন আমার স্বামী বাড়িতে ছিলো না।যখন বাড়িতে আসলো তখন তাদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে তাদের লাঠির  আঘাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে আমরা চিকিৎসার জন্য  হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান। তার দাবি আমার দুই দেবরের ঝগড়ার কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হলো। 

নিহত মিজানের বাবা মতি মিয়া বলেন, আমার চার ছেলে সবাই যার যার মত করে ব্যবসা করে সংসার চালাই। ছোট ছেলে রিপন ও রোমান বাড়িতে একটি টয়লেট বসানো নিয়ে তাদের মধ্য ঝগড়া হয়। এসময় আমার বড় ছেলে তাদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে বাজিতপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সে মারা যায়। দেবরদের লাঠির আঘাতে মিজান মারা গেছে এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। 

এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, তার  মৃত্যুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর জানা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিব। 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে যুবলীগ নেতা কর্তৃক  প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অফিসে কক্ষে মারধোর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

ভৈরবে পাদুকা ব্যবসায়ী মিজানের  মরদেহ উদ্ধার।। স্ত্রীর দাবি দেবরদের লাঠির আঘাতে মৃত্যু।। বাবার অস্বীকার।।

Update Time : ১২:০১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

৭ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:

 ভৈরবে পাদুকা ব্যবসায়ী মিজান মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  নিহত মিজান  কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের চরেরকান্দা গ্রামের সেন বাড়ির মতি মিয়ার ছেলে। 

আজ সোমবার দুপুর  সাড়ে ১২ টায় তার বাড়ী  থেকে মরদেহটি পুলিশ   উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার  মতি মিয়ার চার ছেলের মধ্য  দীর্ঘদিন যাবত জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলছিলো। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিহত মিজানের ছোট দুই ভাই রোমান ও রিপনের মধ্য তাদের বসত বাড়ির পাশে একটি টয়লেট স্থাপন করাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। এসময় খবর পেয়ে  মিজান স্থানীয় চক বাজার থেকে বাড়িতে ফিরে দেখেন তার দুই ভাই এ বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি করছে। এসময়  বড় ভাই মিজান ছোট দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে চেষ্টা করলে হঠাৎ  তিনি গুরুতর আহত হয়ে পড়েন। পরে তাকে স্বজনরা উদ্ধার করে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়ীতে আনা হয়। তবে তার স্ত্রীর দাবি দেবরদের লাঠির আঘাতে মিজান মারা গেছে। এঅভিযোগ দেবরগন অস্বীকার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। 

মিজানের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, সকালে আমার দেবর রিপন আমাদের ঘরের পাশে চাকতির টয়লেট বসানো নিয়ে রোমানের সাথে ঝগড়া হয়। তখন আমার স্বামী বাড়িতে ছিলো না।যখন বাড়িতে আসলো তখন তাদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে তাদের লাঠির  আঘাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে আমরা চিকিৎসার জন্য  হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান। তার দাবি আমার দুই দেবরের ঝগড়ার কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হলো। 

নিহত মিজানের বাবা মতি মিয়া বলেন, আমার চার ছেলে সবাই যার যার মত করে ব্যবসা করে সংসার চালাই। ছোট ছেলে রিপন ও রোমান বাড়িতে একটি টয়লেট বসানো নিয়ে তাদের মধ্য ঝগড়া হয়। এসময় আমার বড় ছেলে তাদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে বাজিতপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সে মারা যায়। দেবরদের লাঠির আঘাতে মিজান মারা গেছে এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। 

এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, তার  মৃত্যুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর জানা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।