২০ মার্চ, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে সাত তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মেহেদি হোসেন (৩০) নামের এক ইলেট্রেশিয়ান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে কুষ্টিয়া জেলা খোকসা উপজেলার আমলবাড়ি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামরে ছেলে। নিহত যুবক ভবনটির ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
গতকাল বুধবার রাত ১ টার দিকে ভৈরব বাজার টিনপট্রি এলাকার সিমেন্ট ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র সাহার ভবনে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মেহেদি হোসেন শহরের টিনপট্রি এলাকার ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র সাহার সাততলা নির্মিত ভবনে ৩ বছর যাবত ইলেক্ট্রিক কাজ করছে। কয়েকজন মিলে ভবনের ছাদে একটি রুমে থাকতেন মেহেদি হোসেন। গতকাল বুধবার সারাদিন কাজ শেষ করে রাত ১১ টায় রুমে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে রাত ১ টার দিকে ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায় যু্বক মেহেদি । পরবর্তীতে বিকট শব্দ শুনে পাশ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
ভৈরব বাজার কমিউনিটি পুলিশ সদস্য সাদ্দাম মিয়া বলেন, বুধবার রাত ১টার সময় আমি ভবনের পাশে ডিউটিতে ছিলাম। হঠাৎ একটি বিকট আওয়াজ পেয়ে দৌড়ে এসে দেখি একজন যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় ভবনের নিচে পড়ে আছে। এসময় তার সহকর্মীরা নিচে নেমে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় আমি পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানাই ।
নিহতের সহকর্মী শাহিন বলেন, ৩ বছর যাবত ভৈরব বাজারে ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র সাহার সাততলা ভবনে আমরা একসাথে কাজ করছি। রাতে কি কারণে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মারা গেলো সেই কারণ আমরা কেউ বলতে পারব না ।
ভবনের ঠিকাদার ইউনুস মিয়া বলেন, আমি গতকাল বুধবার ঢাকাতে ছিলাম রাতে তার মৃত্যর খবর শুনে আমি বৃহস্পতিবার ভোরে ভৈরবে চলে আসি। নিহত মেহেদী ৭ বছর ধরে আমার বিভিন্ন সাইডে কাজ করে আসছে। কিন্তু কেন মারা গেল কোন কারণ আমি কিছুই বুঝতে পারছি না । ছোটবেলা তার বাবা মারা গেছে। পরিবারে তার কোন ভাইবোন নেই । শুধু তার মা আছেন ।
এ বিষয়ে ভৈরব শহরফাঁড়ি এসআই নরুল হুদা জানান, রাতে ডিউটি চলাকালীন ফোনে জানতে পারি একজন যুবক ভবন থেকে পড়ে গেছে। পরবর্তীতে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি হাসপাতালে নিয়ে গেছে । পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোেগঞ্জ পাঠানো হয়েছে । এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি।