ভৈরবে পুত্রবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শ্বশুরসহ ২ জন গ্রেপ্তার। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • ২৯৫ Time View

১৮ মার্চ, নিজস্ব প্রতিনিধি:

 ভৈরবে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা  হলেন, আগানগর ইউনিয়নের জগমোহনপুর এলাকার তোতা আলীর ছেলে আমির আলী (৬৫) ও তার স্ত্রী সমেলা বেগম (৫৫)। 

গতকাল সোমবার রাতে  উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের জগমোহনপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

পুলিশ ও সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আগানগর ইউনিয়নের জগমোহনপুর এলাকার আমির আলীর ছেলে সাব্বিরের সঙ্গে ৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর বিটুই গ্রামের হাসেম মিয়ার মেয়ে দেলোয়ারা বেগমের (২৪) । সংসারে তাদের তিন সন্তান রয়েছে। গত ২ বছর আগে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে বিদেশে যান সাব্বির। ছেলে প্রবাসে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় দেলোয়ারা বেগমের ওপর শারীরিক নির্যাতন। গত তিন বছর আগেও শ্বশুর আমির আলী তার পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি স্থানীয়রা পারিবারিক সালিশের মাধ্যমে পুত্রবধূর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে। 

এদিকে গত ১২ মার্চ বুধবার রাতে পুত্রবধূর শয়নক্ষে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে শ্বশুর আমির আলী। এ সময় ডাকচিৎকার শুরু করলে তিনি পালিয়ে যান। বিষয়টি শাশুড়ি সমেলা বেগমকে অবগত করলে তিনি উল্টো পুত্রবধূকে শারীরিক নির্যাতন করেন। মারধর করে একপর্যায়ে চোখে মুখে জখম করে। পরবর্তীতে ১৬ মার্চ রোববার রাতে ভৈরব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন দেলোয়ারা বেগম।

ভুক্তভোগী দেলোয়ারা বেগম বলেন, 

আমার শ্বশুর আমার বিয়ের পর থেকেই কুদৃষ্টি দেয়। ১২ মার্চ বুধবার রাতে আমি নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ আমার শ্বশুর ঘরে ঢুকে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি শাশুড়িকে বিষয়টি জানালে তিনিও আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। পরে আমি কোন রকম প্রাণে বেঁচে আমার বড় বোনের বাসায় গিয়ে আশ্রয় নিই। পরে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিই। আমি আমার শ্বশুর ও তাকে সহায়তাকারী আমার শাশুড়ির বিচার চাই। 

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে জানা যায় গৃহবধূর শ্বশুর আমির আলী লম্পট প্রকৃতির লোক। পরেই তাকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে যুবলীগ নেতা কর্তৃক  প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অফিসে কক্ষে মারধোর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

ভৈরবে পুত্রবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শ্বশুরসহ ২ জন গ্রেপ্তার। 

Update Time : ০১:৩৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

১৮ মার্চ, নিজস্ব প্রতিনিধি:

 ভৈরবে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা  হলেন, আগানগর ইউনিয়নের জগমোহনপুর এলাকার তোতা আলীর ছেলে আমির আলী (৬৫) ও তার স্ত্রী সমেলা বেগম (৫৫)। 

গতকাল সোমবার রাতে  উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের জগমোহনপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

পুলিশ ও সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আগানগর ইউনিয়নের জগমোহনপুর এলাকার আমির আলীর ছেলে সাব্বিরের সঙ্গে ৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর বিটুই গ্রামের হাসেম মিয়ার মেয়ে দেলোয়ারা বেগমের (২৪) । সংসারে তাদের তিন সন্তান রয়েছে। গত ২ বছর আগে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে বিদেশে যান সাব্বির। ছেলে প্রবাসে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় দেলোয়ারা বেগমের ওপর শারীরিক নির্যাতন। গত তিন বছর আগেও শ্বশুর আমির আলী তার পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি স্থানীয়রা পারিবারিক সালিশের মাধ্যমে পুত্রবধূর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে। 

এদিকে গত ১২ মার্চ বুধবার রাতে পুত্রবধূর শয়নক্ষে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে শ্বশুর আমির আলী। এ সময় ডাকচিৎকার শুরু করলে তিনি পালিয়ে যান। বিষয়টি শাশুড়ি সমেলা বেগমকে অবগত করলে তিনি উল্টো পুত্রবধূকে শারীরিক নির্যাতন করেন। মারধর করে একপর্যায়ে চোখে মুখে জখম করে। পরবর্তীতে ১৬ মার্চ রোববার রাতে ভৈরব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন দেলোয়ারা বেগম।

ভুক্তভোগী দেলোয়ারা বেগম বলেন, 

আমার শ্বশুর আমার বিয়ের পর থেকেই কুদৃষ্টি দেয়। ১২ মার্চ বুধবার রাতে আমি নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ আমার শ্বশুর ঘরে ঢুকে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি শাশুড়িকে বিষয়টি জানালে তিনিও আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। পরে আমি কোন রকম প্রাণে বেঁচে আমার বড় বোনের বাসায় গিয়ে আশ্রয় নিই। পরে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিই। আমি আমার শ্বশুর ও তাকে সহায়তাকারী আমার শাশুড়ির বিচার চাই। 

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে জানা যায় গৃহবধূর শ্বশুর আমির আলী লম্পট প্রকৃতির লোক। পরেই তাকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।