ভৈরব উপজেলার ৪ কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে ১০ বছর। কেউ দেখার নেই। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৫০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ৪১৪ Time View

৫ মার্চ, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভৈরব উপজেলার ৪ কর্মকর্তার বদলী নেই ১০ বছর যাবত। তদবীর করে করে একই কর্মস্থলে তারা দীর্ঘদিন যাবত সরকারী চাকরী করে গেলেও  দেখার কেউ নেই। তারা হলো উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জলি বদন তৈয়বা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রিফফাত জাহান ত্রপা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামসুন নাহার তাসমিন ও উপজেলা  মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমি সুপারভাইজার স্বপ্না বেগম। ভৈরব উপজেলা পরিষদ অফিসে  তাদের মত এমন সুবিধা নিয়ে আর কেউ চাকরি করার সুযোগ পাচ্ছেনা।

জলি বদন তৈয়বা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, তার স্বামীর বাড়ী ভৈরব শহরের আমলাপাড়া এলাকায়। ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই তিনি ভৈরব উপজেলায় কর্মস্থলে যোগদানের পর এখনও এখানেই আছেন।

রিফফাত জাহান ত্রপা, সমাজসেবা অফিসার, তার স্বামীর বাড়ী পার্শ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলা এলাকায়। তিনি ২০১২ সালের ১ নভেম্বর ভৈরব উপজেলার কর্মস্থলে যোগদান করার পর ২০১৭ সালে  মাঝখানে দুইবার ৫ মাসের জন্য অন্যত্র বদলী হলেও ঘূরেফিরে আবারও ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ থেকে এখনও ভৈরবে কর্মরত আছেন।

শামসুন নাহার তাসমিন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, তিনি ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর ভৈরব উপজেলায় কর্মস্থলে যোগদানের পর এখনও তার কর্মস্থলে কাজ করছেন।

স্বপ্না বেগম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমি সুপারভাইজার পদে ভৈরবে কর্মরত আছে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখ থেকে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা ভৈরবের কর্মস্থলে যোগদান করার পর থেকে  সরকারী চাকরী করলেও তারা বিভিন্নভাবে তদবির করে  বদলী হচ্ছেননা। এমনটাই প্রচার আছে ভৈরবে।  দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে কাজ করলে নানা ধরনের সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ থাকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেন তাদেরকে দীর্ঘদিন যাবত বদলী করছেননা বিষয়টি রহস্যজনক।

এবিষয়ে ৪ জন কর্মকর্তা একইসুরে বলেন, সরকারী চাকরি করছি। কর্তৃপক্ষ যখন বদলি করবেন তখনই অন্যত্র চলে যাব। তারা বদলি ঠেকানোর তদবির কখনই করেননা বলে জনপদ সংবাদকে জানান। 

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, বদলীর বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের। আমি জানিনা ভৈরবের কর্মকর্তাকে কেন বদলি করা হচ্ছেনা। জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ভৈরবের কর্মকর্তা কতদিন যাবত কর্মরত আছেন সেই খবর আমার জানা নেই। তবে তাকে বদলি করার ক্ষমতা আমার নেই। মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ বদলি করেন। জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশিদ জানান, বর্তমান সময়ে কাউকে বদলি করা হবেনা। হয়তো আগামী সংসদ নির্বাচনের পর ভৈরবের কর্মকর্তা বদলি হতে পারেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, আমি কয়েকদিন আগে ভৈরবে যোগদান করেছি। একাডেমি সুপারভাইজারের বদলি আমার হাতে নয়। কর্তৃপক্ষ মনে যখন করবেন তখন তাকে বদলি করবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে যুবলীগ নেতা কর্তৃক  প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অফিসে কক্ষে মারধোর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

ভৈরব উপজেলার ৪ কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে ১০ বছর। কেউ দেখার নেই। 

Update Time : ০১:৫০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

৫ মার্চ, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভৈরব উপজেলার ৪ কর্মকর্তার বদলী নেই ১০ বছর যাবত। তদবীর করে করে একই কর্মস্থলে তারা দীর্ঘদিন যাবত সরকারী চাকরী করে গেলেও  দেখার কেউ নেই। তারা হলো উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জলি বদন তৈয়বা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রিফফাত জাহান ত্রপা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামসুন নাহার তাসমিন ও উপজেলা  মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমি সুপারভাইজার স্বপ্না বেগম। ভৈরব উপজেলা পরিষদ অফিসে  তাদের মত এমন সুবিধা নিয়ে আর কেউ চাকরি করার সুযোগ পাচ্ছেনা।

জলি বদন তৈয়বা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, তার স্বামীর বাড়ী ভৈরব শহরের আমলাপাড়া এলাকায়। ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই তিনি ভৈরব উপজেলায় কর্মস্থলে যোগদানের পর এখনও এখানেই আছেন।

রিফফাত জাহান ত্রপা, সমাজসেবা অফিসার, তার স্বামীর বাড়ী পার্শ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলা এলাকায়। তিনি ২০১২ সালের ১ নভেম্বর ভৈরব উপজেলার কর্মস্থলে যোগদান করার পর ২০১৭ সালে  মাঝখানে দুইবার ৫ মাসের জন্য অন্যত্র বদলী হলেও ঘূরেফিরে আবারও ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ থেকে এখনও ভৈরবে কর্মরত আছেন।

শামসুন নাহার তাসমিন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, তিনি ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর ভৈরব উপজেলায় কর্মস্থলে যোগদানের পর এখনও তার কর্মস্থলে কাজ করছেন।

স্বপ্না বেগম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমি সুপারভাইজার পদে ভৈরবে কর্মরত আছে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখ থেকে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা ভৈরবের কর্মস্থলে যোগদান করার পর থেকে  সরকারী চাকরী করলেও তারা বিভিন্নভাবে তদবির করে  বদলী হচ্ছেননা। এমনটাই প্রচার আছে ভৈরবে।  দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে কাজ করলে নানা ধরনের সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ থাকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেন তাদেরকে দীর্ঘদিন যাবত বদলী করছেননা বিষয়টি রহস্যজনক।

এবিষয়ে ৪ জন কর্মকর্তা একইসুরে বলেন, সরকারী চাকরি করছি। কর্তৃপক্ষ যখন বদলি করবেন তখনই অন্যত্র চলে যাব। তারা বদলি ঠেকানোর তদবির কখনই করেননা বলে জনপদ সংবাদকে জানান। 

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, বদলীর বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের। আমি জানিনা ভৈরবের কর্মকর্তাকে কেন বদলি করা হচ্ছেনা। জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ভৈরবের কর্মকর্তা কতদিন যাবত কর্মরত আছেন সেই খবর আমার জানা নেই। তবে তাকে বদলি করার ক্ষমতা আমার নেই। মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ বদলি করেন। জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশিদ জানান, বর্তমান সময়ে কাউকে বদলি করা হবেনা। হয়তো আগামী সংসদ নির্বাচনের পর ভৈরবের কর্মকর্তা বদলি হতে পারেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, আমি কয়েকদিন আগে ভৈরবে যোগদান করেছি। একাডেমি সুপারভাইজারের বদলি আমার হাতে নয়। কর্তৃপক্ষ মনে যখন করবেন তখন তাকে বদলি করবেন।