ভৈরবে মায়ের সাথে অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা।। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৯৭ Time View

১১ ফেব্রুয়ারি, নিজস্ব  প্রতিনিধি:

 ভৈরবে মায়ের সাথে অভিমান করে মেয়ে জিমা বেগম (১৪) আত্মহত্যা করেছে। শহরের তাতারকান্দি এলাকার মিঠু মিয়ার মেয়ে জিমা। 

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে শহরের লক্ষী পুর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

স্বজন ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের মত কিশোরী জিমা বেগমের মা মুক্তা বেগম ঘুম থেকে উঠেন। তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে  এবং  বাবা ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপে  কাজ করেন। সকালে  মা তার কাজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় মা  তার মেয়েকে কঠোর ভাষায় বলে ঘুম থেকে উঠে ঘরের কাজর্কম কর,  এভাবে কি দিন যাবে। এই নিয়ে মা ও মেয়ের মধ্য কথা কাটাকাটি হয়। তারপর মা সকালের নাস্তা খেয়ে তার কাজে চলে যান। কাজের যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই খবর পায় তার মেয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানে ফাঁস নিয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে এসে প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে ঘরের ভিতর থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে  কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে নিহত জিমার লাশ উদ্ধার করে। 

প্রতিবেশী ভাঁড়াটিয়া আল আমিন মিয়া বলেন,  সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে  খবর পেলাম প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মুক্তা বেগমের মেয়ে জিমা মায়ের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। 

এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি

খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানতে পেরেছি একজন কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে  এক সঙ্গে তিন জমজ ছেলে সন্তান জন্ম নিল। খুশি দম্পতি তবে চিন্তিত তাদের ভরণপোষণ নিয়ে। 

ভৈরবে মায়ের সাথে অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা।। 

Update Time : ০১:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

১১ ফেব্রুয়ারি, নিজস্ব  প্রতিনিধি:

 ভৈরবে মায়ের সাথে অভিমান করে মেয়ে জিমা বেগম (১৪) আত্মহত্যা করেছে। শহরের তাতারকান্দি এলাকার মিঠু মিয়ার মেয়ে জিমা। 

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে শহরের লক্ষী পুর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

স্বজন ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের মত কিশোরী জিমা বেগমের মা মুক্তা বেগম ঘুম থেকে উঠেন। তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে  এবং  বাবা ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপে  কাজ করেন। সকালে  মা তার কাজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় মা  তার মেয়েকে কঠোর ভাষায় বলে ঘুম থেকে উঠে ঘরের কাজর্কম কর,  এভাবে কি দিন যাবে। এই নিয়ে মা ও মেয়ের মধ্য কথা কাটাকাটি হয়। তারপর মা সকালের নাস্তা খেয়ে তার কাজে চলে যান। কাজের যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই খবর পায় তার মেয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানে ফাঁস নিয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে এসে প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে ঘরের ভিতর থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে  কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে নিহত জিমার লাশ উদ্ধার করে। 

প্রতিবেশী ভাঁড়াটিয়া আল আমিন মিয়া বলেন,  সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে  খবর পেলাম প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মুক্তা বেগমের মেয়ে জিমা মায়ের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। 

এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি

খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানতে পেরেছি একজন কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।