২১ জানুয়ারি, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরব রেলওয়ে থানা এলাকায় গত এক বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারী পুরুষ ও শিশু কিশোরসহ মোট ৮৫ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে পুরুষ ৫৮ জন , ২৫ জন নারী ও ১ জন শিশু ১ জন কিশোর। নিহতদের অধিকাংশই অজ্ঞাত। এসব মৃত্যুর ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় ৮৪টি অপমৃত্যু ও ১ টি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে বলে জানায় রেলওয়ে পুলিশ। এধরনের মৃত্যুর হার কমাতে হলে ট্রেনে ঝুঁকিপূর্ন ভ্রমন রোধ করতে হবে, পথচারিদেরকে সচেতন হতে হবে।
ভৈরব রেলওয়ে থানা সুত্র জানায়, গত ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি হইতে ৩১ শে ডিসেম্ভর পর্যন্ত মোট ৮৫ জন রেলে কাটা পড়ে মারা যায় যাদের মধ্যে অধিকাংশই অজ্ঞাত। ভৈরব-টঙ্গী, ভৈরব-সরারচর রেল পথের বিভিন্ন এলাকায় ১২ মাসে অসতর্কতার কারনে তারা ট্রেনে কাটা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু বরণ করেন। ভৈরব রেলওয়ে থানার অধীনে রয়েছে ভৈরব-টঙ্গী ৭০ কিলোমিটার ও ভৈরব-সরারচর পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার রেলপথ। ভৈরব রেলওয়ে থানার সীমানায় রয়েছে মোট ১৯টি রেলওয়ে ষ্টেশন। এ পর্যন্ত যারা মারা গেছে তারা চলন্ত ট্রেনে উঠানামা, রেলপথ পারপার, ট্রেনের ছাদে ভ্রমনরত যাত্রী, দুই বগীর সংযোগ স্থলে বসে যাতায়াত কিংবা ট্রেনের দরজার হাতলে ঝুলন্ত অবস্থায় যাতায়াতকালে অসাবধানতা বশত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে।
এলাকাবাসি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, যাত্রীরাসহ সাধারণ মানুষের অসাবধানতাই এসব মৃত্যুর কারন।
ভৈরব রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার আবু ইউছুফ জানান, স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের উদ্দ্যেশ্যে মাইকিং করে জানানো হয় যাত্রীরা যেন ট্রেন থেকে নামার সময় সচেতন থাকেন। স্টেশনের ওভারব্রীজ করতে বলা হয়। কিন্ত অসচেতনকার কারনে দূর্ঘটনার মূল কারন।
ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সাঈদ আহমেদ বলেন, চলন্ত ট্রেনে ওঠানামা বন্ধ এবং ষ্টেশনে বিরতি নেই এমন ট্রেনে ভ্রমন না করাসহ ওভারব্রীজ ব্যবহার করা হলে ওই সকল অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে। রেল কর্তৃপক্ষের প্রচার প্রচারণার ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর অপমৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে। ২০২৪ সালে ৮৫ টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান। ৮৫ টি ঘটনার মধ্য তদন্তের পর একটি ঘটনায় হত্যা মামলা হয়।