১৯ জানুয়ারি, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে আবারও বিএপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একটি প্রোগ্রামে হাইব্রিড ডাকাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের টানা দুইদিন যাবত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইদিনে ৩০টি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুরসহ লুটপাট করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১৫ জন। আজ রবিবার সকালে ও বিকালে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এছাড়াও গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় সংঘর্ষ শুরু হলে আবারো থেমে থেমে বেলা সাড়ে ১২টায় ও বিকাল ৪টায় ও রাত ১২টায় চন্ডিবের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ রোববার রাত ৮ টা পর্যন্ত এলাকা জুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় আহতরা হলো, ৯নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম (৪০), একই এলাকার জসিম মিয়া (৪০), রাতুল মিয়া (২৭), কাউসার (৪২), ওয়ালেছ মিয়া (৩৬), পাপন (২২), রমজান (১৮), আবু সাইদ (১৮), ওমেদ (১৮), ইব্রাহীম (২০)। এদের মধ্যে শফিকুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। ৪ জনকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাতপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, ১৮ জানুয়ারি শনিবার সকালে বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে দেখতে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। এসময় চণ্ডিবের এলাকার স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রিয় নেতার সাথে সাক্ষাতের জন্য গেলে একই এলাকার দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে হাইব্রিড বলে সম্বোধন করেন। পরে নেতৃবৃন্দ চলে গেলে বেলা সাড়ে ১২টায় আবারো দুই গ্রুপ দা, বল্লম, ইট, পাটকেল, লাঠিসোটাসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা আরো জানান, সংঘর্ষে নিরপরাধ মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভিপি মো. মুজিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারী ইন্দন দিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা মো. শরীফুল আলম এর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সংঘর্ষ বাধিয়ে দিয়েছে।
ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিন মিয়া জানান, পুলিশ ও সেনাসদস্যের উপস্থিতির পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।