৫ জানুয়ারি, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে স্বামী-স্ত্রীসহ দুই সন্তান হত্যার রহস্য ৪০ দিনেও উদঘাটন হয়নি। এক পরিবারের চারজন একসাথে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ কুলকিনারা পাচ্ছেনা। ঘটনার ৪০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও ময়না তদন্তের রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসেনি। রিপোর্টটি পেলে রহস্য কিছুটা জানা যাবে, এমনটাই ধারনা করছে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ২৬ নভেম্বর রাতে ভৈরবের রানীর বাজারের এক বাসায় জনি চন্দ্র বিশ্বাস (৩৫) নামের এক ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি গলায় ফাঁসিতে আত্মহত্যা করে। এরাতে তার স্ত্রী নিপা মল্লিক(৩০), তার সন্তান ধ্রুব বিশ্বাস(৮), মেয়ে কথা বিশ্বাস (৫) এর রক্তাক্ত লাশ বাসার খাটে পাওয়া যায়। প্রতিবেশীরাসহ পুলিশ তখন ধারনা করেছিল জনি চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনার রাতে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করার পর সে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পরদিন বিকেলে পুলিশ ৪ জনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় কিশোরগন্জ। সেই ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষা করছে পুলিশ।
ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করে জনির মা।
ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ শাহিন জানান, ঘটনার পর থেকে আমরা হত্যার রহস্য বের করতে চেষ্টা করছি। জনি চন্দ্র বিশ্বাসের বাড়ী নরসিংদির রায়পুরা এলাকায়। সে ভৈরবে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকত। স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে ভাল বেতনে জনি চাকরি করত। তার বেতন ছিল ২৮ হাজার টাকা। তাই অভাবে সে ফাঁসিতে মরেছে বা স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করেছে তা মনে হয়না। স্ত্রীর সাথে তার কোনদিন ঝগড়াও হয়নি। প্রশ্ন হলো নিজের সন্তান ও স্ত্রীকে সে কেন হত্যা করল। ঘটনার রাতে তার রুমের দরজা বন্ধ ছিল। এসব নানা প্রশ্ন নিয়ে পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে। এখন ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে রহস্যের কুলকিনারা পাওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, স্থানীয়দের সাথে আমিও একমত জনি প্রথমে তার স্ত্রীকে এবং পরে তার দুই সন্তানকে হত্যা করার পর নিজে ফাঁসিতে ঝুলেছে। এটা আমাদের ধারনা বা সন্দেহ। ঘটনার অধিকতর তদন্ত অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।