৩০ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে জুলাই-আগস্ট ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনের ঘটনায় তিনটি মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম সেন্টুসহ ৩৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে সাধারণ সম্পাদক সেন্টু ও তার ছোট ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব রায়হানসহ ১১ জন কিশোরগন্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্যাট কিশোর দত্তের আদালতে তিন মামলায় আত্মসমর্পন করলে বিচারক ১০ জনকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠায়। তাদের মধ্য জাহান মেম্বার নামের এক আসামী অসুস্থ থাকায় আদালত তার জামিন মন্জুর করে।
এর আগে গতকাল রোববার একই ঘটনায় একই আদালতে তিন মামলায় ২৫ জন আত্মসমর্পন করলে বিচারক জামিন না দিয়ে সবাইকে কারাগারে পাঠায়। দুদিনে মোট ৩৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আসামীরা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
রোববার আত্মসমর্পনকারী ২৫ জনের মধ্য উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমির হামজা, ভৈরব পৌরসভার সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আল- আমিন, আগানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির ছিল। অন্যন্যরা দলের নেতাকর্মী।
কিশোরগন্জ আদালতের সিনিয়র আইনজীবি এড, আবুল বাশার আজ সোমবার দুপুরে এই প্রতিনিধির নিকট মোবাইলে বলেন দুইদিনে ৩৫ জনকে কারাগারে পাঠায় আদালত ও একজনকে জামিন দিয়েছেন। তিনি বলেন গত জুলাই – আগস্ট মাসে ছাত্রদের আন্দোলনের সময় বিভিন্ন তারিখে একজনের হাত কাটা, কেউ কেউ আহত ও স্থানীয় বিএনপির অফিস ভাংচুরের তিনটি মামলা হয়। এসব মামলায় তাদেরকে আসামী করা হলে তারা পলাতক ছিল। এখন স্বেচ্ছায় তারা আত্মসমর্পন করলে আদালত তাদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমরা পরবর্তীতে জেলা জজ কোর্টে জামিনের বিষয়ে আপীল করব।