২৫ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে খোড়া যুক্তিতে তদন্তে অস্বীকৃতি জানাল তদন্ত কর্মকর্তা। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভৈরবের বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুনীতির অভিযোগ এনে এলাকাবাসী উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবরে বিচারের আবেদন করলে গত ১১ ডিসেম্বর ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠণ করেন ইউএনও। ভৈরব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেনকে আহবায়ক করে পরিসংখ্যান অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়। ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমাদানের কথা থাকলেও গতকাল ২৪ ডিসেম্বর অভিযোগকারীদের মোবাইল নাম্বার না থাকার অযুহাতে তদন্তে অস্বীকৃতি জানান কমিটির আহবায়ক আবুল হোসেন। অভিযোগকারীদের একজন মো: বিল্লাল মিয়া আজ বুধবার সকালে যুগান্তরকে জানান, দুর্নীতিকে আড়াল করতে তদন্ত কমিটির আহবায়ক ৫ দিন অফিসে ছুটি নিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। যথাযথ প্রমাণাদি ও ঠিকানা থাকার পরও খোড়া যুক্তিতে তদন্ত বানচালের অপচেষ্টা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তার অসদাচারনের সামিল। তিনি বলেন অভিযোগে মোবাইল নাম্বার না থাকলেও আমাদেরকে এলাকার সবাই চেনে। তিনি চেষ্টা করলেই আমাদেরকে খোঁজে বের করে ডাকতে পারতেন।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন জানান, অভিযোগকারীদের পূর্নাঙ্গ ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার না থাকায় তদন্ত কাজ করা যাবে বলে আমরা ইউএনওকে জানিয়েছি। যেকোন অভিযোগ তদন্ত করতে হলে অভিযোগকারীর পূর্ন ঠিকানা থাকা আবশ্যক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন জানান, অভিযোগকারীগন পূর্ন ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে পুনরায় অভিযোগ করলে যথাশীঘ্র সম্ভব আবারও ঘটনার তদন্ত করার ব্যবস্থা করব। এনিয়ে দুর্শ্বিন্তা করার কোন কারন নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি প্রমান হলে কেউ রেহাই পাবেনা।