কুলিয়ারচরে পুলিশের গুলিতে নিহত দুইজনের স্মরণে বিএনপির  স্মরণসভা অনুষ্ঠিত। বিচার দাবি।।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৩৮ Time View

১৩ ডিসেম্বর, নিজস্ব  প্রতিনিধি।।

কিশোরগন্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের গুলিতে নিহত দুইজনের স্মরণে উপজেলা বিএনপি এক স্মরণসভা করে। গুলিতে নিহতরা হলো ছাত্রদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ (২৩) ও ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি বিল্লাল মিয়া (৩২)। আজ শুক্রবার বিকেলে কুলিয়ারচর উপজেলা ছয়সূতি ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত  বড় ছয়সূতি বাজার মাঠে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ছয়সূতি বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন মোর্শেদ নিজামী ( বাবুল) । অনুষ্ঠানে   প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগন্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল মিলাদ,  সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শাহ আলম, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

গত বছর ৩১ অক্টোবর বিএনপি – জামায়েতের ডাকা তিনদিনের রেল, সড়ক ও নৌপথ অবরোধের দিন অবরোধ পালনকালে ভৈরব – কিশোরগন্জ সড়কের ছয়সূতি সড়কে পুলিশের গুলিতে উল্লেখিত দুজন নেতা মারা যায়। দুজনই বিবাহিত ছিল। তারা মারা গেলে তাদের স্ত্রীগন বিধবা হয় এবং সন্তানরা ইতিম হয়ে যায়। তারা মারা গেলে আজও তাদের  বিচার পায়নি। স্মরণসভা অনুষ্ঠানে কুলিয়ারচর এলাকার বিপুল সংখ্যক বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন ঘটনার দিন শান্তিপূর্ন অবরোধ পালনকালে  বিনাকারনে পুলিশ তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে। এদিন পুলিশ দুজনের লাশ রাস্তা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনায় তাদের পরিবারের মামলা গ্রহন না করে পুলিশ থানায় জিডি করে। দুজনের মৃত্যু ছিল নির্মম বেদনাদায়ক। তারা দুইজনের হত্যার বিচার দাবি করেন।

প্রধান অতিথি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা মোঃ শরীফুল আলম তার বক্তৃতায় বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার স্বৈরাচার ছিল। গত ১৫ বছর সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে মামলা, হামলাসহ জেল জুলুম অত্যাচার করে দেশ শাষন করেছে। কোন নির্বাচনে জনগন ভোট দিতে পারেনি। হাসিনা সরকারের  দুঃশাসন, দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার, লুটতরাজের কারনে দেশকে পঙ্গু করে দেয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। আমাদের কি অপরাধ ছিল, আমরা ভোটের অধিকার পেতে সারাদেশে আন্দোলন করেছি।  গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভুর্থনে  এখন হাসিনা দেশে ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। ভারতে বসে এখন ষড়যন্ত্র করছে দেশের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন আমরা অন্তর্বতী সরকারের কাছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে দেশে নিরপেক্ষ নিরর্বাচন দিয়ে জনগন ভোট দিতে পারে এমন ব্যবস্থা চাই। এখনও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, তাই সকল নেতাকর্মীগনকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন  পতিত সরকারের এমপি, মন্ত্রীসহ সকল দুর্নীতিবাজদের বিচার করতে হবে।  কুলিয়ারচরের দুইজন নেতা হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি। 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে কলেজ কর্তৃপক্ষের  গাফিলতিতে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি শিক্ষার্থী   মারজিয়া।

কুলিয়ারচরে পুলিশের গুলিতে নিহত দুইজনের স্মরণে বিএনপির  স্মরণসভা অনুষ্ঠিত। বিচার দাবি।।

Update Time : ০২:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

১৩ ডিসেম্বর, নিজস্ব  প্রতিনিধি।।

কিশোরগন্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের গুলিতে নিহত দুইজনের স্মরণে উপজেলা বিএনপি এক স্মরণসভা করে। গুলিতে নিহতরা হলো ছাত্রদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ (২৩) ও ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি বিল্লাল মিয়া (৩২)। আজ শুক্রবার বিকেলে কুলিয়ারচর উপজেলা ছয়সূতি ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত  বড় ছয়সূতি বাজার মাঠে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ছয়সূতি বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন মোর্শেদ নিজামী ( বাবুল) । অনুষ্ঠানে   প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগন্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল মিলাদ,  সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শাহ আলম, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

গত বছর ৩১ অক্টোবর বিএনপি – জামায়েতের ডাকা তিনদিনের রেল, সড়ক ও নৌপথ অবরোধের দিন অবরোধ পালনকালে ভৈরব – কিশোরগন্জ সড়কের ছয়সূতি সড়কে পুলিশের গুলিতে উল্লেখিত দুজন নেতা মারা যায়। দুজনই বিবাহিত ছিল। তারা মারা গেলে তাদের স্ত্রীগন বিধবা হয় এবং সন্তানরা ইতিম হয়ে যায়। তারা মারা গেলে আজও তাদের  বিচার পায়নি। স্মরণসভা অনুষ্ঠানে কুলিয়ারচর এলাকার বিপুল সংখ্যক বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন ঘটনার দিন শান্তিপূর্ন অবরোধ পালনকালে  বিনাকারনে পুলিশ তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে। এদিন পুলিশ দুজনের লাশ রাস্তা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনায় তাদের পরিবারের মামলা গ্রহন না করে পুলিশ থানায় জিডি করে। দুজনের মৃত্যু ছিল নির্মম বেদনাদায়ক। তারা দুইজনের হত্যার বিচার দাবি করেন।

প্রধান অতিথি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা মোঃ শরীফুল আলম তার বক্তৃতায় বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার স্বৈরাচার ছিল। গত ১৫ বছর সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে মামলা, হামলাসহ জেল জুলুম অত্যাচার করে দেশ শাষন করেছে। কোন নির্বাচনে জনগন ভোট দিতে পারেনি। হাসিনা সরকারের  দুঃশাসন, দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার, লুটতরাজের কারনে দেশকে পঙ্গু করে দেয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। আমাদের কি অপরাধ ছিল, আমরা ভোটের অধিকার পেতে সারাদেশে আন্দোলন করেছি।  গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভুর্থনে  এখন হাসিনা দেশে ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। ভারতে বসে এখন ষড়যন্ত্র করছে দেশের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন আমরা অন্তর্বতী সরকারের কাছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে দেশে নিরপেক্ষ নিরর্বাচন দিয়ে জনগন ভোট দিতে পারে এমন ব্যবস্থা চাই। এখনও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, তাই সকল নেতাকর্মীগনকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন  পতিত সরকারের এমপি, মন্ত্রীসহ সকল দুর্নীতিবাজদের বিচার করতে হবে।  কুলিয়ারচরের দুইজন নেতা হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি।