১০ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি:
সৌদী আরবে ভৈরবের বাসিন্দা এক নির্মাণ শ্রমিক দূর্ঘটনায় মারা গেছে। তার নাম মোঃ সবুজ মিয়া (২৮) । ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আবদুল কাদির মিয়ার ছেলে নিহত সবুজ মিয়া। সে সৌদি আরবের রিয়াদের ইশারা ড্রাইরেক্ট এলাকায় কাজ করতো। উপজেলার নবীপুর গ্রামের জালু মিয়ার মেয়ে জিয়াসমিন কে গত ৪বছর আগে বিবাহ করেছে সবুজ। বর্তমানে রোজামনি নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে তার । গত ৭ মাস আগে সৌদী আরবে একটি ভবনের কাজ করার সময় ১তলা ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায় প্রবাসী সবুজ। এসময় তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে । দীর্ঘ সাতমাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার মারা যায় সে।
তার বাবা আব্দুল কাদির বলেন, সে আমার বড় ছেলে ছিল। সবুজ কাজের জন্য খুব পরিশ্রমী । বাড়িতে মাছ ধরার কাজের পাশাপাশি নিজ বাড়িতে একটি দোকান চালাতেন। সংসার সুখের জন্য গত দেড় বছর আগে সবুজ সৌদি আরবে যায় । সৌদীতে প্রথম দিকে সে কষ্ট করলেও পরে তার ভালো অবস্থান তৈরি হয়। সাতমাস আগে খবর পেলাম সেখানে নির্মাণ কাজ করার সময় হঠাৎ করে ১তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে যায় । সৌদীতে সাত মাস চিকিৎসাধীন থেকে গতকাল সোমবার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আমার ছেলে দুনিয়ায় নেই, পুরা সংসারই এখন এলোমেলো হয়ে গেল। তার স্ত্রী এক সন্তান নিয়ে বিধবা হলো। আমি এখন কি করব বুঝতে পারছিনা। আমার ভাতিজা সৌদী প্রবাসী কাশেম বলল, তার লাশ দেশে পাঠাবেনা, সৌদীতেই দাফন করবে। কারন লাশ দেশে পাঠাতে অনেক ঝামেলা ও ব্যয়বহুল। আমার পরিবারের সদস্যগন শেষ পর্যন্ত ছেলের লাশ দেখতে পারবেনা এই দুঃখ বেদনা সইবার নয়।
এলাকার ইউপি মেম্বার মোঃ রাশিদ মিয়া বলেন, পরিবারটি দরিদ্র। সুখের আশায় সবুজ সৌদীতে গিয়েছিল। সেখানে একটি বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে নিচে পড়ে প্রথমে গুরুতর আহত হয়। সাতমাস চিকিৎসা শেষে সোমবার রাতে সে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে শুনলাম। পরিবারটি অসহায় হয়ে গেল। এমন মৃত্যু বেদনার দুঃখের। এখন শান্তনা দেয়া ছাড়া আমাদের কারো কিছু করার নেই।