ভৈরব স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় নারী অপহরণকারী আটক।। থানায় মামলা।। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৬৫ Time View

২৭ নভেম্বর , নিজস্ব  প্রতিনিধি:

 ভৈরবে বিদ্যালয় থেকে এক শিশু শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টাকালে এক নারী অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের গাছতলা এলাকায় ফাতেমা রমজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে৷ শিশু শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী 

নুসরাত আক্তার নূর (৭)। সে গাছতলা ঘাট এলাকার হানিফ মিয়ার মেয়ে। অপহরণকারীর নারী শহরের ভৈরবপুর উত্তর পাড়া এলাকার সোহেল মিয়া স্ত্রী হেনা বেগম (৪২)। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি  মোঃ শাহীন। 

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১০ টায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী নুসরাত আক্তার নূরকে মিথ্যা কথা বলে  ক্লাসরুম থেকে বের করে  হেনা বেগম বাইরে  যাওয়ার সময় রিমা নামের শিক্ষিকার চোখে বিষয়টি ধরা পড়লে তাদের ডাক দেয়। পড়ে শিক্ষার্থী নূর দৌড়ে গিয়ে শিক্ষিকাকে বলে তার বাবা নাকি এক্সিডেন্ট করেছে। তখন অপহরণকারী হেনাকে শিক্ষিকা বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে সে সেখান থেকে ছটকে পড়তে চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় হেনাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে এসে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে  পুলিশ এসে অপহরণকারী থানায় নিযে যায়। 

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী নূর বলেন, আমি ক্লাসে বসে আর্ট করছিলাম। আমাকে ওই মহিলা এসে বলে আমার বাবা এক্সিডেন্ট করেছে। আমি তার  সাথে যাওয়ার সময় রিমা  স্যার  আমাকে ডাক দিলে আমি তার  কাছে চলে যায়। স্যার  আমাকে বলে আমার  বাবা এক্সিডেন্ট করেনি, তার কথা মিথ্যা। 

এ বিষয়ে বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ভাগ্য ভালো ঘটনাটি  একজন শিক্ষিকার নজর পড়েছিল। তানাহলে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যেতো। ঘটনার পর পুলিশ এসে  অপহরণকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। 

এ বিষয়ে শিশুটির বাবা হানিফ মিয়া ভৈরব থানায় অপহরণের চেষ্টার মামলা করেছেন।  তিনি বলেন, কেন আমার মেয়েকে অপহরণ করতে চেষ্টা করা হয়েছে আমার জানা নেই।  আমি ঘটনার  বিচার  দাবী করছি। 

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো.শাহীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি মামলার কথা স্বীকার করেন। অপহরণকারী মহিলা থানায় আটক আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে যুবলীগ নেতা কর্তৃক  প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অফিসে কক্ষে মারধোর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

ভৈরব স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় নারী অপহরণকারী আটক।। থানায় মামলা।। 

Update Time : ০৩:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

২৭ নভেম্বর , নিজস্ব  প্রতিনিধি:

 ভৈরবে বিদ্যালয় থেকে এক শিশু শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টাকালে এক নারী অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের গাছতলা এলাকায় ফাতেমা রমজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে৷ শিশু শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী 

নুসরাত আক্তার নূর (৭)। সে গাছতলা ঘাট এলাকার হানিফ মিয়ার মেয়ে। অপহরণকারীর নারী শহরের ভৈরবপুর উত্তর পাড়া এলাকার সোহেল মিয়া স্ত্রী হেনা বেগম (৪২)। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি  মোঃ শাহীন। 

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১০ টায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী নুসরাত আক্তার নূরকে মিথ্যা কথা বলে  ক্লাসরুম থেকে বের করে  হেনা বেগম বাইরে  যাওয়ার সময় রিমা নামের শিক্ষিকার চোখে বিষয়টি ধরা পড়লে তাদের ডাক দেয়। পড়ে শিক্ষার্থী নূর দৌড়ে গিয়ে শিক্ষিকাকে বলে তার বাবা নাকি এক্সিডেন্ট করেছে। তখন অপহরণকারী হেনাকে শিক্ষিকা বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে সে সেখান থেকে ছটকে পড়তে চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় হেনাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে এসে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে  পুলিশ এসে অপহরণকারী থানায় নিযে যায়। 

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী নূর বলেন, আমি ক্লাসে বসে আর্ট করছিলাম। আমাকে ওই মহিলা এসে বলে আমার বাবা এক্সিডেন্ট করেছে। আমি তার  সাথে যাওয়ার সময় রিমা  স্যার  আমাকে ডাক দিলে আমি তার  কাছে চলে যায়। স্যার  আমাকে বলে আমার  বাবা এক্সিডেন্ট করেনি, তার কথা মিথ্যা। 

এ বিষয়ে বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ভাগ্য ভালো ঘটনাটি  একজন শিক্ষিকার নজর পড়েছিল। তানাহলে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যেতো। ঘটনার পর পুলিশ এসে  অপহরণকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। 

এ বিষয়ে শিশুটির বাবা হানিফ মিয়া ভৈরব থানায় অপহরণের চেষ্টার মামলা করেছেন।  তিনি বলেন, কেন আমার মেয়েকে অপহরণ করতে চেষ্টা করা হয়েছে আমার জানা নেই।  আমি ঘটনার  বিচার  দাবী করছি। 

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো.শাহীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি মামলার কথা স্বীকার করেন। অপহরণকারী মহিলা থানায় আটক আছে।