১৪ নভেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ছাত্রবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় ভৈরব থানায় দায়েরকৃত তিন মামলায় ১৮ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী কারাগারে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা কিশোরগন্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্যাট কিশোর দত্ত’র আদালতে স্বোচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তাদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
গত ১৯ জুলাই ছাত্রবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভৈরব উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর এবং ৪ আগস্ট বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় কয়েকজন আহত ও বিএনপি কর্মী মামুনের হাতের কব্জি কাটার ঘটনায় ভৈরব থানায় পৃথকভাবে তিনটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় সাড়ে ৩ শ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে। তাদের মধ্য আজ ১৮ জন স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তাদের জামিন না মন্জুর করে সবাইকে কারাগারে পাঠিয়য়ে দেন।
যাদেরকে জামিন না দিয়ে আজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলো, শ্রীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাহালুল আলম বাচ্চু, ১০ নং পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলুয়ার হোসেন দিলু, ২ নং পৌর ওয়ার্ড আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাচ্চু মিয়া, রুটি মনির, শাহেদ আলী, মাহাবুবুর রহমান, গজারিয়া ইউনিয়ন আ,লীগের সভাপতি মোঃ ফরিদ খাঁন, রইছ উদ্দিন, সালাউদ্দিন নুরি, মুছা মিয়া, আইনুল শাহ, জিল্লু মিয়া, বাবুল মিয়া, মনির হোসেন, শাহিন মিয়া, জাকির ভূইঁয়া, মনির মিয়া ও তোফাজ্জল হোসেন।
ভৈরবের তিনটি মামলায় আসামীরা কয়েকমাস যাবত পলাতক আছে । তার মধ্য গত একমাসে আইনশৃংখলা বাহিনী বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্য কয়েকজন ২০/২৫ দিন জেল খাটার পর গত সপ্তাহে জামিনও পেয়েছে।
এবিষয়ে কিশোরগন্জ আদালতের সিনিয়র আইনজীবি এড, আবুল বাশার জানান, ভৈরবের তিনটি মামলায় আজ ১৮ জন আসামী আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্ত বিজ্ঞ বিচারক তাদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠায়। আসামীদের পক্ষে আমি কাজ করেছি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন কোর্ট ইন্সেপেক্টর। তিনি জামিনের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন আজ আদালত জামিন দেয়নি কিন্ত আসামী পক্ষ জামিনের ব্যাপারে জজ কোর্টে আপীলে যাবে বলে তিনি জানান।