২৯ অক্টোবর, নিজস্ব প্রতিনিধি:
‘বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় গড়ব আগামীর প্রজন্ম’ স্লোগানকে ধারণ করে ভৈরবের শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে জমেছে বিজ্ঞান মেলা।
আজ মঙ্গলবার পৌর শহরের ভৈরব উদয়ন স্কুল আয়োজিত তৃতীয় বিজ্ঞান মেলা ২০২৪ স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মেলায় ২০টি উদ্ভাবনী প্রকল্পের স্টল বসে। এসব স্টলে স্কুল শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান মেলায় তাদের বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন করে।
মেলায় শিক্ষার্থীরা তাদের দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় বিজ্ঞান মেলার প্রকল্পে তুলে ধরে। যার মধ্যে তড়িৎ বিশ্লেষণ মাধ্যমে হাইড্রোজেন গ্যাস, বেম্বো ওয়াটার ফ্লাস্ক, গ্যাস লিকেজ ডিটেক্টর, ওয়াটার লেন্স দ্যা ভিঞ্জি ব্রিজ, ভূমিকম্প ডিটেক্টর, ভূমিকম্প এলার্ম, রেইন ডিটেক্টর, অটোমেটিক গেইট সিস্টেম, দূরত্ব মাপার মেশিন, বায়োডিগ্রেডেবল পেন, সোলার সিস্টেম মডেল, ওয়াটার ফিউরিকেশন, অ্যান্টি থেফট সিস্টেম, পানির ক্যাপিলারি অ্যাকশনসহ আধুনিক প্রযুক্তির ধারণাও তুলে ধরার চেষ্টা করেছে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করেন ভৈরব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন। এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ভৈরব উদয়ন স্কুল পরিচালক ও নাট্য ব্যক্তিত্ব সাগর আহমেদ, সহযোগি পরিচালক মানিক চৌধুরী, বিজ্ঞান শিক্ষক ইফতেখার করিম রাহাতসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।
প্রধান অতিথি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, বিজ্ঞান মনস্ক শিক্ষার্থীদের নতুন উদ্ভাবনীর অবদানে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নতশীল দেশের সম্মান অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে । এই বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করা ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের মেধাকে বিকশিত করতে পারলেই তারা তাদের সৃজনশীল চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে দেশকে আরো এগিয়ে নিতে পারবে, এমন আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আগুন নিভানোসহ সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ অনুসন্ধান কারী ফায়ার সেন্সর প্রকল্প তৈরি করেছেন অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নুসরাত ও তার সহপাঠিরা। তিনি বলেন, ফায়ার রোবটে তিনটি সেন্সর রয়েছে যার মাধ্যমে রোবট নিজেই দুর্ঘটনার সময়ে আগুন নিভাতে পারবে। এছাড়া বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাস লিকেজ হয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এই রোবটটি এলপিজি গ্যাসে যদি লিকেজ করে তাহলে এই রোবটটি তাৎক্ষণিক সংকেত দিবে যার ফলে দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে।
স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সিদরাতুল রহমান তৃষা তার পাঁচ সহপাঠিদের নিয়ে বিজ্ঞান মেলায় সৌরজগৎ নিয়ে নতুন একটি উদ্ভাবনী তৈরি করেছেন। যার মাধ্যমে মহাবিশ্ব সম্পর্কে নানান তথ্য উপাত্ত ধারণা পাওয়া যাবে ।
অনুষ্ঠানে আসা অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এমন বিজ্ঞান মনস্কভাবে তৈরী করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এবং এসব ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের আরো পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাসের কথাও বলেন। ছোট বড় সব শিক্ষার্থীদের চৌকস উপস্থাপনা ও ব্যাখ্যায় এ মেলা যেন বিজ্ঞান শিক্ষার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল, এমন মন্তব্যও করেছেন অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।