ভৈরব পৌরসভার ১৬ জন  কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালনে ৬ জন সরকারী কর্মকর্তা।। নাগরিকদের ভোগান্তি।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬১ Time View

২৪ অক্টোবর, নিজস্ব  প্রতিনিধি।।

সারাদেশের মত পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের পদগুলি বর্তমান অন্তর্বতী সরকার বাতিল করেছে। বর্তমানে ভৈরব পৌরসভার মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রেদুয়ান আহমেদ রাফি। পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ডে ১২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৪ জন, মোট ১৬ জন কাউন্সিলর ছিল। সরকার তাদের পদ বাতিল করার পর বর্তমানে ১২ টি ওয়ার্ডে ৬ জন সরকারী কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দেয়া হয়।

তারা হলো ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বুলবুল আহমেদ, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জলি বদন তৈয়বা, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ, ৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রিফফাত জাহান ত্রপা, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান।

ভৈরব পৌরসভার এক লাখ ৩০ হাজার  নাগরিকদের নানা কাজে পৌরসভা থেকে নাগরিক ও ওয়ারিশান  সনদ, জন্ম- মৃত্যু সনদ,  ট্রের্ড লাইসেন্স, ট্যাক্স প্রদানসহ ইত্যাদি কাজে প্রতিদিন শত শত মানুষ পৌরসভায় যেতে হয়। এসব নানা কাজে কাউন্সিলরগনের স্বাক্ষর দিলে পৌর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সনদ প্রদান করে থাকে। বর্তমানে কাউন্সিলর না থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ৬ জন সরকারী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে স্বাক্ষর আনতে হচ্ছে। অনেক সময় কর্মকর্তারা তাদের নিজ অফিসের দায়িত্বে ব্যস্ত থাকলে কখনও অফিসে পাওয়া যায়না। আবার পেলেও কর্মকর্তারা নাগরিকদের চেনেননা। একারনে তারা নানা ধরনের ডুকুমেন্ট দাবি করেন বা নাগরিকদের বাড়ীতে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষ স্বাক্ষর দেন। কখনও কখনও মেয়রের দায়িত্বে থাকা ইউএনও’র স্বাক্ষর লাগে বিভিন্ন সনদ ও অন্যান্য কাজে। কিন্ত তাকে সবসময় পাওয়া যায়না, কারন তিনি প্রতিদিন পৌরসভায় অফিস করতে পারেননা।  এতে সময় বিলম্বসহ নাগরিকগন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অনেকের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অবস্থা থেকে নাগরিকরা কবে মুক্তি পাবে তা কেউ জানেনা।

এমন একজন ভুক্তভূগি সাজিত মিয়া পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের নাগরিক। তার পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রির জন্য ওয়ারিশান সনদ প্রয়োজন। কিন্ত ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে ওয়ারিশান পরিচিতির স্বাক্ষর আনতে গিয়ে তিনদিন যাবত ঘূরছেন। তাকে অফিসে পাচ্ছেননা। যেদিন পেলেন সেদিন বলা হয় এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে প্রমানের পর স্বাক্ষর দিবেন। ঠিক তার মত অসংখ্য মানুষ নানা কাজে  বিরম্বনার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এবিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি)  মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ জানান, আমি ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব পেয়েছি। থানার কাজ নিয়ে আমি সবসময় ব্যস্ত থাকি। কখনও অফিসের বাইরে থাকতে হয় অফিসের কাজে। একারনে নাগরিকগন সবসময় আমাকে অফিসে পায়না। আবার পেলেও নাগরিকদের কাজে আমার স্বাক্ষর দিতে হলে প্রমান পেতে তদন্ত করতে হয়। পৌরসভার কাজ অতিরিক্ত দায়িত্ব, তাই কিছুটা বিলম্ব হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে  নাগরিকগন মেনে নিতে হবে। একই কথা বললেন ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাঃ বুলবুল আহমেদ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে  এক সঙ্গে তিন জমজ ছেলে সন্তান জন্ম নিল। খুশি দম্পতি তবে চিন্তিত তাদের ভরণপোষণ নিয়ে। 

ভৈরব পৌরসভার ১৬ জন  কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালনে ৬ জন সরকারী কর্মকর্তা।। নাগরিকদের ভোগান্তি।

Update Time : ১১:০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

২৪ অক্টোবর, নিজস্ব  প্রতিনিধি।।

সারাদেশের মত পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের পদগুলি বর্তমান অন্তর্বতী সরকার বাতিল করেছে। বর্তমানে ভৈরব পৌরসভার মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রেদুয়ান আহমেদ রাফি। পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ডে ১২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৪ জন, মোট ১৬ জন কাউন্সিলর ছিল। সরকার তাদের পদ বাতিল করার পর বর্তমানে ১২ টি ওয়ার্ডে ৬ জন সরকারী কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দেয়া হয়।

তারা হলো ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বুলবুল আহমেদ, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জলি বদন তৈয়বা, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ, ৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রিফফাত জাহান ত্রপা, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান।

ভৈরব পৌরসভার এক লাখ ৩০ হাজার  নাগরিকদের নানা কাজে পৌরসভা থেকে নাগরিক ও ওয়ারিশান  সনদ, জন্ম- মৃত্যু সনদ,  ট্রের্ড লাইসেন্স, ট্যাক্স প্রদানসহ ইত্যাদি কাজে প্রতিদিন শত শত মানুষ পৌরসভায় যেতে হয়। এসব নানা কাজে কাউন্সিলরগনের স্বাক্ষর দিলে পৌর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সনদ প্রদান করে থাকে। বর্তমানে কাউন্সিলর না থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ৬ জন সরকারী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে স্বাক্ষর আনতে হচ্ছে। অনেক সময় কর্মকর্তারা তাদের নিজ অফিসের দায়িত্বে ব্যস্ত থাকলে কখনও অফিসে পাওয়া যায়না। আবার পেলেও কর্মকর্তারা নাগরিকদের চেনেননা। একারনে তারা নানা ধরনের ডুকুমেন্ট দাবি করেন বা নাগরিকদের বাড়ীতে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষ স্বাক্ষর দেন। কখনও কখনও মেয়রের দায়িত্বে থাকা ইউএনও’র স্বাক্ষর লাগে বিভিন্ন সনদ ও অন্যান্য কাজে। কিন্ত তাকে সবসময় পাওয়া যায়না, কারন তিনি প্রতিদিন পৌরসভায় অফিস করতে পারেননা।  এতে সময় বিলম্বসহ নাগরিকগন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অনেকের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অবস্থা থেকে নাগরিকরা কবে মুক্তি পাবে তা কেউ জানেনা।

এমন একজন ভুক্তভূগি সাজিত মিয়া পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের নাগরিক। তার পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রির জন্য ওয়ারিশান সনদ প্রয়োজন। কিন্ত ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে ওয়ারিশান পরিচিতির স্বাক্ষর আনতে গিয়ে তিনদিন যাবত ঘূরছেন। তাকে অফিসে পাচ্ছেননা। যেদিন পেলেন সেদিন বলা হয় এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে প্রমানের পর স্বাক্ষর দিবেন। ঠিক তার মত অসংখ্য মানুষ নানা কাজে  বিরম্বনার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এবিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি)  মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ জানান, আমি ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব পেয়েছি। থানার কাজ নিয়ে আমি সবসময় ব্যস্ত থাকি। কখনও অফিসের বাইরে থাকতে হয় অফিসের কাজে। একারনে নাগরিকগন সবসময় আমাকে অফিসে পায়না। আবার পেলেও নাগরিকদের কাজে আমার স্বাক্ষর দিতে হলে প্রমান পেতে তদন্ত করতে হয়। পৌরসভার কাজ অতিরিক্ত দায়িত্ব, তাই কিছুটা বিলম্ব হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে  নাগরিকগন মেনে নিতে হবে। একই কথা বললেন ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাঃ বুলবুল আহমেদ।