১৭ অক্টোবর, নিজস্ব প্রতিনিধি:
আমরা এক ফ্যাসিবাদকে বিদায় করে আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদ সরকার দেখতে চাইনা। খুনী হাসিনাকে বিদেশ থেকে দেশে এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে এককভাবে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন করেনি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কোন দলের একক সম্পত্তি নয়, স্বাধীনতার নেতৃত্ব কোন ব্যক্তির একক ইজারাদারি নয়, দেশের জাতির পিতা কোন বিতর্কিত ব্যক্তি হতে পারেনা। শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করে এখন গণ- অভ্যুর্থনে পালিয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ভৈরব হাজী আসমত কলেজ মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ভৈরব উপজেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত এক গণসমাবেশে দলের মহাসচিব মৌলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথাগুলি বলেন।
মামুনুল হক তার বক্তৃতায় বলেন, গত গণঅভ্যুর্থনের সময় হাজারও ছাত্র জনতাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাসহ সকল অভিযুক্তদেরকে কঠিন শাস্তি দিতে হবে। ইতিমধ্যই আজ আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে। অন্তবর্তীকালীন বর্তমান সরকার দ্রুত তাকে দেশে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন হাসিনার পরিবারের লোকজনসহ তার সরকারের মন্ত্রী এমপিরা ও দলের নেতারা দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে, বেগমপাড়া বানিয়েছে। পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশের আগস্ট আন্দোলন বিফল করা যাবেনা, পরাজিত শক্তি এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তাই দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। আবুসাঈদ মুগ্ধসহ হাজারও ছাত্র- জনতার রক্ত বৃথা গেলে দেশবাসী আবারও ফ্যাসিবাদের কবলে পড়বে। যারা গণ আন্দোলনকে সফল করেছেন তাদেরকে বলব আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। দেশে ৭১ এর চেতনাকে বাদ দিয়ে ৭২ চেতনায় রুপান্তরিত করা হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধু, জিয়া, এরশাদ, শেখ হাসিনার শাসন দেখেছি, তারা সবাই দেশকে ধ্বংস করে গেছে। আগামীতে আমরা দেশে ইসলামী শাসন দেখতে চাই।
বক্তব্যের শেষে তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে কিশোরগন্জ -৬ ( ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে তার দলের প্রার্থী মৌলানা আতাউল্লাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে এলাকার উন্নয়নের জন্য তাকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
গণসমাবেশ সভার সভাপতি মৌলানা আবদুল্লাহ আল- আমিন তার বক্তৃতায় বলেন, পৈতৃকসূত্রে সোনার চামচ পাওয়া ভৈরব- কুলিয়ারচর এলাকার সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন এলাকার কোন উন্নয়ন করেননি। তার দলের ভৈরব এলাকার নেতাকর্মীরা লুটপাট, দখলবাজি, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিল। এলাকার জনগন কখনও পাপনের দেখা পেতেননা। তিনি হাসিনার আত্মীয় হয়ে ক্ষমতার দাপটে ভোট ছাড়া এমপি হয়েও জনগনের সেবা, এলাকার উন্নয়ন করেননি। পাপনকে বয়কট করে উন্নয়ন করার জন্য তিনি আগামীতে খেলাফত মজলিজের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য জনগনকে অনুরোধ করেন।
গণসমাবেশ সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দলের কেন্দ্রীয় সক্রেটারি আশিকুর রহমান, যুগ্ম – মহাসচিব মৌলানা জালাল উদ্দিন আহম্মদ, যুগ্ম- মহাসচিব মৌলানা আবদুল আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মৌলানা ফজলুল হক প্রমূখ।