৮ অক্টোবর, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে থানায়। দুই মামলার এজাহারে ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ আড়াইশ জনকে আসামী করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুই পক্ষের দুইজন বাদী হয়ে এই মামলাগুলি দায়ের করেন। গত রোববার সন্ধ্যায় শহরের পঞ্চবটি এলাকায় মাদক ব্যবসা ও গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র দা, বল্লম, লাঠিসহ বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করে বাড়ীঘর লুটপাট, ভাংচুর, টাকা – পয়সা লুট করে। ঘটনার সময় উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এসময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা একটি সাউন্ড গ্রেনেডসহ একজনকে আটক করে। পুলিশের ধারনা গত ৫ আগস্ট ভৈরব থানা লুটতরাজ করার সময় অস্ত্রের সাথে সাউন্ড গ্রেনেড লুটের আলামত উদ্ধার করা সাউন্ড গ্রেনেডটি। আজ মঙ্গলবার একটি মামলার বাদী হয় রাজু আহমেদ, এই মামলার প্রধান আসামী করা হয় শ্রমিক নেতা মোমতাজ উদ্দিনের ছেলে ওমর মোহাম্মদ অপুকে এবং অপর মামলার বাদী হয়েছে ইউছুফ মিয়া, এই মামলার প্রধান আসামী করা হয় সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আক্তারুজ্জামানকে।
মামলার বাদী রাজু আহমেদ বলেন, ঘটনার দিন রোববার ইউছুফের বাহিনী আমাদের লোকজনের উপর আক্রমন করে। তারা বাড়ীঘর, দোকানপাট লুটপাট ভাংচুরসহ টাকা লুট করে। এদিন আমাদের ১০/১২ জন লোক আহত হয়। অপর মামলার বাদী ইউছুফ বলেন, মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় ঝগড়া সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তাদের লোকজনের অস্ত্রের আঘাতে আমাদের ৭/৮ জন আহত হয়।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ হাসমত উল্লাহ জানান, শহরের পঞ্চবটি এলাকাটি মাদক বেচাকেনার স্বর্গরাজ্য। ওই এলাকাটিতে ছিনতাই, চুরি – ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘঠিত হয়। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘটনার একদিন পর দুই পক্ষ আজ থানায় দুটি মামলা করে। মামলাগুলি পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে তিনি জানান।